টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সফল পাঁচ অধিনায়ক : তাইফ রহমান রাফি

আগের সংবাদ

সড়কে নেই ‘ডিজিটাল’ ছোঁয়া

পরের সংবাদ

গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা : গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন ‘নেট জিরো’তে নামিয়ে আনতে হবে

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ‘গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করার কথা থাকলেও শিল্পোন্নত দেশগুলো এ প্রতিশ্রæতি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করছে না বলে জানিয়েছেন সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি) প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা। ২০২৫ সাল পর্যন্ত এ ১০০ বিলিয়ন ডলারের প্রবাহ অব্যাহত রাখতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০২৫ সালের পরের পরিস্থিতি বিবেচনায় অর্থায়নের পরিমাণ পুনর্নির্ধারণ করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে দাবি জানিয়ে আসছি, শিল্পোন্নত দেশকে ২০৩০ সালের মধ্যে এবং উন্নয়নশীল বিশ্বকে ২০৪০ সালের মধ্যে গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে হবে। আমরা কপ-২৬ এর কাছে গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন ‘নেট জিরো’তে নামিয়ে আনতে শক্ত পদক্ষেপ আশা করি। লস এন্ড ড্যামেজের বিষয়ে প্যারিস এগ্রিমেন্টের ‘আর্টিক্যাল-৮’ এ বলা থাকলেও এর ফাইন্যান্সিং মেকানিজম এখনো তৈরি হয়নি, কপ-২৬ এ একটি ফাইন্যান্সিং মেকানিজম চূড়ান্ত করা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
গতকাল শনিবার ডেইলি স্টার সেন্টারে সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি), কোস্ট ফাউন্ডেশন, সিডিপি, ক্লিন, আরআইবি, এসডিএসসহ কয়েকটি বেসরকারি উন্নয়ন সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ‘ইউএনসিসির ২৬তম জলবায়ু সমঝোতা সম্মেলনের প্রাক্কালে বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের প্রত্যাশা এবং প্রস্তাবনা’ শীর্ষক একটি গোলটেবিল বৈঠক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতির বক্তব্যে মো. শামসুদ্দোহা এসব কথা বলেন।
গোলটেবিল বৈঠকে আরো বক্তব্য রাখেন- জলবায়ু পরিবর্তন ও বন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ধরিত্রী সরকার, সিডিপির নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর হাসান মাসুম, এসডিএসের নির্বাহী পরিচালক রাবেয়া বেগম, কোস্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক সৈয়দ আমিনুল হকসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং নাগরিক সংগঠনের কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিরা।
বৈঠকে ধরিত্রী সরকার বলেন, উন্নত বিশ্ব বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ানোকে প্রাক-শিল্প বিপ্লব সময়ের তুলনায় ২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখবে বলেছে, কিন্তু আইপিসিসি রিপোর্ট-৬ এর পর এটি আরো স্পষ্ট হয়েছে যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেটের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। বিশ্ব সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে যথাযথ এসডিসি ডকুমেন্টই পারে এ বৈশ্বিক তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় আমাদের সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমরা মনে করি, জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে সরকার, গবেষক, নীতিনির্ধারক এবং নাগরিক সমাজকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। আমরা এ অন্দোলনে সবাইকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। তিনি সিপিআরডিসহ আয়োজক সংগঠনগুলোকে ধন্যবাদ দেন।
আমিনুল হক বলেন, কয়েকটি দেশ আইপিসিসির রিপোর্টকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, সে দেশগুলো এবার কপেও তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের চেষ্টা করতে পারে বলে মনে করি। আমাদের পক্ষ থেকে অংশ নেয়া নেগোশিয়েটর এবং নাগরিক সমাজকে আগামী কপে তাদের সেই অপচেষ্টাকে মোকাবিলা করতে হবে। তিনি সিভিএফ ফোরামকে একটি নেগোশিয়েশন স্টেটাস দেয়ার আহ্বান জানান।
জাহাঙ্গীর হাসান মাসুম বলেন, ইউএনসিসিসি মূলত দাঁড়িয়েছিল কার্বন মিটিগেশনকে উদ্দেশ্য করে। আমরা যদি কার্বন নির্গমন কমানোর উপরই মূল চাপ প্রয়োগটি অব্যাহত রাখতে পারতাম তাহলে এখন পরিস্থিতি ভিন্ন রকম থাকত। তিনি অভিযোগ করে বলেন, উন্নত বিশ্বের পক্ষ থেকে কার্বন নির্গমন কমানোর বিষয়টিকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ইস্যুকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে নিয়ে আসা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়