সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের সালথায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে মারিজ সিকদার (৩১) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ৩০ জন।
গতকাল শনিবার দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া এলাকায় দফায় দফায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মারিজ সিকদার খারদিয়া গ্রামের শরাফ সিকদারের ছেলে। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিক মোল্লার সমর্থক বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুর রব মোল্যা ইউপি নির্বাচনে অংশ নিতে গত ১৮ অক্টোবর মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তার বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন আওয়ামী লীগকর্মী মো. রফিক মোল্যা। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা টুকু ঠাকুর নৌকার মনোনীত প্রার্থী রব মোল্যার পক্ষে অবস্থান নেন। এ নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী রফিকের সঙ্গে তার বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার সকালে এর জের ধরে খারদিয়া এলাকায় উভয় প্রার্থীর সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জড়ো হতে থাকে। একপর্যায় দুপুর ২টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়, চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। এ সময় কমপক্ষে ৪০টি বসতঘরে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয় বলে জানা গেছে।
সংঘর্ষে মারিজ সিকদার, নাসির মোল্লা, রহিম মোল্লা, রশিদ শেখ, সাকিব মোল্লা ও টেপু শেখসহ উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিদ্রোহী প্রার্থী রফিকের সমর্থক মারিজ সিকদার মারা যান। তার মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা বলে জানা যায়।
ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা-সালথা সার্কেল) সুমিনুর রহমান জানান, পরিস্থিতি এখন শান্ত। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।