এ মাসের ১৫ দিনে ডেঙ্গু রোগী ছাড়ালো ৩ হাজার

আগের সংবাদ

ভস্মীভূত হিন্দুপল্লীজুড়ে আতঙ্ক : মূল হোতাসহ ৪৬ জন গ্রেপ্তার, থানায় দুই মামলার প্রস্তুতি, প্রতিবাদে রংপুরে বিক্ষোভ > সাম্প্রদায়িক হামলা

পরের সংবাদ

প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী : ডিসেম্বরেই প্রবাসীদের জন্য সাপোর্ট সেন্টার চালুর আশা

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে রাজধানীর এয়ারপোর্টের পাশে প্রবাসীদের জন্য সরকার একটি সাপোর্ট সেন্টার চালু করতে চায় বলে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ। একই সঙ্গে প্রবাসীদের জন্য কম খরচে চিকিৎসা দেয়ার জন্য ভাটারায় একটি মেডিকেল সেন্টার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। গতকাল রবিবার মন্ত্রণালয়ে প্রবাসীদের জন্য ওয়েজ কল্যাণ বোর্ডের ‘প্রতিবন্ধী ভাতা’ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, ওয়েজ অনার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী জানান, প্রবাসীদের কল্যাণের জন্য আমাদের যা কিছু করার দরকার সবই করব। তাদের জন্য আমরা একটা মেডিকেল সেন্টার করব। এ মেডিকেল সেন্টার থেকে প্রবাসীরা কম খরচে চিকিৎসাসেবা নিতে পারবেন। এটার কাজ এখনো আরম্ভ হয়নি। তিনি বলেন, ‘প্রবাসীকর্মীদের জন্য একটা সাপোর্ট সেন্টার আমরা করতে চাচ্ছি। যারা বিদেশে যেতে চাচ্ছে, যারা বিদেশে যাবেন, তাদের যেন সহায়তা করা যায় সেজন্য আমরা এ সেন্টার করছি। আশা করি, এটা ডিসেম্বরের মধ্যে চালু করতে পারব।’
অনুষ্ঠানে ওয়েজ কল্যাণ বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রবাসীকর্মীর সন্তানদের প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য মোট আবেদন পড়েছে ৪৯৫টি। এগুলোর মধ্যে বাছাই কমিটির নির্বাচিত আবেদন সংখ্যা ২৯৫টি। অর্থাৎ এ ২৯৫ জন প্রবাসী প্রতিবন্ধী সন্তানদের মাসিক এক হাজার টাকা করে বছরে ১২ হাজার টাকা দেয়া হবে। এ আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে পাঁচ বছর পর্যন্ত। পাঁচ বছরে ৬০ হাজার টাকা ভাতা পাবেন এসব প্রবাসী সন্তানেরা।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রবাসীদের জন্য নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছি সেবা দেয়ার জন্য। মন্ত্রণালয় থেকে ওয়েজ কল্যাণ বোর্ডের মাধ্যমে প্রবাসীদের জন্য ৩৩২ কোটি টাকা প্রবাসীদের সহায়তায় খরচ করেছি। সৌদিগামীদের কোয়ারেন্টাইনে ২৫ হাজার টাকা করে দিয়েছি। আমিরাত প্রবাসীদের জন্য পিসিআর টেস্টের জন্য ১ হাজার ৬০০ টাকা করে দিচ্ছি। বিদেশফেরত ৯২০ নারীকর্মীকে ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে।’
এ সময় মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালকের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রবাসীদের যেসব সন্তানদের ভাতা দেয়া হচ্ছে, তাদের মধ্যে যেসব প্রতিবন্ধী চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরে আসতে পারবেন তাদের স্থায়ী চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। প্রবাসীদের কল্যাণে সব সেবা অনলাইনভিত্তিক করা হচ্ছে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়