গুলিস্তানে বাস উল্টে ২ কাবাডি খেলোয়াড় আহত

আগের সংবাদ

মণ্ডপে হামলার নেপথ্যে কারা

পরের সংবাদ

কালো রঙের সুগন্ধি ধান চাষে ইমরানের চমক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া (খুলনা) থেকে : খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় পরীক্ষামূলকভাবে কালো রঙের ধানের আবাদ শুরু হয়েছে। ফলনও হয়েছে ভালো। অধিক পুষ্টিসম্পন্ন ও বাজার দর ভালো হওয়ায় এ ধানের আবাদ করেছেন কৃষক ইমরান। এই ধানের বিষয়ে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যোগাযোগ করে আগামীতে আরো স¤প্রসারণ করার কথা জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ।
সবুজের মাঝে কালো রঙের ধানের আবাদ শুরু করেন খুলনার ডুমুরিয়া সদর উপজেলার গোলনা গ্রামের খান সিরাজুল ইসলামের ছেলে খান ইমরান হোসেন। পরীক্ষামূলকভাবে ৩০ শতাংশ জমিতে এই ধানের আবাদ শুরু করেন। চীনের কালো রাইচ ধানের বীজ হলেও কৃষকরা নতুন জাতের এই ধানের বিজ নিয়ে আবাদ করতে পারবেন। অন্য আতপ জাতের ধান বিঘাপ্রতি ১৫/২০ মণ হলেও এই ধান প্রতি বিঘায় ১০ থেকে ১২ মণ অধিক পুষ্টি সম্পূর্ণ লম্বা জাতের ধান উৎপাদন হবে। এই ধানের ফলনও ভালো হয়েছে। সুগন্ধি আতপ চালের চাহিদা পূরণ আর কম খরচে বেশি দামের আশায় কালো রঙের রাইচ ধানের আবাদ করেন তিনি। এ ধানের ধানের বীজ আগামীতে দিতেও পারবেন তিনি।
এ ব্যাপারে কৃষক ইমরান জানান, এ ধানটি লাগানোর পিছনে কারণে আছে। সেটি হচ্ছে অন্যান্যে ধানের বৈচিত্র্য আছে কিন্তু আতপ ধানের চালে বৈচিত্র্য কম থাকায় এই কালো রঙের সুগন্ধি জাতের ধান চাষ শুরু করি। নতুন জাতের কালো রঙের জাতের ধানের বীজ নেয়ার কথা বলে রেখেছেন অন্য কৃষকরা। তিনি আরো জানান, ধান চাষে কম মুনাফায় কৃষি বিভাগ ও ব্যাংকগুলো ঋণ দেন তাহলে আরো বেশি করে ধান চাষে এগিয়ে আসবে কৃষকরা। আর ঋণ না পাওয়ায় অনেকেই কৃষি কাজ থেকে বিমুখ হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
চীনা জাতের ধান হলেও এ জাতের ধানের নাম কালো রাইচ নিষিদ্ধ চাল। এক সময় এ ধরনের চাল রাজা বাদশারা খেতেন। প্রজাদের এ চালের ভাত খাওয়া নিষেধ থাকার কারণে এর নাম কালো রাইচ নিষিদ্ধ চাল। এতে সার-কীটনাশক পানি কম লাগায় এবং পোকা-মাকড়ের উপদ্রব কম থাকায় আগামী বছর এ জাতের ধান লাগানোর আগ্রহ দেখান অনেক কৃষক।
কৃষক আজিজুল, হারুন খানসহ অনেতে জানান, আমাদের জমির পাশে কৃষক ইমরান নতুন জাতের ধান আবাদ করেছে। এই ধানের গায়ের রং কালো, লম্বা ও বড় আকারের। এ ধানের ভালো ফলনও হবে। আমরাও আগামীতে এই ধানের আবাদ করব। আর কম খরচে বেশি লাভও হবে।
এ ব্যাপারে খুলনা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ হাফিজুর রহমান ভোরের কাগজকে জানান, ইমরান নিজ উদ্যোগে ও ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. মোছাদ্দেক হোসেনের এই নতুন জাতের কালো রঙের ধান আবাদ করেছে। এই ধানের বিষয়ে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তারা যদি এ ধান উপযোগী ও ভালো মনে করেন তাহলে আগামীতে আরো স¤প্রসারণ করা হবে। এই জেলায় প্রতি বছর কোনো না কোনো নতুন জাতের ধানের বীজ উৎপাদন হয়ে থাকে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. মোছাদ্দেক হোসেন বলেন এ বছরই ডুমুরিয়া উপজেলায় ৪ কেজি বীজ এনে ২ জন কৃষককে দিয়ে এই ধানের চাষ করা হয়েছে। এটি অত্যন্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ ধান এবং ধানের অবস্থা এখন পর্যন্ত ভালো। অনেক কৃষক এই ধানের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করছে। আগামীতে এটি স¤প্রসারণে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়