ঢাকা সেনানিবাসে এনআইডি বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন

আগের সংবাদ

যশোর বোর্ডের হিসাব থেকে আড়াই কোটি টাকা উত্তোলন : জালিয়াতির অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

পরের সংবাদ

‘পূজায় নিজের ছবি মুক্তি পেলে ভালো লাগে’

প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দুর্গাপূজা উপলক্ষে কোয়েল মল্লিকের ছবি মুক্তি পাবে, এটা যেন নিয়ম হয়ে গেছে। এবার পূজায় আসছে তার অভিনীত সিনেমা ‘বনি’। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের পরিচালনায় কাজ করেছেন কোয়েল। পূজায় সিনেমা মুক্তির বিষয়টা কেমন লাগে? কোয়েলের উত্তর, ‘আমাদের বাড়ির পূজার জন্য বেশি বের হতাম না ছোটবেলা থেকেই। কিন্তু মেজোমার সঙ্গে আমরা সবাই মিলে ছবি দেখতে যেতাম। তাই পূজায় যখন নিজের ছবি মুক্তি পায়, ভীষণ ভালো লাগে।’ ‘বনি’ সিনেমা প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘যেহেতু শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের লেখা গল্প, তাই যখন এই ছবিটার প্রস্তাব পাই, সম্মানিত বোধ করেছিলাম। একজন বায়োসায়েন্টিস্টের চরিত্র করছি। এক দম্পতির গল্প। তারা সন্তান আসার জন্য অপেক্ষা করছিল। কিন্তু যখন বাচ্চার জন্ম হয়, অনুভব করতে পারে, তাকে ঘিরে কোনো ষড়যন্ত্র হয়েছে। তাই বাচ্চাটা স্বাভাবিক নয়। একজন মা হিসেবে চরিত্রটা মনে করে, সত্যিটা খুঁজে বের করতেই হবে তাকে। ২০০৩ সালে কোয়েল টলিউডে পা রেখেছিলেন ‘নাটের গুরু’ ছবিতে। ১৮টা বছর শীর্ষে থাকা সহজ নয়। একসময় বাংলা ছবিতে ব্যবসার যে অঙ্ক তিনি দেখেছেন, এখন তার চেয়ে অনেক পিছিয়ে বাংলা ছবির ব্যবসার অঙ্ক। বিষয়টা কীভাবে দেখেন? কোয়েল ব্যাখ্যা করলেন, ‘সে সময় এত তাড়াতাড়ি নতুন ছবি চ্যানেল বা ওটিটি প্ল্যাটফর্মে দেখা যেত না। অভিনেত্রী হিসেবে আমি মনে করি, একটা কাজ করলে, সেটা যেন মানুষ দেখতে পান। সে যে মাধ্যমেই হোক। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছু পালটায়। সেটা নিয়ে কষ্ট না পেয়ে মানিয়ে নেয়া জরুরি বলে আমি মনে করি। যদিও এটা ঠিক, সিনেমা হলে দর্শক যখন যান, শুধু ছবিটাই দেখেন। বাড়িতে ছবি দেখলে হয়তো খেয়াল রাখতে হয় প্রেসার কুকারের তিন নম্বর সিটিটা পড়ল কিনা’।
কোয়েল চিরকালই প্রাইভেট পার্সন। সোশ্যাল মিডিয়াতে সাধারণত নিজের কাজের বিষয়েই পোস্ট করেন। আর অনুরাগীদের জন্য ব্যক্তিগত জীবনের হাতেগোনা কিছু মুহূর্ত তুলে ধরেন। তার থেকেই স্পষ্ট, অভিনেত্রীর জীবন ঘিরে এখন রয়েছে তার ছেলে কবীর। এক বছর পাঁচ মাস বয়স। কবীর কি ‘বনি’র প্রোমোতে বা টিভিতে কোয়েলকে দেখেছে? অভিনেত্রী হেসে জানালেন, ‘এখনো দেখেনি। সুকুমার রায়ের লেখা ছড়া পড়ে। ইংরেজি রাইমস পড়ে। আমি যেহেতু বাড়িতে একদম অন্য রকমভাবে থাকি, তাই যখন প্রচারে বা কাজে সেজেগুজে বের হই, ও দেখে মা পালটে যাচ্ছে। আবার এ বছর ‘মহালয়া’র অনুষ্ঠান শুটিংয়ের শেষে তৃতীয় চোখটা আঁকা অবস্থাতেই বাড়ি ফিরেছিলাম। ও দেখে কী বলে, সেটা দেখার জন্য। দেখে হাসলো। মায়েদের একটা গন্ধ থাকে। ও সেটার জন্যই আমাকে চিনতে পারে, সাজ বদলালেও’।
এখন নাকি সারাদিন ছেলের পেছনে ছুটতে হয় অভিনেত্রীকে। কোয়েল বলছেন, ‘কবীরের খাওয়ার অভ্যেস আমার মতো। ও এখন বাড়িতে রান্না করা খাবারই খায়। তবে এক জায়গায় বসে খেতে চায় না। দৌড়ে বেড়ায়। আমিও ওর পেছনে ছুটি। এক্সারসাইজ করার সঙ্গে সঙ্গে এ ভাবেই আমার ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে’।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়