হাইকোর্টের রুল : সরকারি কর্মচারী গ্রেপ্তারে পূর্বানুমতি কেন অবৈধ নয়

আগের সংবাদ

উৎসবের গণটিকায় ভোগান্তিও

পরের সংবাদ

ভয়কে জয় করে এগিয়ে যাওয়া নেত্রীর জন্মদিনে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার জন্মদিন। এক ভয়ংকর অন্ধকার সময়ে আমাদের জন্য ভরসার বাতিঘর হয়ে এ দেশে ফিরেছিলেন তিনি। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বাঙালির হাজার বছরের মুক্তির স্বপ্নকে বাস্তবে রূপায়ণকারী আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে আমরা শারীরিকভাবে হারিয়েছিলাম অপশক্তিদের চক্রান্তে। তবে আমাদের মনে ও মননে তাঁর চেতনা, কর্ম ও দর্শন ঠিকই জাগরূক ছিলো। কিন্তু তদ্দিনে দেশ চলতে শুরু করেছিলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পুরোপুরি বিপরীত পানে। ঐ সময়টায় ষড়যন্ত্রকারীদের হাতে পড়ে রাষ্ট্র তার সামাজিক ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তাদানকারী ভূমিকা থেকে ক্রমেই হয়ে উঠছিলো অবিচারের জাঁতাকলে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ফসল প্রজাতন্ত্রের পবিত্র সংবিধানও হয়েছিল রক্তাক্ত। ছিন্নভিন্ন। মানবধিকার হয়েছিল নির্বাসিত। নিজের বাবা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ প্রাণপ্রিয় পরিবারের সদস্যদের অধিকাংশকে হারিয়েও শোকে স্তব্ধ হয়ে যাননি শেখ হাসিনা তার বোন শেখ রেহানা। তাই আমাদেরকে আবার বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নের পথে ফিরিয়ে আনার মিশন নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন তিনি। কবি সৈয়দ শামসুল হকের ভাষায় যেন ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নবাহু’ হয়েই তিনি সেদিন আমাদের ত্রাতা হয়ে ফিরেছিলেন। শেখ হাসিনার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সেই মিশনে পদে পদে বাধা পেয়েছেন। নিজের বাড়িতে উঠতে দেয়া হয়নি তাকে। সে কী অপমান! তাকে পৃথিবীর বুক থেকে সরিয়ে দেবার চেষ্টাও হয়েছে বারবার। কিন্তু এক নিমিষের জন্যেও তিনি নিরাশ হননি। প্রতিকূল পরিবেশে কী করে টিকে থাকতে হয়, লেগে থাকতে হয় সে শিক্ষা তিনি বাবা-মার কাছ থেকেই পেয়েছিলেন। পিতার মতোই তাকেও কারাবরণ করতে হয়েছে দেশের মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার সুদীর্ঘ সংগ্রামে। সকল বাধা আর সকল ভয়কে জয় করে তিনি নিজে এগিয়েছেন, আমাদেরও অভয় দিয়েছেন একইভাবে। আজ যে করোনাজনিত বিপন্নতা কাটিয়ে আমরা আবার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছি, আবার আমাদের সম্ভাবনার দুয়ারগুলো খুলতে শুরু করেছে তার পেছনে বঙ্গবন্ধুকন্যার অসামান্য গণমুখী এবং সাহসী নেতৃত্বই তো প্রধানতম নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে। তার এবারের জন্মদিনে আবার ফিরে দেখছি তার অসামান্য আত্মত্যাগ আর দেশবাসীর প্রতি ভালোবাসার উপাখ্যানটিকে। আর আরো বেশি প্রদ্ধাবনত হচ্ছি অসামান্য দরদি নেতৃত্বের প্রতি।
কেবল ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বঙ্গবন্ধুকন্যার প্রতি আমাদের যে অশেষ ঋণ তা শোধ হবার নয়। তবু তাকে ধন্যবাদ জানাতেই হয় তার নেতৃত্বের ধরনের জন্য। মানুষের কল্যাণকে কেন্দ্রে রেখে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশকে তুলে দেয়ার এক আপসহীন লেগে থাকা নেতৃত্বের জন্য। করোনা মহামারির প্রভাবে আমাদের অনন্য উন্নয়ন অভিযাত্রায় খানিকটা ছেদ পড়লেও, বাংলাদেশের গণবান্ধব টেকসই উন্নয়নের মডেলটি এখনো একই রকম চমক জাগানিয়া হিসেবেই পাঠ করছেন দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা। এর প্রমাণ হিসেবে এসেছে ‘এসডিজি প্রগ্রেস অ্যাওয়ার্ড’। এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ ইনস্টিটিউটের পরিচালক এবং জাতিসংঘের মহাসচিবের এসডিজি বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক জেফরি স্যাক্স বলেছেন যে শেখ হাসিনা টেকসই উন্নয়নের অভিযাত্রায় ‘জুয়েল ইন দ্য ক্রাউন’। এই মুকুটের মুক্তোমণি।
রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার অনন্য গণবান্ধব নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দ্বিতীয় অভিযাত্রাটির শুরু ২০০৯ সালে। বৈশ্বিক আর্থিক মন্দায় বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা নিয়ে অনেকেই যখন শঙ্কায় তখন তিনি দেশ পরিচালনার হাল ধরেছিলেন। খুব কাছে থেকে সে সময় তার গণমুখী চিন্তাগুলো বাস্তবায়নের সহযোগী হওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছিলো। স্বভাবতই সে সময় তিনি সময়োচিত নীতি-মনোযোগ দিয়েছিলেন ‘রিয়েল ইকোনমি’তে অর্থায়নের দিকে। সে সময় কৃষি, রপ্তানিমুখী শিল্প আর এসএমই খাতের জন্য অর্থায়ন নিশ্চিত করে অভ্যন্তরীণ চাহিদা চাঙ্গা রাখার যে কৌশল গ্রহণ করেছিলেন তা এক কথায় অতুলনীয়। আর সে কৌশলেই বৈশ্বিক মন্দার ধাক্কা সামাল দিয়েছিলো বাংলাদেশ। সেই যে অর্থনীতির শক্তিশালী ভিত্তি তিনি সে সময় তৈরি করেছিলেন সেটিই মূলত পরের ১০-১২ বছরের জন্য বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক সাফল্যের শক্তি জুগিয়ে চলেছে। এ এক অসাধারণ নেতৃত্বের সাফল্যের গল্প। প্রথাগত ধ্যান-ধারণার বাইরে গিয়ে দ্রুত ডিজিটাইজেশনের জন্য ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর সেøাগান সামনে রেখে তিনি সুদূরপ্রসারী নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলেই বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি ‘কোয়ান্টাম জাম্প’-এর মধ্য দিয়ে গেছে। ডিজিটাইজেশনের সবচেয়ে বড় সুফল সম্ভবত এসেছে আর্থিক সেবা খাতে। মোবাইল ব্যাংকিং, এজেন্ট ব্যাংকিংসহ অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়নের ফলে প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় আনুষ্ঠানিক আর্থিক সেবা পৌঁছে দেয়ার ‘নীরব বিপ্লব’ পুরো বাংলাদেশের সম্ভাবনাগুলোকেই নতুন করে জাগিয়ে তুলতে পেরেছে।
কল্যাণমুখী নীতির ভিত্তিতে একটি সুচিন্তিত পথনকশা ধরে শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়েছেন বলেই দারিদ্র্য হার ৪১ শতাংশ থেকে এই মহামারির আগে আগে ২০ শতাংশের আশপাশে নেমে এসেছিলো। দারিদ্র্য নিরসনের ঐ প্রক্রিয়াটি যথেষ্ট টেকসই হয়েছিলো বলেই বিশেষজ্ঞরা এখন মনে করছেন মহামারিজনিত স্থবিরতায় দারিদ্র্য কিছুটা বাড়লেও, পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া ন্যূনতম বেগ পেলে দ্রুতই আমরা আগের পর্যায়ে ফিরবো এবং আরো উন্নতি করবো। দারিদ্র্য নিরসন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে বাংলাদেশের মূল শক্তি হিসেবে শেখ হাসিনা দেখেছেন কৃষির বিকাশ, রপ্তানি এবং প্রবাসী আয়কে। এ সময়ে কৃষির বিকাশ একদিকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ও কৃষি রপ্তানি বাড়িয়েছে, অন্যদিকে গ্রামীণ পরিবারগুলোর আয় বৃদ্ধির ফলে অভ্যন্তরীণ বাজারে চাহিদাকে আরো বেগবান করেছে। রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ের সাফল্যের সবচেয়ে বড় প্রমাণ তো আমাদের রিজার্ভের শক্তি। সম্প্রতি রিজার্ভের আকার ৪৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। গত এক যুগে মাথাপিছু আয় তিনগুণেরও বেশি বেড়ে হয়েছে ২,২২৭ ডলার। প্রবাসী আয় ৯.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে প্রায় ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। রপ্তানি আয় ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কম থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থনৈতিক সূচকের বিচারে এসব সাফল্যের সুফল দেখা যাচ্ছে জীবন মান উন্নয়নের নানা সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও। যেমন আমাদের জীবনের গড় আয়ু বেড়ে হয়েছে প্রায় ৭৩ বছর। জন্ম হার, শিশু মৃত্যু হার, মাতৃমৃত্যু হার কমেছে ব্যাপকভাবে। মোট কথা, এক যুগে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি ও সম্ভাবনার ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন সম্ভব করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। তাই জনগণের আস্থার প্রতীক হিসেবে তার অবস্থান দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হচ্ছে প্রতিদিন। দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক মহলও তাই তাকে স্বীকৃতি দিচ্ছে কল্যাণমুখী নেতৃত্বের রোল মডেল হিসেবে। শান্তির সংগ্রামের অগ্রনায়ক হিসেবে। সবুজ পৃথিবী গড়ার পথিকৃৎ হিসেবে।
বঙ্গবন্ধুকন্যাও জনগণের আস্থার প্রতিদান দিতে সদা-তৎপর। বহুদূরের বিষয়গুলো তিনি ঠিক ঠিক দেখতে পান বর্তমানে দাঁড়িয়েই। তাই যতই দিন যাচ্ছে নানামুখী তাৎপর্যপূর্ণ নীতি ও পরিকল্পনা গ্রহণ বঙ্গবন্ধুকন্যার শাসনামলের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য হিসেবে স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হচ্ছে। তিনি যে একজন ‘ভিশনারি’ রাষ্ট্রনায়ক তার প্রমাণ তিনি সমকালীন এই করোনা সংকটকালে বেশ ভালোভাবেই রাখছেন। তাই তো এমন সময়েও পৃথিবীর সবচেয়ে গতিময় পাঁচটি দেশের একটি হতে পেরেছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। মাথাপিছু আয়ের বিচারে ভারত ও পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশ। বর্তমানের এই ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ সময়ে দাঁড়িয়েও তিনি ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে পারেন। এমন সংকটকালেও তিনি বাজেটে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ সেøাগান যুক্ত করতে পারেন। পারেন অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার বাস্তবায়নে মনোযোগী হতে। পারেন ২০৪১ সাল নাগাদ পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনার সূচনা করতে। আরো পারেন শতবর্ষী ব-দ্বীপ পরিকল্পনার আলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ঝুঁকিকে বাগে এনে সমৃদ্ধির স্বপ্ন দেখতে। ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রস্পারিটি প্ল্যান’ সে রকমই দূরদর্শী তার আরেক উদ্যোগ। এসব ভাবনার আলোকেই তিনি বিশ্বসভায় টেকসই উন্নয়নের প্রয়োজনে ধনী দেশগুলোর দায়িত্বের কথা অকপটে বলতে পারছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য সুনির্দিষ্ট নীতি প্রস্তাব দিয়ে চলেছেন। সারা বিশ্ব অবাক বিস্ময়ে তার এই জলবায়ু নেতৃত্বের ধারা দেখছে। বিশ্বকে আরো ‘সবুজ, নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন’ করার তার এই বিশ্ব নেতৃত্বের প্রশংসা করছে সারা বিশ্বের মানুষ ও গণমাধ্যম। তাকে ঘিরেই বাংলাদেশ আরো আলোকিত হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বরাবরই গণমুখী অর্থনীতিতে বিশ্বাসী। সাধারণ মানুষের চোখ দিয়ে তিনি দেশের অর্থনীতিকে দেখেন। তিনি জানেন সমাজের নিচের তলার মানুষগুলোর আয়-রোজগার বাড়লে পুরো অর্থনীতিতে চাহিদা বাড়ে। বাড়ে ভোগ। এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে সামষ্টিক অর্থনীতির ওপর। সে কারণেই তিনি করোনা সংকট শুরু হবার পরপরই দারুণ ক্ষিপ্রতার সাথে ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। মোট জিডিপির ৪.৬ শতাংশ পরিমাণের এই প্রণোদনা অর্থনীতিকে ঝিমিয়ে পড়তে দেয়নি। প্রণোদনা কর্মসূচির সংখ্যা হালে আরো বেড়েছে। আর তাই আশপাশের দেশের চেয়ে বাংলাদেশের গড় প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় বেশি। কৃষি, প্রবাসী আয় এবং রপ্তানি খাত আমাদের অর্থনীতির তিন সবল খুঁটি। বঙ্গবন্ধুকন্যা এই তিন খুঁটিকে আরো সংহত করতে সদাই তৎপর। এসব খাতে গণবিনিয়োগে তার উৎসাহের অন্ত নেই। এসব খাতে প্রণোদনা দিতে তিনি উদার হস্ত। কেবল এই করোনাকালেই নয়, গত এক যুগেরও বেশি সময়ে দূরদর্শী শেখ হাসিনা দুটো পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে দেখিয়ে দিয়েছেন যে ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। এখন তিনি তৃতীয় পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করছেন। অস্বীকার করার তো উপায় নেই যে অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের ভিত্তি তিনি এরই মধ্যে সুদৃঢ়ভাবে স্থাপন করে ফেলেছেন। এখন শুধু এগিয়ে যাবার পালা। তাই শেষের কথায় বলতে চাই- ‘সকলেই জন্ম নেয়- কেউ কেউ জন্মলাভ করে;/ অনন্য অর্জন তার।’ লড়াকু বাংলাদেশের অসাধারণ রূপকার শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে সৈয়দ শামসুল হকের লেখা কবিতার এই লাইন দুটো এক কথায় অভ্রান্ত। অতুলনীয়। কবিরা আসলেই অন্তর্যামী। তাই তো তিনি লিখতে পেরেছেন এমন কবিতা। বঙ্গবন্ধুকন্যাকে নিয়ে আরেক কবি নির্মলেন্দু গুণ ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, ‘আপনার পথে পথে পাথর ছড়ানো।/ পাড়ি দিতে হবে দুর্গম গিরি, কান্তার মরুপথ।’ তার সেই আশঙ্কাও ছিলো পুরোপুরি সত্যি। এখনো সে শঙ্কা কাটেনি। তবে সকল ভয়কে জয় করে সংগ্রামী এই নেত্রী আজ হতে পেরেছেন বিশ্বজয়ী মানবতা ও প্রকৃতির উজ্জ্বল কাণ্ডারি। ভরসার বাতিঘর। বঙ্গবন্ধুর মতোই দূরদর্শী এবং সাহসী এই রাষ্ট্রনায়ক চলমান করোনা সংকটসহ সকল দুর্যোগে দুঃসময়ে জেগে ওঠেন মাথা উঁচু করে। শত্রæর মুখে ছাই দিয়ে সকল চ্যালেঞ্জকে সম্ভাবনায় রূপান্তরিত করে বঙ্গবন্ধুকন্যা এগিয়ে চলেছেন সমৃদ্ধ সোনার বাংলা অভিমুখে। তিনি এই পৃথিবী ও বাংলাদেশকে আরো বেশি মানবিক ও বাসযোগ্য দেখতে চান। তার সকল স্বপ্ন ও কর্মের ঠিক মধ্যিখানে দুঃখী মানুষের অবস্থান। ঠিক তার বাবার মতোই।
ইতিহাসের বরপুত্রের এই আদর্শকন্যার জন্মদিনে রইল অশেষ শুভেচ্ছা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়