হাইকোর্টের রুল : সরকারি কর্মচারী গ্রেপ্তারে পূর্বানুমতি কেন অবৈধ নয়

আগের সংবাদ

উৎসবের গণটিকায় ভোগান্তিও

পরের সংবাদ

বাঙালির নবদিগন্তের কাণ্ডারি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেসার আঙুল ধরে যিনি হাঁটতে শিখেছেন, যিনি জাতির পিতার আদর্শে উজ্জ্বীবিত হয়ে বাংলাদেশের জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, পিতার মতোই যিনি দেশের জনগণকে ভালোবেসে সাফল্যের শিখরে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার মহান ব্রত নিয়ে আজ বাঙালি জাতিকে বিশ্বের দরবারে আকাশ সমান সফলতার শিখরে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন, যিনি বঙ্গমাতার মতো জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাতে আদর্শ ও ত্যাগের ওপর ভিত্তি করে মানবতার সেবায় অবিচল রয়েছেন, তিনি আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা। আজ তার ৭৫তম জন্মদিন, জয়তু শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাঙালি আশা-আকাক্সক্ষার একান্ত বিশ্বস্ত ঠিকানা, বাঙালির বিশ্বজয়ের স্বপ্নসারথী। তার মেধা-মনন, সততা, নিষ্ঠা, যোগ্যতা, প্রাজ্ঞতা, দক্ষতা, সৃজনশীলতা, উদার গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি ও দূরদর্শী নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্র গঠনের পথে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এক সময়ের কথিত ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষে জর্জরিত বাংলাদেশকে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম থেকে আজ প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে চলছে দেশ। তিনি আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক দৈন্যে আকণ্ঠ নিমজ্জিত একটি জাতি ও রাষ্ট্রকে প্রজ্ঞা, মেধা ও নেতৃত্ব দিয়ে উন্নয়ন-অগ্রগতির-মহাসোপানে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তার নিখাদ দেশপ্রেম, দূরদর্শিতা, দৃঢ়চেতা ও মানবিক গুণাবলি তাকে আসীন করেছে বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে। তিনিই বাঙালির জাতীয় ঐক্যের প্রতীক ও ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য উত্তরসূরি শেখ হাসিনা ভারত বিভক্তির কালে ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মধুমতি নদী বিধৌত গোপালগঞ্জ জেলার নিভৃত পল্লী টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাবা-মায়ের প্রথম সন্তান। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে শেখ হাসিনা ছিলেন জ্যেষ্ঠ সন্তান। শেখ হাসিনা গ্রামবাংলার ধুলোমাটি আর সাধারণ মানুষের সঙ্গেই বেড়ে উঠেছেন। তাই বাংলার মাটি, মানুষ আর গ্রামের সঙ্গে তার নিবিড় সম্পর্ক। শৈশব-কৈশোর কেটেছে টুঙ্গিপাড়ায় বাঙালির চিরায়ত গ্রামীণ পরিবেশে, দাদা-দাদির কোলে-পিঠে। তিনি বাঙালির মুক্তি আন্দোলনের মহানায়ক ব্যস্ত পিতার দেখা পেতেন কদাচিৎ। কারণ রাজনৈতিক আন্দোলন এবং রাজনীতি নিয়েই কাটতো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিন-রাত্রি, যাপিত জীবন। রাজ-রোষ, জেল-জুলুম আর কারাবরণ ছিল বঙ্গবন্ধুর নিত্যসঙ্গী। টুঙ্গিপাড়ায় বাল্যশিক্ষার হাতেখড়ি হয় তার। ১৯৫৪ সালে পরিবারের সঙ্গে মোগলটুলি রজনীবোস লেনের বাড়িতে বসবাস করা শুরু করেন। ১৯৫৬ সালে টিকাটুলি নারী শিক্ষামন্দিরে এই মহীয়সী নারী ভর্তি হন। তারপর আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয়, তৎকালীন গভর্নমেন্ট ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজ (বর্তমান বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।
রাজনৈতিক পরিবারে শেখ হাসিনা জন্মগ্রহণ করায় উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে তার পদচারণা। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেত্রী হিসেবে তিনি আইয়ুববিরোধী আন্দোলন এবং ছয় দফা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৬৬ সালে উত্থাপিত ছয় দফা দাবিতে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে এক অভূতপূর্ব গণজাগরণ সৃষ্টি হয়। শাসকগোষ্ঠী ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে। শুরু হয় দমন-নির্যাতন নিপীড়ন। আটক থাকা অবস্থাতে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী দায়ের করে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা। তার জীবন ও পরিবারের ওপর নেমে আসে গভীর শঙ্কা, অনিশ্চয়তা ও অসহনীয় দুঃখ কষ্ট। এই ঝড়ো দিনগুলোতেই কারাবন্দি পিতার আগ্রহতে ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সংগ্রামী ছাত্রনেতা বিশ্বনন্দিত বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের কিছুদিন পর শুরু হয় বাঙালি জাতির ১১ দফা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান। শেখ হাসিনা ছাত্রলীগ নেত্রী হিসেবে তাতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের করাচিতে নিয়ে যাওয়ার পর পুরো পরিবারকে ঢাকায় ভিন্ন এক বাড়িতে গৃহবন্দি রাখা হয়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই শেখ হাসিনা গৃহবন্দি অবস্থায় তার প্রথম সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালের ৯ ডিসেম্বর কন্যা পুতুলের জন্ম হয়।
১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার আগে ছোট বোন শেখ রেহানাসহ শেখ হাসিনা ইউরোপ যান। সেখানে অবস্থানকালে তিনি সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর নিহত হওয়ার খবর পান। তাৎক্ষণিকভাবে দেশে ফেরার পরিবেশ না থাকায় তিনি ইউরোপ ছেড়ে স্বামী-সন্তানসহ ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন এবং সেখানে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার স্বল্প আয়ে জীবন যাপন করেন। তারপর অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ১৯৮১ সালে ১৩-১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক সম্মেলন। জাতির এক ক্রান্তিলগ্নে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ডাক আসে দেশমাতৃকার হাল ধরার। সামরিক শাসকদের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন শেখ হাসিনা। এরপর দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সামরিক জান্তা ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে চলে তাঁর একটানা অকুতোভয় সংগ্রাম। জেল-জুলুম, অত্যাচার কোনোকিছুই তাকে তার পথ থেকে টলাতে পারেনি।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র এবং দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রামে অসামান্য অবদান রাখার পাশাপাশি রাষ্ট্র পরিচালনায়ও ব্যাপক সাফল্যের পরিচয় দিতে সক্ষম হয়েছেন। ১৯৯৬-২০০১ সালে তার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি ও গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি তার সরকারের অন্যতম সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। তৃতীয় মেয়াদেই ভারতের সঙ্গে ঐতিহাসিক স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন করেছেন। বর্তমানে তার নেতৃত্বাধীন সরকার ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য পূরণে নিয়োজিত আছে। এছাড়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে দেশে বিদ্যুৎ সেক্টরে অকল্পনীয় উন্নতিসাধন এবং বন্যা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ, নদী ভাঙন, নদী ব্যবস্থাপনা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার দীর্ঘমেয়াদি কৌশল হিসেবে ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ গ্রহণ করে তার নেতৃত্ব ও উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ শতবর্ষ স্বপ্নের কাণ্ডারি হতে পেরেছে।
দক্ষভাবে রাষ্ট্র পরিচালনায় সারাবিশ্বের অসংখ্য সম্মানজনক পদকে ভূষিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধুর এই কন্যা। তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে। সমুদ্র জয়ের পর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে মহাকাশও জয় করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মিয়ানমার সরকারের ভয়াবহ নির্যাতনে আশ্রয়হীন ১১ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে নাড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্বকে, বিশ্ববিবেককে। আজ সারাবিশ্বেই তার নাম আলোচিত হচ্ছে ‘বিশ্ব মানবতার বিবেক’, ‘মানবতার মা’ হিসেবে।
এসব অর্জন ছাড়াও বিগত বছরগুলোয় বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ, পদ্মা সেতু নির্মাণ (নির্মাণাধীন), বঙ্গবন্ধুর খুনি ও একাত্তরের খুনিদের বিচার এবং ছিটমহল সমস্যা সমাধান, একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি, দেশের সব প্রকার উন্নয়ন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার মূূল্যবোধ ও গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা শেখ হাসিনারই অবদান। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, আদর্শ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসার জন্য তার দিনরাত কাটে। দুর্যোগ-দুর্বিপাকে তিনি ঘুমান না। বৈরী পরিবেশেও প্রতিটি সেকেন্ড, মিনিট ও ঘণ্টা অতিবাহিত করেন দেশের মানুষের জন্য। তিনি পর্বতসম দুঃখ-কষ্টকে ধারণ করে দীর্ঘশ্বাসকে সঙ্গী করে বাংলার মানুষের ভালোবাসায় স্বজনহারার শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য অভিযান পরিচালনা করছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ পুনরুদ্ধারের দৃঢ় অঙ্গীকার ঘোষণার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পিতার অসমাপ্ত কর্মযজ্ঞে নিজেকে সমর্পণ করেছেন। তার আজকের এই উত্থানের পেছনের পথ ছিল অত্যন্ত বিপৎসংকুল। তিনি বহুবার মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েছেন কিন্তু কখনো কোনো শত্রæর সঙ্গে আপস করেননি। কারণ তিনি প্রায় বলে থাকেন যে, ‘আমি এদেশের শুধু প্রধানমন্ত্রীই নই, আমি বঙ্গবন্ধুকন্যা, আমার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের জাতির পিতা, আমি তার মহান আদর্শ আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এদেশকে বিশ্ব দরবারে একটি সম্মানজনক স্থানে নিয়ে যেতে চাই, আমি সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।’
বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরাধিকারী শেখ হাসিনা আজ বিশ্বের অন্যতম নেতার আসন অলংকৃত করেছেন তার মেধায়-প্রজ্ঞায়, গণমানুষের ভালোবাসায় আর বিশ্বাসে। তিনি বীর বাঙালির হারানো অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে জীবনের যে ঝুঁকি নিয়েছিলেন তাতে সফলও হয়েছেন। তিনি বিকশিত করেছেন বাংলার হারানো ইতিহাস-ঐতিহ্যকে, তিনি কঠিন পরিশ্রম করে অকাতরে কর্মসৃজন করে চলেছেন আপন টানে, আপন মহিমায় বাধাহীন আঁধারকে জয়ের স্বপ্ন সম্ভাবনায়। তিনি এ বয়সেও ক্লান্তিহীনভাবে মাটি ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন বাংলাদেশ হবে বিশ্বের মর্যাদাসম্পন্ন মানবিক ও শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র, দক্ষিণ এশিয়া গর্ব করবে বাঙালি জাতিরাষ্ট্রকে নিয়ে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা পিতার সে স্বপ্নের সফল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে এর সুফল দেশের জনগণ ভোগ করছে।
তাই আমরা দৃঢ় কণ্ঠে বলতে পারি- তার জন্মদিন বাঙালি জনগোষ্ঠীকে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখায়। তিনি আমাদের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক ও গৌরব। তার অভিযাত্রায় আমরা নতুন দিগন্তের সীমানা খুঁজে পাই। তার দীঘল আঁচলের ছায়ায় বাংলাদেশের পথঘাট, প্রান্তর এক সজীব প্রাণকুল। একারণেই তিনি লোকল²ী। দৃঢ় চিত্তের অধিকারী, দূরদর্শী ও প্রচণ্ড আবেগময়ী শেখ হাসিনা। মানুষের দুঃখ-কষ্টের কথা শুনলেই সেখানে দয়ার হাতটি বাড়িয়ে দেন তিনি। মানুষকে সেবা করতে পারলেই খুশি। মানুষের কল্যাণই তাঁর বড় ধর্ম। আর এদেশের মুক্তিকামী মানুষও তাকে প্রচণ্ডভাবে ভালোবাসেন। এই ভালোবাসার কারণেই শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন।
শান্তি ও আস্থার প্রতীক, জননন্দিত, সত্য, সুন্দর, প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান, জীবনযুদ্ধে জয়ী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বায়নের অগ্রযাত্রায় অসংখ্য কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন, অর্জন করেছেন সম্মান ও মানুষের ভালোবাসা। তার উল্লেখযোগ্য পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে- মাদার তেরেসা পুরস্কার, এম কে গান্ধী পুরস্কার, টেগর পিন অ্যাওয়ার্ড, ড. কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড, ইউনেস্কো শান্তিবৃক্ষ পুরস্কার, ইউএন পরিবেশ পুরস্কার (চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ), সাউথ সাউথ পুরস্কার, গেøাবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড, আইএস ইন্টারন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড, ডিসটিংশন অ্যাওয়ার্ড ফর লিডারশিপ, লাইফটাইম কন্ট্রিবিউশন ফর উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট অ্যাওয়ার্ড, ভ্যাকসিন হিরো পুরস্কার প্রভৃতি।
মানবতাবাদী এই মানুষটির আজ শুভ জন্মক্ষণ। যতদিন বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতি থাকবে, ততদিন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও দিক-নির্দেশনা অনুসরণ এবং তার অবদান দৃঢ়চিত্তে স্মরণ করবে। আজ এই লগ্নে বলি- প্রকৃতির রং ছুঁয়ে, সূর্যের মতো বলিয়ান হয়ে বিশাল আকাশের মতো দিগন্তজোড়া হোক আপনার কর্মসাধনার সফল প্রয়াস। শুভ জন্মদিনে আপনার প্রতি জানাই নিরন্তর ভালোবাসা। আপনার সফল জীবনের প্রতি আমাদের অভিনন্দন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা- আপনার সুস্থ ও দীর্ঘজীবন কামনা করি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়