প্রণোদনা ঋণের জন্য ঘুষ লাগে ২৯ শতাংশ ব্যবসায়ীর

আগের সংবাদ

অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে : করোনার প্রকোপ কমার পর ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও বিষণ্নতার বড় আঘাত আসছে

পরের সংবাদ

নির্মল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ওয়ালটনের

প্রকাশিত: আগস্ট ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নির্মল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে পরিবেশ সুরক্ষায় বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। সিএফসির (ক্লোরোফ্লোরো-কার্বন) ব্যবহার বন্ধের পর বিশ্বের প্রথম এইচএফসি (হাইড্রোফ্লোরো-কার্বন) ফেজ আউট প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে ওয়ালটন। এবার এইচসিএফসি (হাইড্রোক্লোরোফ্লোরো-কার্বন) ফেজ আউটের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে তারা। এজন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের সঙ্গে চুক্তি করেছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা করছে জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থা ইউএনডিপি।
উল্লেখ্য, পরিবেশবান্ধব ও বিদ্যুৎসাশ্রয়ী পণ্য উৎপাদনের জন্য ওয়ালটন দেশ-বিদেশে ব্যাপক প্রশংসিত। ইকো-ফ্রেন্ডলি উৎপাদন ব্যবস্থা এবং রেফ্রিজারেশন সিস্টেম ব্যবহার করে বিশ্ব শীতল রাখতে ওয়ালটন সব সময়ই সচেষ্ট। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধকল্পে ওয়ালটনের নেয়া প্রকল্পগুলোর ফলে ৫৪৩ হাজার টন কার্বন নিঃসরণ হ্রাস পেয়েছে। এর ফলে ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়েছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং পরিবেশ সংরক্ষণে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় পরিবেশ পদক পেয়েছে ওয়ালটন।
গতকাল রবিবার পরিবেশ অধিদপ্তর ও ওয়ালটনের মধ্যে ‘এইচসিএফসি ফেজ আউট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান (এইচপিএমপি স্টেজ টু) প্রজেক্ট’ শীর্ষক একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর গোলাম মুর্শেদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেছেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর, ওয়ালটন এসির চিফ বিজনেস অফিসার তানভীর রহমান, চিফ মার্কেটিং অফিসার ফিরোজ আলম, জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী মহসিন সরদার, নির্বাহী পরিচালক শরীফ হারুনুর রশীদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভিন্ন বিভাগের পরিচালকরা, ওয়ালটনসহ বাংলাদেশে এসি প্রস্তুতকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর গোলাম মুর্শেদ বলেন, ক্লোরোফ্লোরো গ্যাস পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। এই গ্যাসের ব্যবহার ও নিঃসরণ রোধে বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তর ও ইউএনডিপি যে উদ্যেগ নিয়েছে, সেজন্য তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ। সবার চেষ্টা থাকবে নির্মল বাংলাদেশ গড়ার। এর ফলে আমরা বৈশ্বিক উষ্ণতা হ্র্রাসে অবদান রাখতে সক্ষম হব। এতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে। এ প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়নে আমাদের সবার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকবে। ওয়ালটন পরিবেশ সুরক্ষায় খুবই আন্তরিক। এর আগে ইউএনডিপি ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সহায়তায় বিশ্বের প্রথম এইচএফসি ফেজ আউট প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে ওয়ালটন। যার আওতায় ফ্রিজ ও কম্প্রেসরে এইচএফসি-১৩৪এ রেফ্রিজারেন্টের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব এইচসি-৬০০এ (আইসোবিউটেন) রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রকল্পটির সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলে বাৎসরিক প্রায় ২৩০ টন এইচএফসি গ্যাসের নিঃসরণ হ্রাস পেয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়