কুমিল্লায় ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল দুই নারীর

আগের সংবাদ

শাড়িতেই এবার পকেট

পরের সংবাদ

বেনাপোল দিয়ে ভারতে রপ্তানি কমেছে ৪২ হাজার টন : ২০২০-২১ অর্থবছর

প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : করোনার প্রভাবে গত গেল অর্থবছরে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি কমেছে প্রায় ৪২ হাজার টন। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বন্দরের ভারতীয় অংশে বাংলাদেশি পণ্যবাহী ট্রাক তল্লাশি ও বিভিন্ন খাতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয়। যে কারণে এ বন্দর ব্যবহার করে অনেক ব্যবসায়ী ভারতে পণ্য রপ্তানির পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন। তারা বলছেন, করোনার কারণে রপ্তানি বাণিজ্য পিছিয়ে গেলেও সীমান্তে বাণিজ্য তদারকিতে নিয়োজিতরা আন্তরিক হলেই বাণিজ্য আরো প্রসারিত হবে।
বেনাপোল কাস্টমস সূত্র জানায়, স্থলবন্দর দিয়ে প্রতি বছর প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা মূল্যের বাংলাদেশে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়। ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছর পর্যন্ত পাঁচ বছরে রপ্তানি হয়েছিল ১৮ লাখ ৫১ হাজার ২৫৭ টন বিভিন্ন ধরনের পণ্য। এর মধ্যে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল ৪ লাখ ১ হাজার ১৭৭ টন পণ্য, ২০১৯-২০ অর্থবছরে রপ্তানি ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৮২৯ টন পণ্য। আর গত ২০২০-২১ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছে ২ লাখ ৯৭ হাজার ৪৮ টন পণ্য।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি করা পণ্যের মধ্যে পাটজাত দ্রব্য, তৈরি পোশাক, মাছ, রাসায়নিক দ্রব্য, মেহগনি ফল, গার্মেন্ট ঝুট, চালের কুঁড়া, নারকেলের শলা, সাবান, টিস্যু পেপার ও প্লাস্টিক ডাস্ট উল্লেখযোগ্য।
এ ব্যাপারে ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্ট এক্সপোর্ট সাব-কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বলেন, দেশে স্থলপথে যে বাণিজ্য হয়, তার ৭০ শতাংশ হয়ে থাকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় প্রথম থেকেই এ পথে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি। তবে করোনার কারণে গত ছয় মাস রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এছাড়া বন্দরের ভারতীয় অংশে বিভিন্ন প্রকারের হয়রানির কারণে ব্যাহত হচ্ছে এ বাণিজ্যিক কার্যক্রম।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, ভারতীয় পণ্যের রপ্তানি বাণিজ্যে ভারতীয়দের আগ্রহ বেশি থাকলেও বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে তাদের আগ্রহ কম। বন্দরের ভারতীয় অংশে অবকাঠামো উন্নয়ন ও হয়রানি কমলে বাণিজ্য আরো গতিশীল হবে। করোনায় রপ্তানি কিছুটা কমলেও আবার স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. আজিজুর রহমান বলেন, করোনার কারণে রপ্তানি কিছুটা কমলেও আবার বাণিজ্য কার্যক্রম চালু হয়েছে। ভারতীয় অংশে হয়রানি বন্ধ করার লক্ষ্যে করা আলোচনায় তারা (ভারতীয় কর্তৃপক্ষ) সন্তোষজনক সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়