ওবায়দুল কাদের : ২১ আগস্ট মামলার আপিল শুনানি শুরু শিগগিরই

আগের সংবাদ

মহামারিতে মেগা প্রকল্পে স্থবিরতা

পরের সংবাদ

করোনা ও শিক্ষায় গুরুত্ব : ডিএনসিসির ৪,৮০৬ কোটি টাকার বাজেট চূড়ান্ত

প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের চলতি (২০২১-২২) অর্থবছরের জন্য ৪ হাজার ৮০৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকার বাজেট চূড়ান্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে অনুমোদিত হয়েছে বিদায়ী অর্থবছরের (২০২০-২১) ২ হাজার ৮৩৩ কোটি ৩২ লাখ টাকার সংশোধিত বাজেট। এরপর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সেটি স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। নতুন এ বাজেটে করোনা মহামারি, শিক্ষাবৃদ্ধি, শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইনে ক্লাস নেয়া, নিম্ন আয়ের জনপদ ও বস্তিবাসীর নিরাপত্তা জোরদার এবং দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ট্যাক্সের পরিধি বাড়াতেও নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। ডিএনসিসির দ্বিতীয় পরিষদের সপ্তম করপোরেশন সভায় এ বাজেট অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রস্তাবিত বাজেটে চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৯৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। গত অর্থবছরে এটি ছিল ৯৬১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। সংশোধিত বাজেটে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৭৩১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এছাড়া অন্যান্য আয় ধরা হয়েছে ১৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, যা গত অর্থবছরে ছিল ১২ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৭৯ কোটি ১০ লাখ টাকা। সরকার অনুদান থেকে আয় ধরা হয়েছে ১০০ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরে ছিল ১০০ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা। বাজেটে রাজস্ব ব্যয় ধরা হয়েছে ৭০১ কোটি ১৫ লাখ টাকা, যা গত অর্থবছরে ছিল ৬১৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। সংশোধিত বাজেটে এসে দাঁড়িয়েছে ৫২০ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। অন্যান্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরেও ছিল ১৩ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে এসে দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি টাকা। উন্নয়ন ব্যয়ের মধ্যে নিজস্ব উৎস ও সরকারি অনুদান থেকে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৬৭ কোটি ১০ লাখ টাকা, যা গত অর্থবছরে ছিলো ৬৪৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। সংশোধিত বাজেটে এসে দাঁড়ায় ৪৮৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে বাজেটে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৮০৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, যা গত অর্থবছরে ছিল ৪ হাজার ৫০৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এটি সংশোধিত বাজেটে এসে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮৩৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
বাজেট অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম ভোরের কাগজকে বলেন, করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে এ বাজেট বাস্তবায়ন খুবই চ্যালেঞ্জিং। উত্তর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন বিভাগে জনবলের সংকট রয়েছে। প্রায় ৪০ শতাংশ জনবল নিয়ে নগরবাসীকে সেবা দেয়া হচ্ছে। আগামী অর্থবছরে ‘ডিজিটালাইজেশন’-এর মাধ্যমে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ে নতুন ধরনের কার্যক্রম হাতে নেয়া হবে এবং আগে এসেসমেন্ট করা বাড়িঘরের তথ্য সংগ্রহ করে ট্যাক্স হালনাগাদ করা হবে। ফলে ট্যাক্সের পরিধি বৃদ্ধি পাবে। নগরবাসী ঘরে বসে ডিএনসিসির বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন এবং ট্যাক্স প্রদান করতে পারবেন; এতে ডিএনসিসির আয় বাড়বে। অভিজাত এলাকাসমূহে বিশেষ করে গুলশান, বারিধারা ও বনানী এলাকায় বাড়ি ভাড়ার হার বেশি। তাই ২০০৮ সালের রেট পুনর্নির্ধারণ করে অভিজাত এলাকায় ট্যাক্স নির্ধারণ করতে হবে।
মেয়র বলেন, করোনাকালে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ঘরে বসে শিক্ষা কার্যক্রম গ্রহণের জন্য ডিএনসিসি শিক্ষাবৃত্তি তহবিল গঠন করবে; সেখান থেকে অনলাইনে ক্লাসের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া করোনা ও দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে নতুন বাজেটে। নিম্ন আয়ের জনপদ ও বস্তিবাসীর আবাসস্থল নিরাপদ রাখার জন্য ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে। বস্তিবাসীদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। ডিএনসিসির একটি অঞ্চলকে (অঞ্চল-৩) পাইলট হিসেবে ধরে থার্ড পার্টির মাধ্যমে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলেও জানান ডিএনসিসি মেয়র।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়