চাঁদাবাজির মামলা ৪ দিনের রিমান্ডে দর্জি মনির

আগের সংবাদ

বন্যার পদধ্বনি : পদক্ষেপ এখনই নিতে হবে

পরের সংবাদ

রবির আলোয় রাঙা শিশির বিন্দু

প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

স্বাক্ষরলিপির দাবিতে ও বিভিন্ন উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ সহস্রাধিক ছোট কবিতা লিখেছেন। এ ধরনের কয়েক ছত্রের ছোট কবিতাকে কবি নিজে আখ্যা দিয়েছিলেন ‘কবিতিকা’। স্ফুলিঙ্গের সম্পাদক কানাই সামন্ত তা উল্লেখ করেছেন শ্লোক বা সদুক্তি নামে। ক্ষুদ্র বলে কবিতাগুলো কবির কাছে উপেক্ষিত হয়নি। তিনি লেখনের পূর্বলেখে লেখেন : দু-চারটি বাক্যের মধ্যে এক-একটি ভাবকে নিবিষ্ট করে দিয়ে তার যে-একটি বাহুল্যবর্জিত রূপ প্রকাশ পেত তা আমার কাছে বড়ো লেখার চেয়ে অনেক সময় আরো বেশি আদর পেয়েছে (রবীন্দ্র, ১৯৬৯ : ৫২৭)। লেখনে আছে ১৮৯টি; চিত্রলিপিতে ৩৪টি ও স্ফুলিঙ্গে ৪১০টি কবিতিকা গ্রথিত। রবীন্দ্র-রচনাবলীর বিশ্বভারতীর ৩৩-সংখ্যক খণ্ডে আছে ৯৯টি ছোট কবিতা। এসব কবিতা জাপানি হাইকুর প্রভাবজাত, এরূপ অনুমান করেন কৃষ্ণ কৃপালনী। এ ধরনের ছোট আকারের ১১০টি ‘কণিকা’ (১৩০৬ ব.) কাব্যে গৃহীত। এগুলোর মধ্যে চার পঙ্্ক্তির কবিতা সবচেয়ে বেশি- ছেষট্টিটি এবং ছয় পঙ্্ক্তির কবিতা সবচেয়ে কম- দুটি। এছাড়াও আছে ১২, ১০, ৮ ও ২ পঙ্্ক্তির কবিতা যথাক্রমে ৪, ১১, ৭ ও ২০টি। ছয়বার পঙ্্ক্তির অনুকবিতাগুলো সারমর্ম হিসেবে আর দুই-চার পঙ্্ক্তির অনুকবিতাগুলো ভাবসম্প্রসারণ হিসেবে আমরা স্কুল-কলেজে পড়ি। পড়ি বললে বোধহয় ঠিক বলা হয় না- কবিতিকার মূলভাব বা সম্প্রসারিত ভাব মুখস্থ করে পরীক্ষায় লিখে উত্তীর্ণ হই। অথচ অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষার্থী জানিই না কবিতাগুলো রবীন্দ্রনাথের লেখা। আবু সয়ীদ আইয়ুব থেকে শুরু করে অনেক আলোচক এই কাব্যের আলোচনা এড়িয়ে গেছেন। আবার স্বীকার করতেও বাধ্য হয়েছেন যে, কবি ও কর্মী এই দ্বৈতসত্তার অন্তর্বিরোধ মাঝে মাঝে কবিকে করে তুলেছে উপদেষ্টা, কিন্তু সে যৎসামান্য ও তৎসাময়িক উন্মার্গগতি তার মূল কাব্যধারাকে আরো বেগবান উত্তরঙ্গ করেছিল (আবু সয়ীদ, ১৯৫৩ : ৭১)। কণিকা কাব্যের গুরুত্ব অনুভব করা যায় যখন- আমাদের জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বাংলাভিশনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে (২০১৯) বলেন, রবীন্দ্রনাথের কণিকা কাব্য আমি বারবার পড়েছি।
এ কাব্যে কবি নিজ ভাবায়তনের পরিমাণ কমিয়ে একেবারে সূ² মননবিন্দুতে উপনীত হয়েছেন। কণিকা কাব্যের উপাদান কোনো কল্পনাপ্রসূত সমুন্নত আদর্শবাদ থেকে নয়। বাস্তব উপলব্ধিজাত জীবন-অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার হতে আহরিত। ‘কণিকা’ রবীন্দ্রনাথের কাব্য-জীবনের একটি ক্ষণিক খেয়াল; একটি বিশেষ পরিণতি বা পথনির্দেশের জন্য কবির এ কাব্য-প্রয়াস নয়। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কবিতার সমষ্টি বলে পুস্তিকার নাম ‘কণিকা’- ইংরেজিতে যাকে ‘এপিগ্রাম’ বলে, কবিতাগুলো এ জাতীয়। কবিতাগুলো কোথাও তত্ত্বমূলক, কোথাও উপদেশমূলক আবার কোথাও হাস্যমূলক। দুই বা চার পঙ্্ক্তির ছড়াগুলো প্রবচন জাতীয়। কণিকা কাব্যের কবিতাগুলোর কোথাও কোথাও গভীর জীবন সত্যের বোধ বা দার্শনিকতা সূত্রাকারে নিবদ্ধ আধ্যাত্ম তত্ত্বের দ্যোতনাও দেখা যায়।
দশ পঙ্্ক্তির ‘শক্তির সীমা’ কবিতায় কাঁসার ঘটি ও কূপ-এর কথোপকথনে, ‘দানরিক্ত’ কবিতায় মেঘ-সরোবরের কথোপকথনে আসলে মানব-বৈশিষ্ট্যেরই প্রতিফলন পাঠক খুঁজে পান। ‘আত্মশত্রæতা’ কবিতায় খোঁপা আর এলো চুলের বিবাদ বাধিয়ে দিয়ে পরক্ষণেই বিবদমান বস্তুর সামনে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ দাঁড়ান। বলেন, ‘কবি মাঝে পড়ি বলে মনে ভেবে দেখ/দুজনেই এক তোরা দুজনেই এক।’ মানুষে মানুষে বিবাদ-বৈষম্য চমৎকার উপমা-রূপকে সহজ ভাষায় ফুটিয়ে তোলেন কবি। ‘স্পষ্টভাষী’ কবিতায় কাককে কোকিল বলে, ‘স্পষ্টভাষা তব কণ্ঠে থাক বারো মাস/মোর থাক মিষ্ট ভাষা আর সত্য ভাষ।’ এখানেও প্রাণীর মতো মানবচরিত্রে স্বাতন্ত্র্য-স্বকীয়তার কথা কবি পাঠককে ‘ফেবলস টেলস’ কিংবা ঈশপের গল্পের ভাষায় স্মরণ করিয়ে দেন। ‘শক্তের ক্ষমা’ কবিতায় নারদের মুখে পৃথিবীর মানুষ কর্তৃক নিজের নিন্দা শুনে ধরণীর উক্তি : ‘ওদের নিন্দায় মোর লাগিবে না দাগ/ওরা যে মরিবে যদি আমি করি রাগ।’ এভাবে কবি মহতের মহত্ত্ব বর্ণনার পাশাপাশি মানুষের নীচতা-নিন্দাপ্রবণতার চিত্র এঁকেছেন। ‘কীটের বিচার’ কবিতায় কীট ও পণ্ডিতের কথোপকথনে এবং আট পঙ্্ক্তির ‘যথাকর্তব্য’ কবিতায় ছাতা ও মাথার কথায় উঠে এসেছে মাথা বা মেধার গুরুত্ব। তাই তো ছাতা তার অসীম দুঃখ-কষ্ট-বৈষম্যের কথা বলে যখন জানতে চায়, ‘তুমি যদি ছাতা হতে কী করিতে, দাদা।’ তখন রবীন্দ্রনাথ দায়িত্ববান কর্তাব্যক্তির মতো করে লিখেন :
‘মাথা কয়, বুঝিতাম মাথার মর্যাদা,
বুঝিতাম তার গুণে পরিপূর্ণ ধরা,
মোর একমাত্র গুণ তারে রক্ষা করা।’ (যথাকর্তব্য)
মাথা দিয়ে মাথার গুরুত্ব-বর্ণনা বিরল মেধাবী কবি রবীন্দ্রনাথের কাব্যশৈলীর অনন্য বৈশিষ্ট্য। ‘হারজিত’ কবিতায় ভিমরুল-মৌমাছির রেষারেষিতে বনদেবীর কণ্ঠে কবি আমাদের জানিয়ে দেন : ‘বিষে তুমি হার মান, মধুতে যে জিত।’ আট পঙ্্ক্তির আরেকটি কবিতা ‘ভিক্ষা ও উপার্জন’; এখানে কৃষক ও বসুমতির কথোপকথনে বিনাশ্রমে ফসল না দেয়ার কারণ জানিয়ে বসুমতি বলে : ‘আমার গৌরব তাহে সামান্যই বাড়ে/তোমার গৌরব তাহে নিতান্তই ছাড়ে।’ মানুষের উন্নতির মূলে রয়েছে পরিশ্রম। করুণা ভিক্ষার মধ্যে কোনো গৌরব নেই; বরং তা লজ্জাজনক। স্বীয় পরিশ্রমের মাধ্যমে কোনো কিছু অর্জনের আনন্দই আলাদা। ছয় পঙ্্ক্তির ‘প্রকারভেদ’ কবিতিকায় বাবলাশাখা ও আম্রশাখার কথোপকথন পাঠে সমাজে বিপরীত বৈশিষ্ট্যের মানুষের প্রসঙ্গই পাঠকের মনে আসে। ‘খেলেনা’ কবিতিকায় শিশুকালে মানুষের ভাবনায় কেবল খেলনা পাওয়া, আরেকটু বড় হলে ধন-জন লাভের আকাক্সক্ষাকেও কবি শিশুর খেলনা লাভের বাসনার মতো দেখেছেন; কেননা মানুষ যখন বড় হয় তখন কবির ভাষায় : ‘আরো বড় হবে নাকি যবে অবহেলে/ধরার খেলার হাট হেসে যাবে ফেলে।’ এভাবে পৃথিবীতে মহৎ মানুষের স্বপ্ন দেখেছেন কবি; মানুষকে বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন।
চার পঙ্্ক্তির ‘স্বদেশদ্বেষী’ অনুকবিতায় কবি মাটির নিন্দাকারী কেঁচোকে ভৎর্সনা করে বলেন : ‘তুমি যে মাটির কীট, খাও তারি রস/মাটির নিন্দায় বাড়ে তোমারি কি যশ।’ সকল সমাজে সকল কালেই কিছু দেশদ্রোহী থাকে; তাদের প্রতি কটাক্ষ দেশপ্রেমিক পাঠকেরে মুগ্ধ করে। ভিক্ষার ঝুলি ও টাকার থলের মধ্যে উপাদানগত সাদৃশ্য বিদ্যমান। টাকার থলের অভ্যন্তরীণ পূর্ণতার দম্ভ ভিক্ষার ঝুলিকে অস্বীকৃতি, এক বংশোদ্ভূত ধনী ব্যক্তিদের দরিদ্র ব্যক্তিকে অবজ্ঞা ও অসম্মান প্রদর্শনকে কবি চিত্রিত করেছেন ‘গরজের আত্মীয়তা’ কবিতায়। প্রত্যক্ষ প্রমাণ না পেলে এ জগতে কেউ কোনোর ব্যক্তি বা শক্তির আকুণ্ঠ স্বীকৃতি দিতে চায় না- ‘প্রত্যক্ষ প্রমাণ’ কবিতায় বজ্রের স্বগতোক্তিতে এর কথাই বলা হয়েছে। বজ্রের গর্জনকে মেঘের গর্জন, তার জ্যোতিকে বিদ্যুতের জ্যোতি ইত্যাদি বলে ব্যক্তি ও প্রকৃতি তার শক্তিকে অস্বীকার করে। কিন্তু ‘মাথায় পড়িলে তবে বলে- ‘বজ্রবটে!’ (প্রত্যক্ষ প্রমাণ)। ‘উদারচরিতানাম’ কবিতায় কাননের প্রতীকে মানব সমাজের তারতম্যের কথা বলা হয়েছে। ছোট নাম-গোত্রহীন ফুলকে বাগানের সকলে তুচ্ছ জ্ঞান করলেও কিন্তু সূর্য তাকে ‘ভালো আছ তাই’ বলে কুশল জিজ্ঞাসা করে। ঠিক এভাবেই দরিদ্র, পীড়িত-পতিত ব্যক্তিকে সাধারণ লোক নিচু জ্ঞান করলেও প্রকৃত উদার ব্যক্তি তাদের ভালোবাসে। তবে কবিতাগুলো নীতিমূলক হলেও সরাসরি কোনো নীতিকথা বিবৃত হয়নি। নীতিকথাগুলো প্রকাশ পেয়েছে উপমা-রূপকে অলঙ্কৃত হয়ে- নাটকীয় সংলাপে সেজে। যেমন-
‘কেরোসিন শিখা বলে মাটির প্রদীপে
ভাই বলে ডাকো যদি দেবো গলা টিপে।
হেনকালে গগনেতে উঠিলেন চাঁদা
কেরোসিন বলি উঠে, এসো মোর দাদা।’ (কুটুম্বিতা)
কবিতিকাগুলোর নামও তাৎপর্যপূর্ণ। ‘সুখদুঃখ’, ‘সত্যের আবিষ্কার’, ‘ধ্রæব সত্য’, ‘রাষ্ট্রনীতি’ ইত্যাদি নাম পাঠেই পাঠক প্রাত্যহিক জীবনের প্রাসঙ্গিকতা খুঁজে পান। সমাজজীবনে নানান মানুষের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন বিরক্তিকর অভিজ্ঞতায় আমরা যখন আড়ষ্ট হই তখন কণিকা কাব্যের কোনো কবিতায় সেই সমাজের ছবি আবিষ্কারে পাঠকের চিত্তে অপ্রাকৃত আনন্দ আসে। সে আনন্দ সাহিত্যরূপ অমৃত পানের আনন্দ। কেননা, ‘কণিকা’র গ্রন্থিত কবিতাগুলোতে কবির সূক্ষè দৃষ্টির, গভীর জ্ঞানের, কৌতুকের, কৌশলের এবং নিপুণ শ্লেষপটুতার পরিচয় পাওয়া যায়। কবিতাগুলোর সরল, অথচ কোমল কবিত্ব মধুর। বিষয় বিবিধ। প্রকাশভঙ্গির মধ্যে আছে চাতুর্য ও সূক্ষè দর্শন- কবিতাগুলো মোটের ওপর জ্ঞানগর্ভ ও শিক্ষাপ্রদ। পাশ্চাত্যে এই এপিগ্রামগুলো সাধারণত সমাধি স্তম্ভের গায়ে খোদিত থাকত। এগুলো সংক্ষিপ্ত হলেও অর্থগৌরবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রাচীন গ্রিস ও রোমে সর্বপ্রথম এই জাতীয় কবিতার উদ্ভব ঘটে। পরে সমগ্র ইউরোপীয় সাহিত্যে তা ছড়িয়ে পড়ে। সংস্কৃত ও হিন্দি সাহিত্যেও এ ধরনের কবিতা আছে। ফারসি সাহিত্যের ‘রুবাইয়াত’ও এমন ক্ষুদ্রাবয়বের কবিতা। তবে তাৎপর্য বা ভাবগাম্ভীর্যের দিক দিয়ে রবীন্দ্রনাথের ‘কণিকা’ কাব্যের অণুকবিতাগুলো স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল। এরূপ রচনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একেবারে অপ্রতিদ্ব›দ্বী। সমালোচকের ভাষায় বলা যায় : রবীন্দ্রনাথ সৃষ্টি করে গেছেন এক অভিনব বাংলা ভাষা, তার শব্দ ও বাক্যকে করেছেন জ্যোতির্ময়, তাকে নাচিয়েছেন ছন্দে, সিউরে দিয়েছেন মিলে, সাজিয়েছেন অপূর্ব অলঙ্কারে (হুমায়ুন, ২০১২: ৫৭২)। কাব্যালঙ্কারে সাজিয়েও কবি তার ভাষাকে গল্পের রসে সিক্ত করে পরিবেশন করেছেন অথচ এখনকার অধিকাংশ কবিতাই নীতিকথামূলক- অনেকটা ঈশপের গল্পের মতো।
সংস্কৃত সাহিত্যের সুভাষিতাবলীর আদর্শে রচিত কবিতাকণাগুলোয়ে কবির তাত্ত্বিক দৃষ্টির প্রকাশ ঘটেছে তবে তত্ত্বকথার তেতো রস নেই একেবারেই। কবিতাগুলোতে দুজনের কথোপকথনের মধ্যে একটি নাটকীয়তাও আছে- ঠিক যেন গম্ভীরা গানে নানা-নাতির কথোপকথনের মতো হাস্যরসের মধ্য দিয়ে আমাদের ভাবনার তন্ত্রীতে নাড়া দেন আচমকা। কখনো কবি যাত্রাগানের বিবেক চরিত্রের মতো হাজির হয়ে আমাদের অন্তরের অব্যক্ত কথা কাব্যের ভাষায় তোলে আনেন। আমাদের শিক্ষার্থীরা কণিকা কাব্যের অনেক কবিতা সারমর্ম-ভাবসম্প্রসারণ শিখতে গিয়ে পড়েছে, আর তাই রবীন্দ্রসাহিত্য পাঠের প্রথম ধাপ যেমন হতে পরে কণিকা; তেমনি এ কাব্যকে আমরা বলতে পারি রবীন্দ্রদর্শনের সহজ সংস্করণ। আরেকভাবে বলা যায় যে রবীন্দ্র-সাহিত্য উপনিষদের দর্শনের আধুনিক রূপায়ণ। উপনিষদের সারসংক্ষেপ গীতায়- কর্মযোগ, জ্ঞানযোগ ও ভক্তিযোগের কথা আছে। কণিকার কবি কর্মযোগী; জ্ঞানী, ভক্তিবাদী বা ভাববাদীরাও পড়তে পারেন। তবে সাধারণ কর্মী পাঠকও প্রতিদিনের কর্মক্লান্ত শরীর-মন নিয়ে কণিকা কাব্যপাঠে পরিতৃপ্তি পান। রবীন্দ্রনাথ তার ‘কণিকা’ কাব্যগ্রন্থটি টাঙ্গাইলের প্রমথনাথ রায়চৌধুরীকে উৎসর্গ করেন। বাংলাদেশের গীতিকবিকে উৎসর্গ করা এই কাব্যের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের আকর্ষণ আরেকটু অধিক বলে মনে হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়