চাঁদাবাজির মামলা ৪ দিনের রিমান্ডে দর্জি মনির

আগের সংবাদ

বন্যার পদধ্বনি : পদক্ষেপ এখনই নিতে হবে

পরের সংবাদ

বাংলা একাডেমির আলোচনাসভা : বঙ্গবন্ধুর আজীবন স্বপ্ন ছিল দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো

প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবনের স্বপ্ন ছিল অসহায় ও দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। শৈশব-কৈশোর থেকেই অসহায়, দরিদ্র, বিপন্ন ও সহায়হীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন মানবতার মূর্ত প্রতীক শেখ মুজিবুর রহমান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলা একাডেমি ‘শোক ও শক্তির মাস আগস্ট ২০২১’ শীর্ষক অনলাইনে আলোচনা, বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত কবিতাপাঠ ও আবৃত্তি অনুষ্ঠানে গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের শহীদ স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ‘সহায়হীন মানুষের পাশে তরুণ শেখ মুজিব’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্বরচিত ‘মহাকালের চিঠি’ কবিতা পাঠ করেন কবি আসলাম সানী। কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরী রচিত ‘গরাদ ভাঙার সংগ্রামীরা জাগো’ কবিতার আবৃত্তি করেন ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। শহিদ শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী স্মরণে কবি মুহাম্মদ সামাদ রচিত ‘তুমি কবে আবার আসবে’ শীর্ষক কবিতাটি আবৃত্তি করেন হাসান আরিফ।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু রচিত ও বাংলা একাডেমি প্রকাশিত বই এবং বাংলা একাডেমির উল্লেখযোগ্য প্রকাশনার ডিজিটাল প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ১৯৭৪ সালে বাংলা একাডেমির জাতীয় সাহিত্য সম্মেলনের নাট্যানুষ্ঠানে শেখ কামালের অংশগ্রহণের দুর্লভ আলোকচিত্র প্রদর্শিত হয়। একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির সচিব এ. এইচ. এম. লোকমান।
অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা এবং আমার দেখা নয়াচীন গ্রন্থে নিজের জীবন বিপন্ন করে সহায়হীন মানুষের পাশে দাঁড়ানো তরুণ শেখ মুজিব মানবতার সেবায় আমাদের শাণিত ও প্রাণিত করে। তাই তিনি বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের মহান নেতা শেখ মুজিব সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর আদলে তার রাজনৈতিক দর্শনে, চিন্তায় ও শাসন ব্যবস্থায় পরিবর্তন এনে কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে বাকশাল কায়েম করেছিলেন।
কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, ১৯৭১ সালের ৫ আগস্ট স্বাধীনতার জন্য লড়াইরত বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে পাকিস্তান মিথ্যা শ্বেতপত্র প্রকাশ করে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের এ প্রচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। বিশ্বজুড়ে শেখ মুজিবের মুক্তির দাবি যেমন জোরালো হয় তেমনি স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সমর্থনে আন্তর্জাতিক বিবেক সাড়া দিতে শুরু করে।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু কবি ও সমকাল সম্পাদক সিকান্দার আবু জাফর প্রয়াত হন। এদিনই ছিল জীবদ্দশায় বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠপুত্র বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ, সংস্কৃতিসেবী এবং মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের সর্বশেষ জন্মবার্ষিকী। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু গণবাঙালির মহান নেতা, স্বাধীন জাতির পিতা। তিনি আজীবন সহায়হীন মানুষের বন্ধু-ভাই-নেতা ও ত্রাতা হিসেবে কাজ করেছেন। ক্রমশ হয়ে উঠেছেন বাঙালি জাতিসত্তা, নির্ভীকতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীকপুরুষ। তার মঙ্গলময় সমাজ ও রাষ্ট্রের ধারণা নিয়ে আমরা আজ তার সুযোগ্যকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উজ্জ্বল আগামীর পথে এগিয়ে চলেছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়