ভূমিহীনদের ঘর পুনর্নির্মাণের দাবি বিএনপির

আগের সংবাদ

ঈদ ঘিরে লকডাউন শিথিল : ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত ৮ দিন সারাদেশে বিধিনিষেধ শিথিল, আজ প্রজ্ঞাপন

পরের সংবাদ

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য : হতদরিদ্রদের আমানত কমেছে ১০০ কোটি টাকার বেশি

প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : করোনার প্রভাবে স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিঘিœত হওয়ায় ব্যাংকে থাকা সঞ্চয় তুলে ফেলছেন হতদরিদ্ররা। বিনা মাশুলে ১০ টাকায় অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা থাকলেও এসব অ্যাকাউন্টে এক বছরে আমানত কমেছে ১০৪ কোটি টাকা।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত নো-ফ্রিল অ্যাকাউন্টের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন (জানুয়ারি-মার্চ ২০২১) থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে দেখা যায়, মার্চে এসে হতদরিদ্রদের অ্যাকাউন্ট সংখ্যা গেল বছরের মার্চের চেয়ে প্রায় ৫ লাখ বেড়ে ৩২ লাখ ছাড়িয়েছে। তবে এসব অ্যাকাউন্টে একই সময়ে আমানত ১০৪ কোটি টাকা (৩৪ শতাংশ) কমে দাঁড়িয়েছে ২১৮ কোটি টাকা।
এ ব্যাপারে বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, অ্যাকাউন্ট বেড়েছে কিন্তু আমানত কমেছে। ফলে বোঝা যাচ্ছে, নিজস্ব প্রয়োজন মেটাতে একটি অংশ তাদের সঞ্চয় ভেঙেছেন। করোনায় আয় কমে যাওয়াই এর প্রধান কারণ বলে তিনি মনে করেন।
তবে সরকারের কাছ থেকে সহায়তা নেয়ার জন্য অনেকে নতুন অ্যাকাউন্ট খুলে থাকতে পারেন। সে কারণেই অ্যাকাউন্ট সংখ্যা বেড়েছে বলে এই গবেষকের অভিমত। হতদরিদ্র ছাড়াও কৃষক, মুক্তিযোদ্ধা, স্কুল শিক্ষার্থী, গার্মেন্টস শ্রমিক, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীরা ১০/৫০/১০০ টাকার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে থাকেন। এসব অ্যাকাউন্ট নন-ফ্রিল অ্যাকাউন্ট নামেও পরিচিত। এসব অ্যাকাউন্টের এক-তৃতীয়াংশ এবং প্রায় অর্ধেক আমানত রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের।
মার্চ শেষে নন-ফ্রিল অ্যাকাউন্টে আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৮১ কোটি টাকা, যা গেল বছরের মার্চের চেয়ে ৪ কোটি টাকা কম। এসব হিসাবে কৃষকদের ৪২২ কোটি টাকা, মুক্তিযোদ্ধাদের ৫৬০ কোটি, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের ৬৮৭ কোটি, গার্মেন্টস শ্রমিকদের ১৭৫ কোটি টাকা ছাড়াও অন্যদের টাকা আমানত আছে।
পল্লী অঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়াতে ২০০ কোটি টাকার রিফাইন্যান্স স্কিমের অর্থ প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের দেয়া হয়। গত মার্চে আগের বছরের মার্চের তুলনায় ৩৭.৮৪ শতাংশ কম ঋণ বিতরণ হয়েছে। মহামারিতে সুবিধাবঞ্চিত জনগণের জীবিকা নির্বাহে বিশেষ করে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের কাছে সরকারি ভর্তুকি/মাইনে বিতরণে নো-ফ্রিল অ্যাকাউন্টগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে তীব্র সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও নো-ফ্রিল অ্যাকাউন্টের সংখ্যার ৯.৯৮ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধি, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দেশের অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিতে একটি দৃশ্যমান অগ্রগতিই নির্দেশ করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়