ভূমিহীনদের ঘর পুনর্নির্মাণের দাবি বিএনপির

আগের সংবাদ

ঈদ ঘিরে লকডাউন শিথিল : ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত ৮ দিন সারাদেশে বিধিনিষেধ শিথিল, আজ প্রজ্ঞাপন

পরের সংবাদ

খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক দাম কমেছে

প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : গত বছর বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি আঘাত হানার পর ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হয় খাদ্য উৎপাদন। ব্যাহত হয় আমদানি, রপ্তানি ও মজুত। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তীব্র হতে থাকে খাদ্য সংকটের আশঙ্কা। ফলে বিশ্ববাজারে বাড়তে থাকে দাম। ১২ মাস ধরে দামের ঊর্ধ্বমুখিতা অব্যাহত ছিল। তবে গত মাসে ক্রমবর্ধমান বাজারদরে ছন্দপতন ঘটেছে। এক বছরে প্রথমবারের মতো কমেছে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক দাম। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) কর্তৃক প্রকাশিত ফুড প্রাইস ইনডেক্সে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এফএও জানায়, বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেল, খাদ্যশস্য ও দুগ্ধপণ্যের দাম লক্ষ্যণীয় মাত্রায় কমেছে। মূলত এ কারণেই খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক মূল্য হ্রাস পেয়েছে। জুনে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক মূল্যসূচক গত মে মাসের তুলনায় কমেছে ২ দশমিক ৫ শতাংশ। এফএওতে খাদ্যপণ্যের গড় মূল্যসূচক দাঁড়িয়েছে ১২৪ দশমিক ৬ পয়েন্টে। মে মাসে মূল্যসূচক ছিল ১২৭ দশমিক ৮ পয়েন্ট। তবে গত বছরের জুনের তুলনায় মূল্যসূচক বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৯ শতাংশ। রোমভিত্তিক এফএও জানায়, চলতি বছর বিশ্বব্যাপী খাদ্যশস্য উৎপাদন প্রায় ২৮১ কোটি ৭০ লাখ টন, যা এক বছরের মধ্যে রেকর্ড সর্বোচ্চ।
জুনে এফএওর ভোজ্যতেলের মূল্যসূচক ৯ দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে। বিশ্বজুড়ে পাম অয়েল উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি প্রধান উৎপাদন দেশগুলোতে আমদানির চাহিদা কমছে। মূলত এ কারণেই ভোজ্যতেলের বৈশ্বিক মূল্য হ্রাস পেয়েছে। সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলও মূল্য হ্রাসে ভূমিকা রেখেছে।
এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যশস্যের দাম গত মে মাসের তুলনায় ২ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে।
তবে গত বছরের জুনের তুলনায় দাম এখনো ৩৩ দশমিক ৮ শতাংশ ঊর্ধ্বমুখী। এর মধ্যে ভুট্টার দাম কমেছে ৫ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্র ও আর্জেন্টিনায় উচ্চ হারে কৃষিপণ্যটির আবাদ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারে চাহিদামাফিক সরবরাহ ছিল। এ কারণেই দাম কমেছে।
এদিকে দুগ্ধপণ্যের মূল্যসূচক কমেছে ১ শতাংশ। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কমেছে মাখনের দাম। ইউরোপের দেশগুলোতে পণ্যটির মজুত বৃৃদ্ধি এবং বৈশ্বিক আমদানি চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় মাখনের দাম কমেছে। গত মাসে অন্যান্য পণ্যের দাম কমলেও চিনির দাম বেড়েছে। এফএওর চিনির মূল্যসূচক দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে। তিন মাস ধরেই পণ্যটির মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত আছে।
অন্যদিকে আমিষ পণ্যের দামও বেড়েছে। জুনে এফএওর মাংসের মূল্যসূচক এর আগের মাসের তুলনায় বেড়েছে ২ দশমিক ১ শতাংশ।
মূল্যবৃদ্ধির এ ধারা ১৫ মাস ধরে অব্যাহত আছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দাম বেড়েছে ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়