×

জাতীয়

মেয়র আতিক

টিকাদানের সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি করবে ডিএনসিসি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২৩ পিএম

টিকাদানের সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি করবে ডিএনসিসি

ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, 'স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবার আগে স্মার্ট নাগরিক প্রয়োজন। আজকে যারা শিশু তারাই আগামী দিনের স্মার্ট নাগরিক। তাই সবাইকে শতভাগ টিকার আওতায় আনা হবে।' এ সময় তিনি টিকাদানে ডিএনসিসির সক্ষমতা আরো বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেন। 

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ডিএনসিসির প্রধান কার্যালয় নগরভবনে আয়োজিত ই-ট্র্যাকার, জিআইএস-বেসড অনলাইন মাইক্রো প্ল্যানিং অ্যান্ড রিয়েল-টাইম রিপোর্টিং প্রোগ্রামে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র বলেন, 'শিশুদের যদি যথাসময় টিকা দেয়া সম্ভব হয় তাহলে ছোট থেকেই তার সুস্থ সবল থাকবে। এর জন্য যদি সিটি কর্পোরেশনের আরো ভ্যাকসিনেটর প্রয়োজন হয় সিটি কর্পোরেশন সেটারও ব্যবস্থা করবে।'

তিনি আরো বলেন, 'এক সময় এই দেশে টিকাদান কার্যক্রম চালানো অনেক কঠিন ছিল। টিকাদানে বাংলাদেশ আজ সফলতা অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্জন করেছেন ভ্যাকসিন হিরো পুরষ্কার। এটাই বাংলাদেশ, এটাই বাংলাদেশের সফলতা।' 

আরো পড়ুন: পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়সমুহ পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে

ডিএনসিসি মেয়র বলেন ই-ট্র্যাকার জিআইসের কল্যাণে সব শিশুদের তথ্য আমাদের কাছে চলে আসছে। এটা ভবিষ্যত পরিকল্পনার জন্য ভালো একটা উদ্যোগ। 

এই ডিজিটাল প্লাটফর্ম এর আওতায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন টিকাদান কর্মসূচিতে ইউনিসেফের সহযোগীতায় ই-ট্র্যাকার কার্যক্রম ২০২৩ সালের অক্টোবর হতে এবং জিআইএস বেইজড অনলাইন মাইক্রোপ্ল্যান ও ডেইলী রিপোর্টিং জানুয়ারি ২০২৪ হতে সফলভাবে চলছে। 

ইপিআই কর্মসূচিকে অধিকতর সাফল্যমন্ডিত করার লক্ষ্যে ইউনিসেফের সহযোগীতায়, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এ ২০১৮ হতে কর্মজীবি মায়ের শিশুদের জন্য সান্ধ্যকালীন টিকাদান কর্মসূচি ও ২০২৩ হতে ফ্রাইডে সেশন পরিচালনা করা হচ্ছে এবং ২০২২ হতে ডিএনসিসিতে ৮৫ জন টিকাদান কর্মী ইপিআই কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যাদের মাধ্যমে ১৭০ টি টিকাদান কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে। 

আরো পড়ুন: স্কুল বন্ধ-খোলা মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার, আপিল হবে

এর মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ২০২৩ সালে ৭৯৫৩২ টি শিশু ও ২০২৪ সালে ৩৯৫৯১ টি শিশু টিকাদান সেবা গ্রহণ করেছেন। ডিএনসিসি ১ লাখ ২০ হাজার শিশু লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ই-ট্র্যাকারে ৮২ হাজার (৭০%) শিশু রেজিষ্টার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে শতভাগ জিআইএস বেইজড অনলাইন মাইক্রোপ্ল্যানিং সম্পন্ন হয়েছে ও ডেইলী অনলাইন রিপোর্টিং চলমান রয়েছে। এছাড়া ২০২৩ সালে ১৯৩৬ টি জিরো ডোজ ও ১১১৭০ টি আংশিক টিকা প্রাপ্ত এবং ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত ১০৮১ টি জিরো ডোজ ও ৮৫১১ টি আংশিক টিকা প্রাপ্ত শিশু খুঁজে বের করা হয়েছে ও টিকা প্রদান করা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, ভাসমান জনগোষ্ঠী ও বেদেসহ ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠিকে খুঁজে বের করে টিকা প্রদান করা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের এই বিশাল অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ইপিআই ও এমআইএস বিভাগ, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং এনজিও সমূহ।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন- ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেনটেটিভ ইমা ব্রিংহাম, ডব্লিউএইচওর টিম লিডার-আইভিডি ডা. রাজেন্দ্র বহরা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App