×

জাতীয়

বিইউপি শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির মামলায় শিক্ষক কারাগারে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৩ পিএম

বিইউপি শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির মামলায় শিক্ষক কারাগারে

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) এক শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শান্ত মারিয়ামের সহকারী অধ্যাপক রশি কামালকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২২ এপ্রিল) চার দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পল্লবী থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের এসআই সেলিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অনলাইনে উত্যক্ত ও ধর্ষণের হুমকির অভিযোগে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঢাকার পল্লবী থানায় মামলা করেন ওই নারী। এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে আমার একটি গবেষণা ইন্দোনেশিয়ান জার্নাল অব সোশ্যাল রিসার্চ নামক জার্নালে প্রকাশিত হয়। গত ১৭ মার্চ বর্তমান বাসায় অবস্থানকালে আমার ব্যক্তিগত ইমেইলে আমার প্রকাশিত গবেষণাপত্রটি চেয়ে আসামি রশি কামাল তার মেইল থেকে অনুরোধ করেন।

আরো পড়ুন: ব্যারিস্টার কায়সার কামালকে এক হাত নিলেন খোকন

তিনি শান্ত মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছেন বলে পরিচয় দেন। আসামির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আমি আমার গবেষণাপত্রটি তার মেইলে পাঠিয়ে দেই। আমার গবেষণাপত্রটি আসামি পড়ে এবং আমার খুব প্রশংসা করে একটি কনফারেন্সে প্রকাশের জন্য আমার সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। আমার কাছে আসামি সিভি চাইলে আমি তা দিই।

পরে আমি তার রিসার্চ গেটের লিংক চাইলে তিনি তার ইমেইল থেকে আমার ইমেইলে পাঠান। আমি তার গবেষণাপত্রগুলো পড়ে বুঝতে পারলাম, তার গবেষণাগুলো ইঞ্জিনিয়ারিং সংক্রান্ত যা আমার গবেষণার বিষয় থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিধায় আমি তার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করিনি। তবুও তিনি আমার সঙ্গে স্কাইপিতে ভিডিও কলে কথা বলার জন্য বারবার অনুরোধ করেন, কিন্তু আমি ভিডিও কলে কথা বলতে রাজি হইনি।

এরপর গত ২৯ মার্চ রাত ১টা ৪ মিনিটে আসামি আমাকে ফোন দেন এবং যৌন হয়রানিমূলক কথাবার্তা বলে ফোন রেখে দেন। আসামি আমার হোয়াটসঅ্যাপসহ আমার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিয়ে নিজেকে রশি কামাল পরিচয় দিয়ে আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহার করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৯ মার্চ রাত অনুমান ১টা ৪ মিনিট থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে আসামির হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে আমার হোয়াটস অ্যাপ নম্বরে অশ্লীল যৌন হয়রানিমূলক কথাবার্তা বলে ধর্ষণ করার হুমকি দেয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App