×

জাতীয়

কবে সন্তান নেবেন তিশা, জানালেন মুশতাক (ভিডিও)

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:০৮ এএম

কবে সন্তান নেবেন তিশা, জানালেন মুশতাক (ভিডিও)

রাজধানী ঢাকার মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সিনথিয়া ইসলাম তিশা বিয়ে করেছেন ৬০ বছরের খন্দকার মুশতাক আহমেদকে। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সাবেক সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদের বয়স তিশার বাবার থেকেও ৮ বছর বেশি। কিন্তু এতে কোনো সমস্যা নেই তাদের। তাদের গল্প হার মানাচ্ছে সিনেমা বা উপন্যাসের কাহিনিকেও।  

সন্তান নেয়ার প্রসঙ্গে মুশতাক বলেন, তিশা এখনো স্টুডেন্ট। তিনি বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করছেন। তাই সন্তান কবে নিচ্ছেন এখনোই বলতে পারছেন না তিনি। সবকিছুরই একটা সময় আছে। সময় নির্ধারণ করে দেবে কখন কোন কাজটা করতে হবে। বর্তমানে ভালোই আছি। সবাই আমাদের জন্য দুআ করবেন যেন সুখী থাকতে পারি। 

এক কন্যাসন্তান রয়েছে খন্দকার মুশতাকের। নতুন মা তিশার থেকে বয়সে বড় সে। সম্পর্কে মা হলেও সেই মেয়ের সঙ্গে বেশ বন্ধুর মতো মানিয়ে নিয়েছেন তিশা। গণমাধ্যমকে তিশা জানিয়েছেন, স্বামীকে বুড়ো বলে মনে করেন না তিনি। তার স্বামীর সেই মনটা ৩৭ বছরের তরতাজা যুবকের মতো। তাই বয়সের ব্যবধান তাদের সম্পর্কে বাধা হয়ে ওঠেনি। স্বামীর অনুপ্রেরণাতেই লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছেন তিশা।

অনেকেই মন্তব্য করেছেন যে টাকার জন্য বিয়ে করেছে তিশা। কিন্তু মুশতাক বলেন, ‘তিশা ভালো পরিবারের সন্তান। সে ভালোবেসে আমাকে বিয়ে করেছে। এখানে টাকা-পয়সার লোভের প্রশ্নই আসে না’। মুশতাক বলেন, তিশা আমার বিবাহিত স্ত্রী। মুসিলম আইন মেনেই বিয়ে করেছি। সে সাবালিকা, তার নিজের সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার রয়েছে। আমি বলছি ভালো আছি, সেও বলছে ভালো আছে। প্রায় সে বলে, আমার ভালোবাসা ও অস্থার মানুষ খন্দকার মুশতাক। এখানে আমাদের হয়রানির মানে কী থাকতে পারে আমি জানি না।

 বিয়ে নিয়ে মিডিয়ায় ছড়ানোর বিষয়ে মুশতাক বলেন, ‘তিশার সঙ্গে বিয়ের বিষয়ে প্রাইভেট রাখতে চেয়েছি। আমি তো গোপন থাকতে চেয়েছি। কিন্তু এক মাস আগে রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়ার একটি ভিডিও ফেসবুকে দেয়ার পর ভাইরাল হতে থাকি।  

উল্লেখ্য, ঢাকার মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদের সঙ্গে তিশার প্রেমের শুরু ফেসবুকে। তিশাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠান মুশতাক। কথাবার্তা হয়েছিল ফেসবুকে নতুন পরিচিত কারও সঙ্গে যেমনভাবে হয়, ঠিক তেমনভাবেই। প্রথম দেখা হয়েছিল ঢাকার আইডিয়াল স্কুল ও কলেজের নবীনবরণ উৎসবে। সেখানে তিশা গিয়েছিলেন নতুন ছাত্রী হিসেবে। আর মুশতাক খন্দকার ওই কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য রূপে।

এই সাক্ষাতেই ধীরে ধীরে মজবুত হয়। পরিণত হয় প্রেমে। তিশাকে মুশতাক জিজ্ঞাসা করেছিলেন, এই সম্পর্কের পরিণতি ঠিক কী হতে চলেছে? জবাবে তিশা জানান, তিনি বিয়ে করতে রাজি। তবে তিশার বাড়ির লোক এই সম্পর্কটা মেনে নেননি। তিশাকে ঘরে তালাবন্ধ করে রাখেন তার বাবা-মা। কিন্তু বাড়ির ছাদ থেকে লাফিয়ে পালিয়ে যান তিশা। ঠাকুরগাঁও থেকে তিনি চলে যান ঢাকায় খন্দকার মুশতাকের কাছে। সেখানে ধর্মীয় রীতির পরে আইন মেনে বিয়ে করেন তারা।

তাতেও তিশার মা-বাবা এই সম্পর্ক মেনে নেননি। তারা থানায় খন্দকার মুশতাকের বিরুদ্ধে মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ আনেন। বিচার প্রক্রিয়া চলাকালীন তিশাকে কিছু দিন হোমে কাটাতে হয়। মুশতাকের আইনজীবী সাহাবুদ্দিন খান জানান, তিশার বাবা সাইফুল ইসলাম একটি মামলা করে তাকে নাবালিকা হিসাবে দাবি করেন। কিন্তু আদালতে তিশা এসে জবানবন্দি দিয়েছেন যে, স্বেচ্ছায় তিনি মুশতাককে বিয়ে করেছেন। বিচারকের কাছে তিশা জানান, তিনি সাবালিকা। স্বামীর কাছেই স্বেচ্ছায় থাকতে চান। স্বামীর সঙ্গে তার বয়সের ব্যবধান ৪০ বছরের বেশি। তবু তিশার দাবি, তিনি তার স্বামীর সঙ্গে সুখে ঘর-সংসার করছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App