×

জাতীয়

৩ হাজার রোহিঙ্গা দিয়ে শিগগিরই প্রত্যাবাসন শুরু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৪৯ এএম

৩ হাজার রোহিঙ্গা দিয়ে শিগগিরই প্রত্যাবাসন শুরু

ছবি: রয়টার্স

পাইলট প্রকল্পের আওতায় শিগগিরই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার। প্রথম ব্যাচে দেশটি ভেরিফায়েড তিন হাজার রোহিঙ্গাকে দিয়ে প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় বলে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) নেপিডোতে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মহাপরিচালক পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বৈঠকে থাকা দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন এ তথ্য। দায়িত্বশীল এ কূটনীতিক জানান, মিয়ানমারের সঙ্গে ভালো আলোচনা হয়েছে। তারা যত শিগগিরই সম্ভব প্রত্যাবাসন শুরু করতে রাজি হয়েছে। আলোচনা হয়েছে, ভেরিফায়েড তিন হাজার রোহিঙ্গা দিয়ে প্রত্যাবাসন শুরু হবে। প্রথম ব্যাচে টার্গেট; এটা যত দ্রুত সম্ভব হতে পারে।

তবে এ কর্মকর্তা নির্দিষ্ট করে এটা বলতে পারেননি এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া কতদিনের মধ্যে হতে পারে। তিনি ধারনা দেন, প্রথম ব্যাচ পাঠানো হলে পরবর্তী ব্যাচে ৫ হাজার বা তার পরের ব্যাচে ৭ হাজার রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসন করা হতে পারে। এ সংখ্যাগুলোই যে হবে, সেটা এখনো নিশ্চিত করে বলা ঠিক হবে না।

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরুর আগে রোহিঙ্গাদের মনোবল বাড়াতে হবে বলে জানান এ কূটনীতিক।

তিনি বলেন, যাদের প্রত্যাবাসন করা হবে তাদের আগে কনফিডেন্স বিল্ডিং বাড়াতে হবে। তারপর তাদের মধ্যে যারা স্বেচ্ছায় যেতে চায় তাদের পাঠানো হবে। আমরা টেকসই প্রত্যাবাসন করতে চাই, যেন প্রথম ব্যাচের পর পরবর্তী ব্যাচ যেতে থাকে।

মিয়ানমার থেকে একটি প্রতিনিধিদল কক্সবাজার এসে রোহিঙ্গাদের মনোবল বাড়ানোর বিষয়ে কাজ করার কথা রয়েছে। মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলের কক্সবাজার সফরের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে এ কূটনীতিক বলেন, তারা আসবে। আমরা চাই, তারা এসে রোহিঙ্গাদের আগ্রহী করে তুলুক। তাদের নিশ্চয়তা দিক। প্রত্যাবাসনের আগে আমাদের মূল টার্গেট রোহিঙ্গাদের কনফিডেন্স বিল্ড করা।

এবারের বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অনুবিভাগের মহাপরিচালক মিয়া মো. মাইনুল কবির ঢাকার পক্ষে নেতৃত্ব দেন। অন্যদিকে নেপিডোর প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক বিষয়ক মহাপরিচালক এইউএনজিকে।

উল্লেখ্য, চীনের ভূমিকায় ২০১৭ সালের নভেম্বরে প্রত্যাবাসন বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তি সই করে বাংলাদেশ। ২০১৮ সালের নভেম্বরে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার ভিত্তিতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু সে উদ্যোগটি ব্যর্থ হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App