জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় ও ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে শুদ্ধাচার পুরস্কার-২০২৩ দেয়া হয়েছে। প্রধান কার্যালয় কর্তৃক চারটি ক্যাটাগরিতে ছয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে এবং ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয় কর্তৃক দুইটি ক্যটাগরিতে দুইজন কর্মকর্তাকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে তাদের পুরস্কারের সম্মানী, ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেয়া হয়েছে। পুরস্কার প্রদান করেন-জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান। এসময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন-অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার সহ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালকগণ, খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক, ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয় ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকগণ এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সহ প্রধান কার্যালয়, ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয় ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের কর্মচারীরা। পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন যারা প্রধান কার্যালয় থেকে গ্রেড-২ থেকে গ্রেড-৯ ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে পুরস্কার পেয়েছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক (কার্যক্রম) শাহনাজ সুলতানা ও সহকারী পরিচালক (কার্যক্রম) তাহমিনা বেগম। গ্রেড-১০ থেকে গ্রেড-১৬ ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে পুরস্কার পেয়েছেন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক শারমিন আক্তার ও সহকারী হিসাবরক্ষক জাহাঙ্গীর আলম। গ্রেড-১৭ থেকে গ্রেড-২০ ক্যাটাগরিতে পেয়েছেন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের নমুনা সংগ্রহকারী মোঃ আব্দুল কুদ্দুছ। বিভাগীয় কার্যালয়ের প্রধান হিসেবে পেয়েছেন খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ ইব্রাহীম হোসেন। ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয় থেকে গ্রেড-৯ ক্যাটাগরিতে জেলা পর্যায়ে পেয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: সেলিমুজ্জামান। পুরস্কার প্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ পুরস্কার প্রাপ্তির পরে তাঁদের অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেন এবং কর্মক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানে অধিদপ্তরের পরিচালক পুরস্কার প্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে পুরস্কার প্রাপ্ত সহ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাওয়ার আহবান জানান। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, বর্তমান সরকার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে কাজে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে বাংলা নববর্ষ ভাতা, শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান নীতিমালা অনুযায়ী কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী এক বছর পুরস্কার পেলে পরবর্তী তিন বছর পুরস্কার পাবেন না। এই সীমাবদ্ধতার জন্য পুরস্কার প্রাপ্তির যোগ্য হলেও সবাইকে পুরস্কার প্রদান করা সম্ভব হয় না। তিনি পুরস্কার প্রাপ্ত সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং তাঁদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রতিটি পুরস্কার কাজের স্বীকৃতি দেয়ার সাথে সাথে দায়িত্ববোধকে বাড়িয়ে দেয়। তিনি সরকারী সেবা প্রদানে অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার আহবান জানান। অনুষ্ঠান শেষে মহাপরিচালক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ ভোক্তা-অধিকার রক্ষায় সরকারি সেবা প্রদানে আন্তরিক ও সচেষ্ট হবেন এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।