সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-এমপির অবৈধ সম্পদের খোঁজ
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২০ পিএম
সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এবং খুলনা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আকতারুজ্জামান বাবু।
সাবেক দুই মন্ত্রী ও এক সংসদ সদস্যের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তারা হলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এবং খুলনা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আকতারুজ্জামান বাবু।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, হবিগঞ্জ ৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমের ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। তিনি নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে তার নিজ নামে, স্ত্রী ও পরিবারের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। তার আত্মীয়-স্বজনের নামে সিন্ডিকেট তৈরি করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। দেশে-বিদেশে তার বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে সঠিক মনে হয়েছে। যে কারণে তার ও পরিবারের সদস্যদের অবৈধ সম্পদের প্রকাশ্য অনুসন্ধানের জন্য কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরো পড়ুন : মানিলন্ডারিং: বসুন্ধরার মালিকদের বিরুদ্ধে সিআইডির অনুসন্ধান
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের কাছে প্রায় ১ লাখ ভোটের ব্যবধানে মো. মাহবুব আলী পরাজিত হন। এর আগে ২০১৪ সালে অ্যাডভোকেট মো. মাহবুব আলী প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে এমপি নির্বাচিত হয়ে তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
আকতারুজ্জামান বাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ক্ষমতা অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি, ফ্ল্যাট ক্রয়সহ স্ত্রী ও নিজ সন্তানদের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন। সংসদ সদস্য হয়েও স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে নিজ নামীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জামান এন্টারপ্রাইজ এর নামে কাজ করে দেশের আইন লঙ্ঘন করেছেন।
অন্যদিকে সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি-নিয়োগ বাণিজ্য, ভুয়া রোগী সাজিয়ে সরকারি অনুদানের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। করোনাকালে প্রশিক্ষণ না করিয়ে বিল উত্তোলন, কাজ না করেই টিআর, কাবিখার মতো বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। মায়ের নামে ‘করিমপুর নূরজাহান-সামসুন্নাহার মা ও শিশু বিশেষায়িত হাসপাতাল' নির্মাণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে তার নিজ নামে, স্ত্রী ও পরিবারের নামে দেশে বিদেশে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন।