×

সারাদেশ

২২ ঘন্টায় শেষ হলো ১০.৪ কিলোমিটার সড়কে আলপনা আঁকা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২১, ০৩:৩৮ পিএম

২২ ঘন্টায় শেষ হলো ১০.৪ কিলোমিটার সড়কে আলপনা আঁকা

১০.৪ কিলোমিটার সড়কে আলপনা

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিববর্ষকে স্মরণীয় করে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লেখাতে গাইবান্ধায় মাত্র ২২ ঘন্টায় শেষ হলো  ১০ দশমিক ৪ কিলোমিটার সড়কে আলপনা অংকনের কাজ। প্রায় এক হাজার ১০০ জন শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবকের রং তুলির ছোঁয়ায় এই কাজ সম্পন্ন হয়। শুক্রবার (১৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা পুলিশ লাইনের সামনে থেকে বাংলাবাজার এলাকায় অংকনের কাজ শেষ হয়।

দুপুর ১২টার দিকে গাইবান্ধা শহরের বাংলাবাজার চৌমাথা মোড়ে জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন আনুষ্ঠানিকভাবে এই অংকন কাজের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। এরপর তিনি ফিতা কেটে সড়কে যানবাহন চলাচল উন্মুক্ত করেন। এসময় শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবকরা জেলা প্রশাসককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এরপর জেলা প্রশাসক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সড়কে অংকনের কাজ ঘুরে দেখেন।

কর্মসুচির সমাপনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস্ অ্যাসোসিয়েশন অব গাইবান্ধার (পুসাগ) সভাপতি হুসেইন মো. জীম, সাধারণ সম্পাদক একে প্রামানিক পার্থ, নির্বাহী সভাপতি তন্ময় নন্দী, প্রধান সমন্বয়ক চন্দ্র শেখর চৌহান প্রমুখ।

অংকনের সমাপ্তি ঘোষণার পর জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন বলেন, দীর্ঘ সড়কে অংকনের জন্য গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে গাইবান্ধার নাম উঠবে ভেবে খুব ভালো লাগছে। এজন্য তোমাদের জন্য আমার সহযোগিতা থাকবে। সড়কে অংকনের কাজ দেখে আমি অবিভূত ও আনন্দিত হয়েছি। আলপনার কারণে শুধু গিনিস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে গাইবান্ধার নাম উঠবে না, গাইবান্ধা-সাঘাটা সড়কের সৌন্দয্য বৃদ্ধি পেয়েছে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক বলেন, তোমাদের এই উদ্যোগ মহান। আমি আশা করি তোমাদের এই উদ্যোগের ধারা যেন অব্যাহত থাকে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে এই কাজ শুরু করা হয়। এই কর্মসুচির নাম দেওয়া হয় বিশ্বের দীর্ঘতম আলপনা উৎসব। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় গাইবান্ধা-ফুলছড়ি-সাঘাটা সড়কের জেলা শহরের পুলিশ লাইনের সামনে আলপনা অংকনের কাজ শুরু করা হয়। কর্মসুচির শুভ উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিববর্ষকে স্মরণীয় করে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লেখাতে এই কর্মসুচি হাতে নেওয়া হয়।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি মেডিকেল কলেজ পড়ুয়া গাইবান্ধার শিক্ষার্থীদের সংগঠন পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস্ অ্যাসোসিয়েশন অব গাইবান্ধার (পুসাগ) শিক্ষার্থীরা এই উদ্যোগ নেয়। তারা গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে আলপনা অংকন শুরু করেন। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অংকনের কাজ শেষ হবার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অংকনের কাজ শেষ হয়। জেলা শহরের বাংলাবাজার চৌমাথা মোড় থেকে সাঘাটা উপজেলার ভাঙ্গামোড় পর্যন্ত গাইবান্ধা-ফুলছড়ি-সাঘাটা সড়কের ১০ দশমিক ৪ কিলোমিটার অংশ আলপনা অংকন সম্পন্ন করা হয়। পুসাগের শিক্ষার্থীসহ প্রায় এক হাজার ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক এই কাজে অংশ নেয়।

পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস্ অ্যাসোসিয়েশন অব গাইবান্ধার (পুসাগ) সভাপতি হুসেইন মো. জীম বলেন, ১০ দশমিক ৪ কিলোমিটার সড়কে আলপনা আঁকার জন্য ২৪ ঘন্টা সময় নিয়ে ২২ ঘন্টায় কাজটি শেষ করতে পেরেছি। আমরা বিশ্বের বর্তমানে সাড়ে ৬ কিলোমিটার আলপনার রেকর্ড ভাংতে পেরেছি। অংকন শিল্পী, শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবকদের দিনরাত পরিশ্রমের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। আমাদের এই কাজটি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্বীকৃতি পেলে আমরা ধন্য হবো। তিনি আরও বলেন, এই কাজে মোট ছয় হাজার লিটার রং লেগেছে। যা সরবরাহ করেছে আরএফএল রেইনবো পেইন্ট। এই কাজে যারা সহযোগিতা করেছেন, আমি তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App