×

সারাদেশ

সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে

Icon

ডুমুরিয়া খুলনা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ১২:৩৫ পিএম

সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে

ছবি: সংগৃহীত

খুলনার ডুমুরিয়ায় তেল উৎপাদনে সূর্যমুখী চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। বিগত বছরগুলোতে ফসলটি চাষে বেশ লাভজনক হওয়ায় এ বছর তুলনামূলকভাবে দ্বিগুণ জমিতে আবাদ করছেন স্থানীয় কৃষকরা। বর্তমান বাজারে ২৫০ টাকা প্রতি লিটার কোলেস্টরলমুক্ত সূর্যমুখীর ভোজ্য তেল বাণিজ্যিকভাবে সফল করেছে স্থানীয় কৃষকদের।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ বছর উপজেলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। বীজ আকারে ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭০ টন। বাজারে সূর্যমুখী বীজের চাহিদা বাড়ায় কৃষকরাও বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছেন। সূর্যমুখী ফুল থেকে উৎপাদন হয়। এদিকে এর তেল বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার আড়াইশ টাকা করে। কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় স্থানীয় চাষীরা সূর্যমুখী আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

খুলনার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, প্রথম দিকে সূর্যমুখী পতিত জমিতে আবাদ হলেও পর্যায়ক্রমে তা আরো কয়েকটি উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ে। সূর্যমুখী ফুলের বীজ থেকে তেল ও খৈল হয়। ফুলের ক্ষেতে মৌচাক বসিয়ে বাণিজ্যিকভাবে মধুও সংগ্রহ করা যায়।

কৃষিবিদরা বলছেন, সূর্যমুখী বীজ রোপণের ৯০-১০৫ দিনের মধ্যেই কৃষক ফুল থেকে বীজ ঘরে তুলতে পারেন। এক বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুল চাষ করে প্রায় ৭ মণ বীজ পাওয়া যায়। এ বীজ ১০-১২ হাজার টাকায় বিক্রি করা যায়। কৃষি কর্মকর্তারা সূর্যমুখী ফুলের বীজ থেকে তৈরি তেল বাজারের অন্যান্য তেলের চেয়ে ভালো বলে দাবি করেছেন।

ডুমুরিয়া উপজেলার টিপনা গ্রামের খর্নিয়া ইউনিয়নের কৃষক শেখ মঞ্জুর রহমান জানান, উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিত পালের পরামর্শে তিনি কৃষি অফিস থেকে সার ও বীজ সংগ্রহ করে জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছেন। ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। এ বছর তিনি এক বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেন।

ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ইনসাদ ইবনে আমিন জানান, অন্য যে কোনো ফসলের চেয়ে সূর্যমুখী ফুল চাষে খরচ কম হয়। এতে সার-ওষুধ কম লাগে। তেমন পরিচর্যাও করতে হয় না। চাষ বৃদ্ধি পেলে এ বীজ বিদেশ থেকে আর আমদানি করতে হবে না।

তিনি আরো জানান, এ বছর কৃষি প্রণোদনার আওতায় সব উপজেলায় ২৮০০ জন কৃষককে সূর্যমুখী বীজ এবং সার বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলায় সূর্যমুখী চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩০০ হেক্টর, যার শতভাগ অর্জিত হয়েছে।

এদিকে দিন দিন সূর্যমুখী চাষ বাড়ছে। কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

এই ফুল দেখতে কিছুটা সূর্যের মতো এবং সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে বলে এর নাম করণ সূর্যমুখী হয়েছে। এ ফুলের বীজ হাঁস মুরগির খাদ্য হিসেবে ও ভোজ্য তেলের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। গত বছর খুলনার  ডুমুরিয়ায় ৩৭৪ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছিল। 

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App