×

সারাদেশ

৩ কোটির বায়োমেট্রিক চালুর আগেই অচল!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৫১ পিএম

৩ কোটির বায়োমেট্রিক চালুর আগেই অচল!

ছবি: ভোরের কাগজ

নীলফামারীর ডিমলায় ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন-সংস্কার (স্লিপ ফান্ড) তহবিল থেকে ২১৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হাজিরা মেশিন কেনার নির্দেশনা দেন তৎকালীন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস।

এ নির্দেশে প্রধান শিক্ষকরা নিম্নমানের মেশিন ক্রয় করলেও গত তিন বছরে হয়নি সঠিক ভাবে সেটআপ, কিংবা হয়নি কখনো চালু, ফলে অধিকাংশ মেশিন অচল হয়ে পড়েছে।

একাধিক প্রধান শিক্ষক বলছেন, তৎকালীন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসের নির্দেশে তার পছন্দের প্রতিষ্ঠান থেকে সিংহভাগ মেশিন সরবরাহ করেছে। আমরা স্লিপের টাকা চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করেছি।

তখন এই মেশিন বাজার দর ছিল ছয় থেকে সাত হাজার টাকা, অথচ তা আমরা পরিশোধ করেছি ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা।

উপজেলার ঠাকুরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে আমরা হাজিরা মেশিন ক্রয় করেছি, সংযোগ না থাকায় কখনো ব্যবহার করা যায়নি, এখন দেখছি মেশিনটি নস্ট হয়েছে। অফিসে বারবার বললেও তারা কোন কর্ণপাত করেনি।

সুন্দরখাতা ১ নং সপ্রাবির প্রধান শিক্ষক অনন্ত কুমার রায় বলেন, অফিস থেকে আমাদের এই মেশিন দেয়া হয়েছে, আমরা একদিনও ভালোভাবে চালাতে পারিনি, মেশিন ভালো আছে নাকি নষ্ট হয়েছে কিভাবে বুঝবো আমরা, শিক্ষা অফিসে বলেছি কোন কাজ হয়নি।

খগাবড়বাড়ী বালিকা সপ্রাবির প্রধান শিক্ষক আইনুল হক বলেন, মেশিন লাগানোর পর আমরা চালু করতে পারিনি, শিক্ষা অফিসে বলেছি একাধিকবার কিন্তু কোন নির্দেশনা দেননি।

ডিজিটাল হাজিরা মেশিন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী স্বাধীন সরকার জানান, তৎকালীন শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসের মাধ্যমে ডিমলা উপজেলার ১৪৬টি বিদ্যালয়ে আমরা হাজিরা মেশিন সরবরাহ করেছি।

প্রতিটি মেশিনের দাম ধরা হয়েছিলো ৮ হাজার টাকা। পাশাপাশি সিম ও সফটওয়্যার বাবদ ধরা হয়েছে আরও ২ হাজার টাকা কিন্তু তা পরিশোধ করা হয়নি।

সাবেক এই শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শিক্ষকদের হাজিরা মেশিন ক্রয়ের নির্দেশনা দিয়েছিলাম, তারা কোথা থেকে কিনেছে এটা তাদের ব্যাপার, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App