×

জাতীয়

গ্রামে বসেই ব্যাংকে টাকা জমা-উত্তোলন ও ঋণ পাওয়া যাবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০৬:৩০ পিএম

গ্রামে বসেই ব্যাংকে টাকা জমা-উত্তোলন ও ঋণ পাওয়া যাবে

ছবি: ভোরের কাগজ

কারো ব্যাংক হিসেবে টাকা আছে। কিন্তু থাকেন হিসাবধারী থাকেন গ্রামে। কিন্তু ব্যাংক মফস্বল শহরে কিংবা জেলা শহরে। অথবা যখন হঠাৎ টাকা দরকার, কিন্তু ব্যাংক খোলা নেই। গ্রামে কোন এটিএম বুথও নেই। এই সমস্যা সমাধানে এটুআই-এর পেমেন্ট পরিষেবা প্ল্যাটফর্ম ‘একপে’ ও জয়তুন বিজনেস সলিউশনস এগিয়ে আসছে।

আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশের সব গ্রামে তারা গড়ে তুলবে ভিলেজ ডিজিটাল বুথ। এই বুথ থেকে ব্যাংকের কার্ড বা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে টাকা জমা ও উত্তোলন যাবে। এছাড়া হিসাবধারীরা ঋণও পাবেন।

গ্রামে বসবাসকারী মানুষদের জন্য এমন সেবার পরিকল্পনার কথা জানায়, এটুআই ও জয়তুন বিজনেস সলিউশনস। সেই লক্ষে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) এটুআই ও জয়তুন বিজনেস সলিউশনসের মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর এবং জয়তুন বিজনেস সলিউশনস-এর চেয়ারম্যান মো. আরফান আলী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

এই দুই প্রতিষ্ঠান জানায়, এই বুথ গ্রাম এলাকায় স্থাপন করা হবে। বুথের মাধ্যমে ব্যাংকিং, শেয়ার বাজার ও বীমা খাতসহ বিভিন্ন আর্থিক সেবা পাবে সেখানকার বাসিন্দারা। সরকারি পরিষেবা বিল পরিশোধ, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ভাতাসমূহ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত বিল পরিশোধ, টেলিমেডিসিন, ই-টিকেটিং ইত্যাদি অনেকটা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মতো সেবা পাওয়া যাবে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সেবা পাওয়া যাবে বলে দাবি এটুআই ও জয়তুনের।

ইতোমধ্যে দেশের ৩৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এই সেবা দিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা। চলতি মাসের শেষ নাগাদ এই ডিজিটাল বুথ স্থাপনের পাইলটিং শুরু হবে মুন্সিগঞ্জ জেলার ৫০টি গ্রামে।

নূন্যতম এইচএসসি পাশ স্থানীয় উদ্যোক্তা এই বুথ পরিচালনা করবে। যিনি মূলত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হয়ে সকল লেনদেনের কাজ করবেন। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মতো লেনদেনের উপর নির্ভর করবে তার আয়। বুথে যে টাকা লেনদেন হবে সেই বিনিয়োগ হবে ওই উদ্যোক্তার। উদ্যোক্তার ব্যাংক হিসাবে লক্ষাধিক টাকা থাকলে তিনি কার্যক্রম চালাতে পারবেন।

এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের অভিজ্ঞতার আলোকে এই প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তোলা হবে। এর মাধ্যমে দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করবে। যা দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।

জয়তুন বিজনেস সলিউশনস-এর চেয়ারম্যান মো. আরফান আলী বলেন, ব্যাংক হিসাবের বিপরীতে সেবা পেতে কোন একটা ডিজিটাল মাধ্যম যেমন-মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড থাকতে হবে। ইকেওয়াইসি প্রযুক্তির মাধ্যমে এসব লেনদেন সম্পন্ন করা হবে। কাজটা শুরু করা গেলে একটা সময় ব্যাংকগুলো এই উদ্যোক্তার মাধ্যমে ঋণও দেয়া শুরু করতে পারবে।

উদ্যোক্তার জন্য ব্যবসাবান্ধব করে সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ করা হবে। এখানে আমাদের লক্ষ্য শুধু ব্যবসায় লাভ করা নয় একইসাথে উদ্যোক্তা তৈরি ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির কাজটাও আমরা করতে চাই। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ডিজিটাল বুথ বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং সেবার সাঙ্গে সম্পৃক্ত করে দেশের উন্নয়ন আরো ত্বরান্বিত হবে।

অনুষ্ঠানে জয়তুন বিজনেস সলিউশনস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আকবর হোসাইনসহ দুই প্রতিষ্ঠানের আরো কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App