×

জাতীয়

কুমিল্লার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২১, ০৪:৫৭ পিএম

কুমিল্লার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

কুমিল্লার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

কুমিল্লার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

কুমিল্লার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা
কুমিল্লার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) দুর্গাপূজার চতুর্থ দিনে বিকেল ৪টায় গণভবন থেকে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে কেন্দ্রীয় পূজামণ্ডপে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।

এ সময় কুমিল্লার পূজামণ্ডপে সৃষ্ট গুজবকে কেন্দ্র করে মণ্ডপ ভাঙচুর এবং অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে সব ধর্মের মানুষ পূর্ণ অধিকার নিয়ে শান্তিতে থাকবেন। কুমিল্লার ঘটনার তদন্ত চলছে, যেই জড়িত থাকুক ধরা হবে। আইনের আওতায় আনা হবে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। যে ধর্মেরই হোক না কেন বিচার করা হবে। পূজামণ্ডপে অরাজকতা সৃষ্টিকারীদের সরকার আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবে। যথাযথ শাস্তি তাঁদের দিতে হবে। মানে এমন শাস্তি, যেন ভবিষ্যতে আর কেউ সাহস না পায়, সেটাই আমরা চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কুমিল্লার ঘটনার তদন্ত হচ্ছে, আমরা অনেক তথ্য পাচ্ছি। এখন ডিজিটাল যুগ। জড়িত যারা আর যেই ধর্মেরই হোক না কেন, আমরা তাদের খুঁজে বের করবই।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে ঘটনা ঘটেছে, সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং সার্বক্ষণিকই আমরা যোগাযোগ রাখছিলাম এবং এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে এবং যেখানে যেখানে যারাই এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটাবে, সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের খুঁজে বের করা হবে। এটা আমরা অতীতেও করেছি এবং সেটা আমরা করতে পারব।’

এ সময় স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি আগে বিভিন্ন মন্দিরে যেতাম, ঘুরতাম, খেতাম। এখন আর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর পারি না। আমি বের হলেই জ্যাম লেগে যায়। ঢাকেশ্বরী মন্দির ও রামকৃষ্ণ মিশনে যেতাম। এখন একটা বড় জেলে বন্দি আছি। ২০০৭ সালে একটা ছোটো জেলে ছিলাম।

তিনি বলেন, নিজেরা নিজেদের ক্ষুদ্র সম্প্রদায়, অমুক-তমুক মনে করবেন কেন?এই মাটিতে আপনার জন্ম। এই মাটিতে আপনাদের যাদের জন্ম, আপনারা তারই সন্তান। কাজেই এখানে সবাই নিজেদের অধিকারে বসবাস করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে নিজেদের সংখ্যালঘু সংখ্যাগুরু এই সংখ্যা দিয়ে বিচার করবেন না। স্বাধীন বাংলায় স্বাধীন নাগরিক হিসেবে বসবাস করবেন। সেই আত্মবিশ্বাসটা আপনাদের মাঝে থাকতে হবে। এটাই আমি চাই।

সরকার প্রধান বলেন, আমি আপনাদের আবারও অনুরোধ করব আপনারা কখনোই নিজেদেরকে সংখ্যালঘু ভাববেন না।

‘আমাদের এই দেশের নাগরিক হিসেবে মানি। সমঅধিকারে আপনারা বসবাস করেন। আপনারা সমঅধিকার ভোগ করবেন। সমঅধিকার নিয়ে আপনাদের ধর্ম পালন করবেন, উৎসব পালন করবেন। সেটাই আমরা চাই।’

এটাই হচ্ছে আমাদের বাংলাদেশের আসল নীতি এবং আমাদের আদর্শ। আপনারা জানেন আমাদের ধর্ম ইসলাম এই বিবেদের কথা বলে নাই।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কিশোর রঞ্জন মণ্ডল। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী মিলন কান্তি দত্ত, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন ঢাকার অধ্যক্ষ স্বামী পূর্নাত্মানন্দ মহারাজ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App