জাকের সুপার মার্কেট : সংঘর্ষে সভাপতিসহ আহত ২

আগের সংবাদ

অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ : সীতাকুণ্ডের ‘সীমা অক্সিজেন লিমিটেডে’ বিস্ফোরণে নিহত ৬, আহত আরো ২৫

পরের সংবাদ

বিজেএমইএর তথ্য : এলইইডি সনদপ্রাপ্ত কারখানায় শীর্ষে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: মার্চ ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : সবুজ কারখানার দিক দিয়ে তৈরি পোশাক খাতের অগ্রগতিতে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ। পোশাক কারখানায় কাজের পরিবেশ আরো অনুকূলে আনতে বিশ্বজুড়ে চলছে পরিবেশবান্ধব কর্মস্থল গড়ার কাজ। আর এতে সবার চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। এর মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোর পাওয়া ১০০ কারখানার মধ্যে ৫১টিই বাংলাদেশে।
সম্প্রতি সাভারের আশুলিয়ার অনন্ত গার্মেন্টস এন্ড স্পোর্টসওয়্যার লিমিটেড এলইইডি ও+এম, বর্তমান স্থাপনা ভি৪.১ রেটিংয়ে মোট ৮৯ পয়েন্টে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে একটি প্লাটিনাম সার্টিফিকেট পেয়েছে।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) তথ্য অনুসারে, দেশের পোশাক শিল্পে এখন পর্যন্ত ১৮৮টি কারখানার এলইইডি সার্টিফিকেশন রয়েছে। ২০২৩ সালেই এ পর্যন্ত পাঁচটি কারখানা ইউনিট এলইইডি সার্টিফিকেশন পেয়েছে। ২০২২ সালে মোট ৩০ কারখানা ইউনিট এলইইডি সার্টিফিকেশন পেয়েছে, যা এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বর্তমানে দেশের পোশাক শিল্পে প্লাটিনাম ক্যাটাগরিতে ৬৪টি, গোল্ড ১১০টি, সিলভারে ১০টি ও আরো চারটি এলইইডি প্রত্যয়ন পেয়ে ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটে নিজেদের অবস্থান সুসংহত করেছে।
বিজিএমইএ জানায়, এর বাইরে ৫৫০টি কারখানা হয় নিবন্ধিত বা ইউএসজিবিসির এলইইডি সার্টিফিকেশনের অপেক্ষায় রয়েছে। বিশ্বের শীর্ষ ১০টি এলইইডি-প্রত্যায়িত কারখানার আটটিই বাংলাদেশে। ২০০১ সাল থেকে বাংলাদেশের কারখানা এলইইডি সার্টিফিকেশন পাচ্ছে।
রূপান্তর কর্মক্ষমতা, শক্তি, পানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ বেশ কয়েকটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে ইউএসজিবিসি কারখানাগুলোকে স্বীকৃতি দেয়। এছাড়া সেরা কারখানাগুলোকে যথাক্রমে প্লাটিনাম, গোল্ড ও রৌপ্য সার্টিফিকেট দেয়া হয়।
শিল্প সংশ্লিষ্টদের মতে, সবুজ কারখানায় এ মানদণ্ডগুলো সময়ের সঙ্গে পরিচালন খরচ কমাতে উল্লেখযোগ্যভাবে সাহায্য করে। যদিও প্রাথমিকভাবে এটি বাস্তবায়ন কিছুটা ব্যয়বহুল। তবে এই কারখানাগুলো কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ কাজের পরিবেশ দেয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প এখন স্থায়িত্ব, জলবায়ু পরিবর্তন, ভূগর্ভস্থ পানি হ্রাস ও দক্ষতার ক্রমবর্ধমান সমস্যাগুলো মোকাবিলা করে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব দেয়ার জন্য প্রস্তুত। এছাড়া বিশেষজ্ঞ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাওয়া মতো সবুজ পোশাক কারখানার ক্রমবর্ধমান সংখ্যা বাংলাদেশকে ব্যবসা বৃদ্ধিতে একটি সুবিধাজনক জায়গা দেবে।
এ ব্যাপারে বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, এই সময়ে অর্ডার ও রপ্তানি নিয়ে উদ্বিগ্ন হলেও নির্মাতারা এলইইডি-প্রত্যায়িত কারখানার মাধ্যমে ক্রমাগত দেশকে ব্র্যান্ডিং করছেন। তিনি বলেন, বৈশ্বিক অস্থির অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে এই ব্র্যান্ডিংগুলো প্রতিযোগীদের তুলনায় আমাদের ভালো ব্যবসার সুযোগ দিয়েছে। এটি লোকসান মোকাবিলায় সহযোগিতা করছে। তিনি আরো বলেন, উদ্যোক্তারা এই ব্র্যান্ডিং চালিয়ে যাওয়ার জন্য দৃঢ় সংকল্পের সঙ্গে কাজ করছেন। এটি ক্রেতাদের কাছে তাদের আরো ভালোভাবে উপস্থাপন করতে সহায়তা করছে। তিনি আরো বলেন, যখন বিশ্ব পরিস্থিতি ভালো হবে, তখন আমরা সবার চেয়ে এগিয়ে থাকব।
পোশাক প্রস্তুতকারকদের মতে, রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর গ্রিন ফ্যাক্টরি বিল্ডিংয়ের দিকে অগ্রসর হওয়া বাংলাদেশের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করেছিল। ওই ঘটনায় ১ হাজার ১৩৪ জন প্রাণ হারান ও ২ হাজার জনের বেশি আহত হন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়