হাসপাতালে ভর্তি আরো ৩৮১ রোগী : ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতন হওয়ার আহ্বান মন্ত্রীর

আগের সংবাদ

মহা আড়ম্বরে সমাহিত মহারানি

পরের সংবাদ

মির্জা ফখরুল : দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে সরকার

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সরকার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ যখন তাদের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করছে, সংগ্রাম করছে তখন তারা (সরকার) সন্ত্রাস, হত্যা, সভা পণ্ড করার মধ্যদিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়। যাতে ক্ষমতায় টিকে থাকা সহজ হয়।
গতকাল রবিবার বিকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর পল্লবীসহ সারা দেশে দলের কর্মসূচিতে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে মহানগর বিএনপি উত্তর-দক্ষিণ যৌথভাবে এ সমাবেশের আয়োজন করে। মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হক ও রফিকুল আলম মজনুর পরিচালনায় সমাবেশে বিএনপির সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ফখরুল বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন শুরু হয়েছে। আমাদের এই আন্দোলন চাল-ডাল-তেলের দাম কমানো, দুর্নীতি নির্মূল, ভোটের অধিকারকে রক্ষার করার জন্য। অথচ আওয়ামী লীগের সরকার তারা তাদের পেটুয়া বাহিনী নামিয়ে দিয়েছে। তারা হত্যা করেছে ভোলা ছাত্র ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে এবং নারায়ণগঞ্জে যুবদলের নেতাকে। বিএনপির সিনিয়র নেতাদের ওপর আঘাত করছে তারা।
বিএনপির মহাসচিব অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীনরা সন্ত্রাস করছে সভা-সমাবেশ করতে অনুমতি দিচ্ছেন না। আমি বলতে চাই, এসব করবেন না। এভাবে বাংলাদেশের মানুষকে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না, নিপীড়ন-দমন করে বাংলাদেশের মানুষকে কখনো দাবিয়ে রাখতে পারবেন না। দুর্বার গণআন্দোলনের মধ্যদিয়ে আপনাদের পরাজিত করা হবে। এ সময় রাজধানীতে চলমান কর্মসূচির সময়ে দলের গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার দাবি জানান তিনি।
সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, এখনো সময় আছে পদত্যাগ করুন, পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন।
সংসদ বিলুপ্ত করুন এবং একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করে নতুন সংসদ ও সরকার তৈরি করতে হবে। এ সময় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, মোমবাতি প্রজ¦লনের মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিও সরকারের সহ্য হলো না। তাহলে কী দাঁড়াল? দেশের মানুষ কথা বলতে পারবে না। তারা নিপীড়ন-নির্যাতন করে যাবে, আর আমরা সহ্য করতে থাকবো? যথেষ্ট হয়েছে। সারা দেশের জনগণ ফুঁসে উঠেছে, সারা বাংলাদেশের জনগণ আজ রাজপথে নেমে এসেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়