হাসপাতালে ভর্তি আরো ৩৮১ রোগী : ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতন হওয়ার আহ্বান মন্ত্রীর

আগের সংবাদ

মহা আড়ম্বরে সমাহিত মহারানি

পরের সংবাদ

হয়রানি বন্ধে ফের অবস্থান কর্মসূচিতে ঢাবি শিক্ষার্থী

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঢাবি প্রতিনিধি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) প্রশাসনিক জটিলতায় সৃষ্ট নানা হয়রানি বন্ধে আট দফা দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। তাই পুনরায় অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী হাসনাত আব্দুল্লাহ।
গতকাল রবিবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। এই আট দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। এর আগে গত ৩০ আগস্ট একই দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এই শিক্ষার্থী। অবস্থান কর্মসূচি থেকে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি এবং সমস্যা নিরসনে ১০ দিনের আল্টিমেটাম দেন। তবে দাবিগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমলে নেয়নি। তাই পুনরায় অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন জানিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘ভিসি স্যারকে এর আগে যখন স্মারকলিপি দিয়েছিলাম, তখন তিনি দাবিগুলো যৌক্তিক বলে তা বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি কথা রাখেননি এবং রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে আজ আমাকে বাধাও দেয়া হয়েছে। ৯টায় অফিস সময় হলেও ৯টা ৪০ মিনিটেও রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনুপস্থিত ছিলেন। সেই ছবি তুলতে গেলে আমি বাধার সম্মুখীন হই।’
তিনি আরো বলেন, ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমি কার্যক্রম চালিয়ে যাব। আগামীকাল (সোমবার) গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করব। যতদিন না পরিবর্তন আসবে ততদিন আমার আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
এদিকে গত ৩০ আগস্ট থেকে প্রশাসনিক ভবনের বিভিন্ন সেবা সম্পর্কে একটি জরিপ করেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। সেখানে সাবেক ও বর্তমান মোট ৭০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। তার জরিপে উঠে আসা তথ্যগুলো হলো ৮৯.২% শিক্ষার্থীর প্রশাসনিক ভবনের সেবার অভিজ্ঞতা ভয়াবহ ও অপ্রত্যাশিত। সবচেয়ে ভয়াবহ তথ্য হলো ৬৮.৩% শিক্ষার্থীর মতামত হলো প্রশাসনিক ভবনে ঘুষ লেনদেন ও স্বজনপ্রীতির চর্চা হয়। সর্বোচ্চ সংখ্যক হয়রানি হয় ভর্তি শাখায়, বৃত্তি শাখায়, মার্কশিট শাখায় ও ট্রান্সক্রিপ্ট শাখায় (ক্রমানুযায়ী)। ৪০০-এর অধিক শিক্ষার্থীর শুনতে হয়েছে, ‘লাঞ্চের পরে আসুন’, ‘এটা এই রুমের কাজ না’, ‘কাগজ এখনো হল থেকে আসেনি’। মোট ৮৬.১% শিক্ষার্থী মনে করেন প্রশাসনিক ভবনের বর্তমান কাজ ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণার সম্পূর্ণ বিপরীত বা শূন্য। ৪০০ এর বেশি শিক্ষার্থীর অভিযোগ- সেবা দাতাদের কাছে সেবা গ্রহীতারা নিরুপায় এবং সেবা গ্রহীতাদের সময়ের কোনো মূল্য নেই। প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থীর মতে প্রশাসনিক ভবনের সেবার মান অপরিবর্তিত থাকার কারণ কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছাচারিতা, স্বচ্ছতার অভাব।

৭২.৮% শিক্ষার্থী মনে করেন সেবার মান উন্নয়নের জন্য প্রত্যক্ষ আন্দোলনের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করা উচিত। এর আগে একই দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে সংবাদ সম্মেলনও করেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়