গাজীপুরের পানি বিষাক্ত : শিল্পায়নের মূল্য দিচ্ছে স্থানীয়রা

আগের সংবাদ

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী : যথাসময়ে নির্বাচন হবে

পরের সংবাদ

সাড়ে আট হাজার কোটি টাকার ৬ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় বাড়ল ১ হাজার ৪৮ কোটি টাকা। এই প্রকল্পসহ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৮ হাজার ৭৩৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট ৬টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৫ হাজার ৯২৯ কোটি ৩ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক অর্থায়ন ২ হাজার ৮১০ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ সভা হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সভায় সংযুক্ত হন। সভা শেষে সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি ২০১৭ সালের জুলাই মাসে একনেকে অনুমোদন পেলেও কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালে। তাই প্রকল্পটির কাজ ২০২০ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সময় বাড়াতে হয়। এদিকে চট্টগ্রাম বন্দরের আপত্তি, জমি অধিগ্রহণে অপেক্ষা, ট্রাফিক বিভাগের অনুমতি না পাওয়া, লালখান বাজার অংশের নকশা সংক্রান্ত আপত্তি ও বিকল্প সড়ক চালু করতে সময়ক্ষেপণসহ নানা কারণে প্রকল্পটি দীর্ঘসূত্রতায় পড়ে। প্রকল্পটির মূল ব্যয় ছিল ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। সেখান থেকে ১ হাজার ৪৮ কোটি ১১ লাখ ১৭ হাজার টাকা বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৪ হাজার ২৯৮ কোটি ৯৫ লাখ ১১ হাজার টাকা। বর্তমানে প্রকল্পটির আর্থিক অগ্রগতি ২ হাজার ৩১২ কোটি ২২ লাখ ৭৩ হাজার টাকা (৭১ দশমিক ১৩ শতাংশ) এবং বাস্তব অগ্রগতি ৭৫ শতাংশ। এছাড়া বর্তমানে অনুমোদিত প্রকল্পের ফ্লাইওভারের অ্যালাইনমেন্টে সামান্য পরিবর্তন করা হয়েছে। ভূমি সমতলে রাস্তার প্রশস্থতা বজায় রাখতে পিয়ারের পরিসর কমিয়ে ফ্লাইওভারের নকশা সংশোধন করা হয়েছে। কংক্রিটের গ্রেড উন্নয়ন ও অতিরিক্ত নির্মাণকাজের জন্য ব্যয় বৃদ্ধি, কিছু অঙ্গের পরিমাণ ও ব্যয় হ্রাস-বৃদ্ধি এবং বাস্তবায়ন মেয়াদ ২ বছর বাড়ার কারণে প্রকল্পটি প্রথম সংশোধন করা হয়েছে।
একনেক বৈঠকে অনুমোদন পাওয়া অন্য কোম্পানিগুলো হলো- সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প কুমিল্লায় ময়নামতি-ব্রাহ্মণবাড়িয়া জাতীয় মহাসড়ককে ৪ লেন জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ এবং বরিশাল-ভোলা-ল²ীপুর জাতীয় মহাসড়কের বরিশাল (চারকাউয়া) হতে ভোলা (ইলশা ফেরিঘাট) হয়ে ল²ীপুর পর্যন্ত সড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ‘ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস (ইনমাস) মিটফোর্ড, কুমিল্লা, ফরিদপুর, বরিশাল ও বগুড়ার সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্প।
এছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্প এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেল সংযোগ নির্মাণ (বাংলাদেশ অংশ) (৪র্থ সংশোধিত) প্রকল্প। একনেক সভায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুুদ, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়