ওমর সানীকে গুলি করার হুমকি জায়েদ খানের

আগের সংবাদ

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ : পাচার হওয়া অর্থ দেশে আনার প্রস্তাবে সমর্থন

পরের সংবাদ

১০ ডাকাত গ্রেপ্তার : ডাকাতির সময় ধর্ষণও করত তারা

প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আশুলিয়া এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- সর্দার হিরা শেখ ওরফে কালাম শেখ ওরফে সোলেমান শেখ (৪০), হাসান মোল্লা ওরফে ইশারত মোল্লা (৩৯), আরিফ প্রামাণিক ওরফে আরিফ হোসেন (৩৩), নুর ইসলাম (৫৩), রাজু শেখ ওরফে রাজ্জাক (৫৪), রেজাউল সরকার (৪৯), মো. রতন (৩৬), শরিফুল ইসলাম (৩৯), মো. হানিফ (৪২) ও নজরুল ইসলাম (৩৫)। গত শনিবার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
র‌্যাব জানিয়েছে, আন্তঃজেলা এ ডাকাত চক্রটি যাত্রীবেশে মহাসড়কে গত দেড় বছরে ১৫টির বেশি ডাকাতি করেছে। এমনকি ঢাকা-দিনাজপুরগামী একটি বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণের ঘটনাও ঘটায় তারা।
স¤প্রতি ঢাকার আশুলিয়ায় হানিফ পরিবহন ও গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে স্টার লাইন পরিবহনের বাসে ডাকাতির ঘটনায় সম্পৃক্ততা ছিল গ্রেপ্তারকৃতরা। সাধারণত মহাসড়কের নির্জন এলাকায় বাস ডাকাতির জন্য বেছে নিত তারা। এ ঘটনা তদন্ত করতে গিয়েই এ চক্রের সন্ধান পায় র‌্যাব। সবার বিরুদ্ধেই একাধিক মামলা রয়েছে। অনেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগও করেছেন।
গতকাল রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর কারওয়ানবাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে ১০ ডাকাতকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, সংঘবদ্ধ এ ডাকাত চক্রের সদস্য সংখ্যা ১০-১৫ জন। আটক ডাকাত সর্দার হীরা ও তার অন্যতম সহযোগী হাসান মোল্লা বিভিন্ন ডাকাতির পরিকল্পনা করত। ডাকাত দলটি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন জেলামুখী যাত্রীবাহী বাসে উঠে ডাকাতি করে আসছিল।
চট্টগ্রাম-সিলেট মহাসড়কে সৌদিয়া বাসে ডাকাতির সময় তারা চালকের হাতে ও হেলপারের পেটে ছুরিকাঘাত করে। তিনি আরো বলেন, তিন বছর আগে ঢাকা-দিনাজপুরগামী একটি বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটায় এই চক্র। সর্বশেষ তারা ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জগামী স্টারলাইন পরিবহনে ডাকাতি করে। ডাকাতির জন্য তারা ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন দূরপাল্লার আন্তঃজেলা বাসগুলোকে টার্গেট করে। এক্ষেত্রে চক্রটির কয়েকজন আগে থেকেই কাউন্টার থেকে টিকিট কেনার মাধ্যমে বাসে ওঠেন। অন্য সদস্যরা পরবর্তী বিভিন্ন কাউন্টার থেকে টার্গেটকৃত বাসে ওঠেন। এছাড়া যেসব দূরপাল্লার বাস কাউন্টার ব্যতীত যাত্রী ওঠায় তারা এসব বাসকে প্রাধান্য দিয়ে ডাকাতি করেন। র‌্যাবের মুখপাত্র বলেন, ডাকাতচক্রের হোতা হিরা শেখ আগে গার্মেন্টস পণ্য বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকলেও পরে ডাকাতির পেশায় জড়িয়ে পড়ে। তার নামে দেশের বিভিন্ন থানায় ডাকাতিসহ অস্ত্র আইনে ৭টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার হাসান মোল্লা তার অন্যতম সহযোগী।
তার বিরুদ্ধেও দেশের বিভিন্ন থানায় ডাকাতিসহ অস্ত্র আইনে ১০টি মামলা রয়েছে। এছাড়াও গ্রেপ্তার নুর ইসলাম, হানিফ, আরিফ, শরীফ ও রতন এই চক্রের অন্যতম সদস্য। তারা পেশায় অটোরিকশা ও পিকআপ ভ্যান চালকসহ অন্যান্য পেশার আড়ালে ডাকাতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি করে চক্রটি কী পরিমাণ সম্পদ গড়েছে জানতে চাইলে কমান্ডার মঈন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি করলেও চক্রের সব সদস্যের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় হাজিরাসহ বিভিন্নভাবে টাকা খরচ হয়ে যেত। এ কারণে তারা সেভাবে সম্পদ গড়তে পারেনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়