সংসদে আলোচনা : ‘ছয় দফা ছিল স্বাধীনতার সিঁড়ি’

আগের সংবাদ

ছয় লক্ষ্য অর্জনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন : ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ের বাজেট, সর্বোচ্চ ঘাটতির দিক থেকেও নতুন মাইলফলক > বাজেট ২০২২-২৩

পরের সংবাদ

সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ড : বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ গুনতে হবে বিমা কোম্পানিগুলোকে

প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় বিমা কোম্পানিগুলোকে বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ গুণতে হবে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। তবে এখন পর্যন্ত খুব অল্পসংখ্যক বিমা দাবি উত্থাপন হয়েছে বলে জানিয়েছে বিমা কোম্পানিগুলো।
গত শনিবার অগ্নিকাণ্ডের পর বিস্ফোরণের এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে প্রশাসন। এতে আহত হয়েছে আরো দুই শতাধিক।
এ ছাড়াও রপ্তানির জন্য প্রস্তুতকৃত এবং আমদানি করা প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতি নিরূপণের পর দ্রুত বিমা দাবি নিষ্পত্তির আশ্বাস দিয়েছে বিমা কোম্পানিগুলো। অনলাইন মাধ্যমে এ সংক্রান্ত ঘোষণার পাশাপাশি এরই মধ্যে যেসব গ্রাহকের ক্ষতির সংবাদ এসেছে তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার আশ্বাস দেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে বিমা কোম্পানিগুলো।
প্রসঙ্গত, বিমা হলো নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে জীবন, সম্পদ বা মালামালের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কোনো প্রতিষ্ঠানকে স্থানান্তর করা এবং এর মাধ্যমে ব্যক্তি বা বিমা প্রতিষ্ঠান অর্থের বিনিময়ে মক্কেলের আংশিক বা সমস্ত সম্ভাব্য ঝুঁকি গ্রহণ করে থাকে। বাংলাদেশে সাধারণত দুই ধরনের বিমা করা হয়- জীবন বিমা ও সাধারণ বিমা।
জানা গেছে, সর্বশেষ দুটি এক্সপোর্ট ইন্স্যুরেন্স পলিসি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানতে পেরেছে রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদ মামুন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পলিসি দুটির মধ্যে একটির বিমা অঙ্ক ১ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এই পলিসির আওতায় থাকা সম্পদ পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত (টোটাল লস) হয়েছে। আরেকটি পলিসির বিমা অঙ্কের পরিমাণ ৩২ লাখ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা (১ ডলার= ৮৯.২৪ টাকা)। এর মধ্যে ১৫ লাখ মার্কিন ডলারের সম্পদ অক্ষত থাকলেও বাকি ১৭ লাখ মার্কিন ডলারের সম্পদের অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আশঙ্কা করা হচ্ছে- বাকি সম্পদের বেশির ভাগই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সাধারণ বিমা করপোরেশনের পুনর্বিমা বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সরাসরি তাদের অগ্নিবিমা পলিসি ইস্যু করা হয়নি। তবে ৪৫টি বেসরকারি বিমা কোম্পানির পুনর্বিমাকারী হিসেবে এ ঘটনায় তাদের কাছে পুনর্বিমা দাবি উত্থাপন হতে পারে। তবে লোকসানের সীমা যদি পূর্ব নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে বেশি হয় তাহলে তাদের বিদেশি পুনর্বিমা কোম্পানির কাছ থেকে সেটা পূর্ণ করা হবে।
গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের এসইভিপি এন্ড হেড অব ডিজিটাল বিজনেস মো. মনিরুজ্জামান খান বলেন, সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো বিমা দাবি উত্থাপন হয়নি। তবে আমাদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে বিশেষভাবে নজর রাখতে বলা হয়েছে। যদি কোনে বিমা দাবি উত্থাপন হয়, তাহলে দ্রুততার সঙ্গে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়