ঢামেকে আগুন আতঙ্ক, রোগীর স্বজনদের ছুটাছুটি

আগের সংবাদ

কড়া নির্দেশনা কার্যকরে ঢিলেমি

পরের সংবাদ

১৭৬ জন ব্যবসায়ী পেলেন সিআইপি কার্ড : অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারণে মাথাপিছু আয় বেড়েছে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। ২০৩০ সালের আগেই বাংলাদেশ এসডিজি অর্জন করবে। দেশের এ উন্নয়নে ব্যবসায়ীদের অবদান অনেক। ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা ছাড়া দেশ এগিয়ে যেতে পারে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবসাবাণিজ্যের উন্নয়নের বিকল্প নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ব্যবসাবাণিজ্যে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, জীবনযাত্রার মান বেড়েছে। সবগুলোই হয়েছে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির কারণেই।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। ২০২৬ সালের পর বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেই ব্যবসাবাণিজ্য করতে হবে। এজন্য আমাদের প্রস্তুতি দরকার। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য দক্ষতা বাড়াতে হবে ব্যবসাবাণিজ্যে। দেশকে উন্নত করতে রপ্তানি বাড়ানোর বিকল্প নেই। রপ্তানি আয় বাড়াতে আমাদের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। রপ্তানি বাণিজ্যে উৎসাহিত করার জন্য আজ ২০১৮ সালের জন্য মনোনীত ১৭৬ জন ব্যবসায়ীকে সিআইপি কার্ড দেয়া হচ্ছে। বর্তমান সরকার সবসময়ই ব্যবসায়ীদের উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে। আগামীতে এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
পণ্য রপ্তানিতে অবদান রাখায় দেশের ১৩৮ জন ব্যবসায়ীকে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) হিসেবে নির্বাচন করেছে সরকার। এছাড়া পদাধিকার বলে ট্রেড ক্যাটাগরি থেকে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের ৩৮ পরিচালকও পেয়েছেন সিআইপি মর্যাদা। এ উপলক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত সিআইপি (রপ্তানি) ও সিআইপি (ট্রেড)-২০১৮ কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যবসাবাণিজ্যে এগিয়ে যেতে আমাদের সামনে সমস্যা অনেক, বাধা অনেক। দক্ষতার সঙ্গে এগুলোকে অতিক্রম করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। অল্পসংখ্যক পণ্য নিয়ে বিশ্ব রপ্তানি বাজারে ভালো করা যাবে না। এজন্য রপ্তানি পণ্যের সংখ্যা বাড়াতে হবে, একই সঙ্গে বাজার স¤প্রসারণ করতে হবে। বিশ্বের অনেক দেশ আছে, যেখানে বাংলাদেশের তৈরি পণ্যের প্রচুর চাহিদা আছে। সেখানে আমাদের রপ্তানি করতে হবে। ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নে সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে।
উল্লেখ্য, দেশের মোট ২২টি খাতের ১৮টি পণ্য এবং সেবা খাত থেকে ২০১৮ সালে মোট ১৩৮ জনকে সিআইপি (রপ্তানি) এবং একই সময়ের জন্য ৩৮ জন (পদাধিকার বলে) ব্যবসায়ী নেতাকে সিআইপি (টেড্র)সহ সর্বমোট ১৭৬ জনকে সিআইপি সম্মানে ভূষিত করা হলো।
সিআইপি মনোনীত সবাইকে তার মেয়াদকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য পাস ও গাড়ির স্টিকার পাবেন, বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানও মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন কর্তৃক আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন, ব্যবসাসংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণ অগ্রাধিকার পাবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়