নজরুল ইসলাম খান : খালেদা জিয়ার কিছু হলে রেহাই পাবেন না

আগের সংবাদ

নতুন বছরে সরকারের ১০ চ্যালেঞ্জ

পরের সংবাদ

এশিয়া প্যাসিফিকের বাণিজ্যে উল্লম্ফনের আশা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : গতকাল থেকে কার্যকর হয়েছে রিজিওনাল কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ (আরসিইপি)। দীর্ঘ এক দশকের আলোচনার পর বাস্তবায়নের মুখ দেখছে বিশ্বের বৃহত্তম মুক্তবাণিজ্য চুক্তিটি। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও এশিয়া প্যাসিফিক দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য বাধা দূর করবে। সহজতর হবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। ফলে এ অঞ্চলের বাণিজ্যে উল্লম্ফনের আশা দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের ভাষ্য, এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো অর্থনৈতিক জায়ান্টরা। জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভ্যালের খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার ১০ দেশ ছাড়াও এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। জোটটির অর্থনীতির আয়তন মোট জিডিপির ৩০ শতাংশ। অঙ্কের হিসাবে এটি ২৬ লাখ ২০ হাজার কোটি ডলার এবং বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। সংশ্লিষ্টদের মতে, এ চুক্তি বিশ্বের সবচেয়ে বড় অবাধ বাণিজ্য অঞ্চল তৈরি করেছে। যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা ও মেক্সিকোর মধ্যকার মুক্তবাণিজ্য চুক্তি বিশ্ব বাণিজ্যের ২৮ শতাংশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের একক বাজার প্রায় ১৮ শতাংশের চেয়েও আরসিইপির পরিধি বড়।
এ ব্যাপারে অর্থনীতিবিদ রল্ফ ল্যাংহ্যামার বলেন, আরসিইপি অগভীর তবে অনেক বড় চুক্তি। কারণ এটি বিশ্বের বেশির ভাগ শিল্পোৎপাদনকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। তবে সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো এটি এশিয়াকে বিশাল আন্তঃআঞ্চলিক বাণিজ্য ধরার সুযোগ করে দেবে। যেমনটা বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো উপভোগ করে। সুতরাং এ অঞ্চলের বাণিজ্যে বড় ধরনের উল্লম্ফন দেখা দেবে।
আরসিইপির অধীনে ব্লকের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ বাণিজ্য শুল্ক বাদ পড়ছে। ২০১৯ সালে দেশগুলোর মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি ডলার। শুল্ক ছাড় এটিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। চুক্তিটি করোনার বিপর্যয় কাটিয়ে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে ত্বরান্বিত করবে বলেও আশা করছেন বিশ্লেষকরা।
চুক্তিটি নিয়ে সাম্প্রতিক বিশ্লেষণে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক সম্মেলন (আঙ্কটাড) জানিয়েছে, আরসিইপি আন্তঃআঞ্চলিক বাণিজ্যে ৪ হাজার ২০০ কোটি ডলার যুক্ত করবে। তবে এ চুক্তির সুবিধা অসম হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কিয়েল ইনস্টিটিউট ফর দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ল্যাংহ্যামার বলেন, স্বাক্ষরকারী ১৫ দেশের মধ্যে এ চুক্তির সুবিধাগুলো অসম হবে। এ অঞ্চলের বড় অর্থনীতি হিসেবে চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে বলে মনে করেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়