কাগজ ডেস্ক : ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার ‘প্রতিনিধিরা’ ডিসেম্বরের শুরুর দিকে তার নেতৃত্বাধীন সরকারকে ফেলে দেয়ার একটি পরিকল্পনা আঁটছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। দেশটির সীমান্তে রাশিয়ার ব্যাপক সৈন্য সমাবেশ কেন্দ্র করে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যে গত শুক্রবার তিনি এ অভিযোগ করেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
জেলেনস্কি বলেন, যে অডিও রেকর্ডের ভিত্তিতে তিনি অভ্যুত্থান পরিকল্পনার বিষয়টি জানতে পেরেছেন, সেই রেকর্ডিংগুলোতে ইউক্রেনের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি রিনাত আখমাতভের নামও এসেছে। আখমাতভ পরে এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্টের বক্তব্যকে ‘নির্জলা মিথ্যা’ অ্যাখ্যা দিয়ে অভ্যুত্থান পরিকল্পনায় তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ উড়িয়ে দেন। জেলেনস্কি তার অভিযোগে সরাসরি মস্কোর নাম না নিলেও ক্রেমলিনের এক মুখপাত্র বলেন, ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে জড়িয়ে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা রাশিয়ার নেই।
সীমান্তে রুশ সৈন্য সমাবেশ ঘিরে ইউক্রেন এবং এর পশ্চিমা মিত্রদের উদ্বেগও মস্কো উড়িয়ে দেয়। গত শুক্রবার নেটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেনস স্টলটেনবার্গ রাশিয়াকে সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেনের ওপর বল প্রয়োগ করলে মস্কোকে ‘চড়া মূল্য দিতে হবে’। তবে কী ধরনের মূল্য দিতে হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি। জেলেনস্কি রাশিয়ার দিক থেকে আসা ‘খুবই বিপজ্জনক, উসকানিমূলক কথাবার্তার’ নিন্দা জানান। তিনি বলেন, উত্তেজনা যে আরো বাড়বে, এটা তার একটা সংকেত। যুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে- এই হুমকি বিদ্যমান। আমরা যে কোনো ধরনের উত্তেজনাকর পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।

বিবিসি জানায়, রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বড় অংশ এখনো ক্রিমিয়ায় অবস্থান করছে। ২০১৪ সালের মার্চে তারা ইউক্রেনের কাছ থেকে এই এলাকাটি দখলে নিয়েছিল। সম্প্রতি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দনবাস অঞ্চলের কাছেও তাদের ব্যাপক সৈন্য সমাবেশ দেখা যাচ্ছে। দনবাসের বেশির ভাগ অংশই রুশ মদতপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে।
সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ১ ডিসেম্বর অভ্যুত্থান হবে এমন তথ্য পেয়েছি আমি। পরিকল্পনাকারী হিসেবে রুশ ‘প্রতিনিধিদের’ কথা বললেও তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেননি তিনি।