বঙ্গভবনের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করলেন রাষ্ট্রপতি

আগের সংবাদ

পিছু হটলো হতচকিত বিএনপি : ক্ষুব্ধ বেশির ভাগ নেতাকর্মী সমর্থক ও সমমনারা > মাঠে ছিলেন না সিনিয়র নেতারা

পরের সংবাদ

ঢাকা থিয়েটারের সুবর্ণজয়ন্তী

প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

স্বাধীন বাংলাদেশের থিয়েটার চর্চায় অগ্রণী নাট্যদল ‘ঢাকা থিয়েটার’। যুদ্ধফেরত কয়েক তরুণ ১৯৭৩ সালের ২৯ জুলাই প্রতিষ্ঠা করেন এ নাট্যদলটি। ওই বছরের নভেম্বরে প্রয়াত নাট্যকার ও অধ্যাপক সেলিম আল দীনের লেখা ‘সংবাদ কার্টুন’ নাটকটি মঞ্চস্থ হয়েছিল ঢাকা জেলা ক্রীড়া সমিতি মিলনায়তনে। ‘ঢাকা থিয়েটারের’ প্রথম সেই নাটকের টিকেটের দাম ছিল ২ টাকা। সেই থেকেই যাত্রা, তারপর পাঁচ দশকের পথ হেঁটে বাংলা নাটকের জমিনকে করেছেন সমুন্নত। দীর্ঘ এ নাট্যযাত্রায় দলটির অন্যতম কাণ্ডারির ভূমিকায় ছিলেন নাসির উদ্দীন ইউসুফ, সেলিম আল দীন, শিমূল ইউসুফসহ আরো কয়েকজন। নাসির উদ্দীন ইউসুফ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রয়াত নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের নেতৃত্বেই মূলত ঔপনিবেশিকমুক্ত বাংলা ও বাঙালির নাট্যরীতি ও আঙ্গিকের উদগাতা এই দল। ঢাকা থিয়েটারের দীর্ঘ জার্নির সঙ্গে মিশে আছেন তিনি। সেলিমের প্রয়াণে আমাদের যাত্রাটা হোঁচট খেয়েছে। যে জায়গায় আমরা পৌঁছানোর স্বপ্ন দেখতাম, সেটি আমরা স্পর্শ করতে পারিনি। তবে পাঁচ দশকে ঢাকা থিয়েটারের অর্জনও কম নয়।’ বাংলা নাটকের শেকড়ে ফেরার স্বপ্নটা ঢাকা থিয়েটার অনেকের মাঝেই ছড়িয়ে দিতে পেরেছে বলে মনে করেন নাসির উদ্দীন ইউসুফ। ‘ঢাকা থিয়েটারের’ তত্ত্বাবধানে ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ‘বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার’। সে কথা স্মরণ করে নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, ‘বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার সৃষ্টির মধ্য দিয়ে এই দল বাংলাদেশের নাট্যান্দোলনে একটি বিপ্লবী পরিবর্তন ঘটিয়েছে।’ ‘ঢাকা থিয়েটারে’ একসময় নিয়মিত অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনয় শিল্পী হুমায়ুন ফরীদি, আফজাল হোসেন, রাইসুল ইসলাম আসাদ, সুবর্ণা মুস্তাফা, জহির উদ্দিন পিয়ার, শহীদুজ্জামান সেলিম, শমী কায়সার, ফারুক আহমেদ। যাদের অনেকেই পরে পর্দায় অভিনয় করে দেশজুড়ে পেয়েছেন তারকাখ্যাতি। চলচ্চিত্রকার সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী, নাট্য শিক্ষক ও নির্দেশক সৈয়দ জামিল আহমেদও যুক্ত ছিলেন এই নাট্যদলের সঙ্গে। এ নাট্যদলটির প্রথম আহ্বায়ক ছিলেন তিনজন, তারা হলেন- সেলিম আল দীন, নাসির উদ্দীন ইউসুফ ও ম হামিদ। ১৯৭৩ সালে ঢাকা থিয়েটার মঞ্চে আনে ‘সংবাদ কার্টুন’, ‘সম্রাট ও প্রতিদ্ব›দ্বীগণ’। ১৯৭৪ সালে ‘জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন’, ‘বিদায় মোনালিসা’। এরপর ‘মুনতাসির’ (১৯৭৬), ‘চর কাঁকড়া’, ‘ফণিমনসা’ (১৯৭৭), ‘শকুন্তলা’ (১৯৭৮)। এছাড়াও ‘মুনতাসির ফ্যান্টাসি’, ‘ধূর্ত ওই’, ‘কেরামত মঙ্গল’, ‘কিত্তনখোলা’, ‘ত্রিরতœ’, ‘শকুন্তলা’, ‘হাতহদাই’, ‘যৈবতী কন্যার মন’, ‘চাকা’, ‘বনপাংশুল’, ‘বিনোদিনী’, ‘প্রাচ্য’, ‘একাত্তরের পালা’, ‘নিমজ্জন’, ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’, ‘দ্য টেম্পেস্ট, নাটকগুলো মঞ্চে এনেছে ঢাকা থিয়েটার। প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদযাপন করছে ‘ঢাকা থিয়েটার, সুবর্ণজয়ন্তীতে ঢাকার জাতীয় নাট্যশালায় দুদিনব্যাপী নাটক ও অনুষ্ঠানের পসরা নিয়ে এসেছে এই নাট্য সংগঠনটি। গতকাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিল ‘প্রাচ্য ও দ্বৈতাদ্বৈবাদী’ শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনী। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন রামেন্দু মজুমদার, ফেরদৌসী মজুমদার, মামুনুর রশীদ, ম হামিদ ও সৈয়দ সালাউদ্দীন জাকী।

:: মেলা প্রতিবেদক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়