চট্টগ্রামে ফয়েস লেক বেসক্যাম্প উদ্বোধন

আগের সংবাদ

কাটবে যেসব সংকট : আইএমএফের ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ

পরের সংবাদ

ইআরডির প্রতিবেদন : অর্থবছরের ৬ মাসে কমেছে বৈদেশিক ঋণ ছাড়

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মহামারি করোনা ভাইরাসের তাণ্ডবে থমকে যাওয়া বৈশ্বিক অর্থনীতি গতি ফিরে পেলেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আবারো তৈরি হয় অস্থিরতা। অর্থনৈতিক এ সংকটের মধ্যে বৈদেশিক বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণ ও অর্থ সহায়তা কম পাচ্ছে সরকার। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) সরকার বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ ও সহায়তা বাবদ ৩৭৮ কোটি ৫ লাখ ডলার পেয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৩৯ কোটি ডলার কম। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে এ খাতে এসেছিল প্রায় ৪১৭ কোটি ডলার।
সম্প্রতি অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) প্রকাশিত বৈদেশিক সহায়তাবিষয়ক মাসিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ইআরডির তথ্য মতে- চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে খাদ্য এবং প্রকল্প সহায়তা বাবদ বৈদেশিক অনুদানের অর্থছাড় গত অর্থবছরের তুলনায় বেশি হয়েছে। তবে এ সময়ে ঋণের অর্থছাড় অনেকটা কম হয়েছে। প্রথম ৬ মাসে অনুদানের অর্থছাড় হয়েছে প্রায় ২১ কোটি ডলার। যা গত অর্থবছর একই সময়ে ছিল প্রায় ১৫ কোটি ডলার। আর ঋণের অর্থছাড় হয়েছে ৩৫৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার। যা গত অর্থবছরের ছিল ৪০২ কোটি ৫২ লাখ ডলার।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে সবচেয়ে বেশি অর্থছাড় হয়েছে জাপানের উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে। তাদের কাছ থেকে এসেছে ৯২ কোটি ১৬ লাখ ডলার। এরপরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অর্থছাড় করেছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)।
তাদের কাছ থেকে এসেছে ৫৬ কোটি ৭৩ লাখ ডলার। এছাড়া বিশ্বব্যাংকের উন্নয়ন সংস্থার (আইডিএ) কাছ থেকে এসেছে ৫৪ কোটি ৩ লাখ ডলার। চীন থেকে এসেছে ৫৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার। রাশিয়া থেকে অর্থছাড় হয়েছে ৪৪ কোটি ডলার, ভারত দিয়েছে ১৬ কোটি ৩৫ লাখ ডলার। এছাড়া অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে এসময়ে অর্থছাড় হয়েছে ৩৬ কোটি ২৮ লাখ ডলার।
তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে অর্থাৎ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৈদেশিক অর্থসহায়তার প্রতিশ্রæতিও কমেছে আশঙ্কাজনক হারে। এ সময় বিভিন্ন দাতা সংস্থা থেকে প্রতিশ্রæত অর্থের পরিমাণ ১৭৬ কোট ২২ লাখ ডলার। অথচ এর আগের বছরের একই সময়ে বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রæতি এসেছিল প্রায় ৪৩০ কোটি ডলার। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় প্রতিশ্রæতি কমেছে ৬০ শতাংশ।
অন্যদিকে এ সময়ে ঋণ পরিশোধের চাপও বাড়ছে। আগের চেয়ে বেশি বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করতে হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ১০৫ কোটি ৩৪ লাখ ডলারের সমপরিমাণ ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১০৪ কোটি ৩ লাখ ডলার। ডলারে পরিশোধের পরিমাণ মাত্র ১ কোটির একটু বেশি হলেও টাকার হিসাবে পরিমাণ তুলনামূলক বেশি। ডলারের দাম বাড়ায় ১ হাজার ২৬১ কোটির বেশি টাকা খরচ বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে এ খাতে খরচ হয়েছে ১০ হাজার ১৪০ কোটি টাকা টাকার বেশি। গত বছর একই সময়ে ৮ হাজার ৮৭৮ কোটি টাকার বেশি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়