প্রণয় ভার্মাকে সংবর্ধনা : ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কূটচালে নষ্ট হওয়ার নয়’

আগের সংবাদ

গ্যাস সংকট কাটছে না সহসা : দৈনিক চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট > সরবরাহ ২৬৬ কোটি ঘনফুট > দুর্ভোগে রাজধানীর বাসিন্দারা

পরের সংবাদ

ভোগ্যপণ্যের কাঁচামাল আমদানি কমেছে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ডলার সংকট ও বর্তমান বৈশ্বিক বাণিজ্যে চলমান টালমাটাল পরিস্থিতির কারণে কমেছে ভোগ্যপণ্যের কাঁচামাল আমদানি। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে- ক্যাপিটাল মেশিনারি, শিল্পের কাঁচামাল, ইন্টারমিডিয়েট গুডস ও কনজ্যুমার গুডস।
জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বরে ক্যাপিটাল মেশিনারির আমদানি দাঁড়ায় ১ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলারে, যা ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ে আমদানি হয় ৩ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে আমদানি ৬৫ দশমিক ৩২ শতাংশ কমেছে। একই সঙ্গে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বরে ভোগ্যপণ্য ও শিল্পের কাঁচামাল আমদানি হয়েছে ৪ দশমিক ১২ ও ১ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২১-২২ অর্থবছরে ক্রমান্বয়ে ছিল ৪ দশমিক ৬৯ ও ১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার।
সূত্রে জানা গেছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈদেশিক বাণিজ্য অস্থিরতার মধ্যে রয়েছে। বিদেশি বায়ারদের দেশ থেকে পোশাক আমদানির চাহিদা কমে গেছে। একই সঙ্গে দেশের ব্যাংকগুলোতে ডলারের সংকট থাকায় ব্যবসায়ীরা চাহিদা থাকলেও আমদানি করতে পারছে না। ফলে সব ধরনের আমদানির পরিমাণ কমেছে।
তথ্য মতে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বরের মধ্যে ইন্টারমিডিয়েট গুডস আমদানি হয়েছে ২ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরে একই সময়ে ছিল ৩ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে চলতি অর্থবছরের এই সময়ে ইন্টারমিডিয়েট গুডস আমদানি কমেছে ৩৩ দশমিক ১৮ শতাংশ।
এছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া অপ্রয়োজনীয় আমদানি কমানোর একটা প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে দেশের উৎপাদন ক্যাপাসিটি এনহ্যান্সমেন্ট কমবে। উৎপাদনকারীরা উৎপাদন বাড়াতে চাইলেই ক্যাপিটাল মেশিনারির আমদানি বাড়ে। আগামীতে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে । ফলে ক্যাপিটাল মেশিনারি ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল কাঁচামাল আমদানি কমেছে। গত বছর যে পরিমাণে ক্যাপাসিটি এনহ্যান্সমেন্ট হয়েছে, সেই পরিমাণ অর্ডার পূরণ করাই এখন চ্যালেঞ্জ। গত বছরের ন্যায় এ বছরও ক্যাপিটাল মেশিনারিজ আমদানির চাহিদা নেই।
জানা গেছে, গত বছরের এপ্রিল থেকে মূল্যস্ফীতি, ডলারের বাজার স্থিতিশীল রাখা এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পতন ঠেকাতে পণ্য আমদানিতে লাগাম দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
একের পর এক নির্দেশনা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের আমদানিতে নানা শর্তের কারণে ২০২২ (জুলাই-ডিসেম্বর) পর্যন্ত এলসি ওপেনিং কমেছে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংক এলসি ওপেনিংয়ের প্রভিশনাল তথ্যে এই সময়ে দেখিয়েছে প্রায় ১২ বিলিয়নের মধ্যে এলসি ওপেনিং কমেছে। ২০২১ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে এলসি ওপেনিং হয় ৪৪ দশমিকর ১ বিলিয়ন ডলার। ২০২২ সালের একই সময় এলসি ওপেনিং হয় ৩৪ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার।
এদিকে সমাপ্ত ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের ব্যাংকগুলোর কাছে ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করতে হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। যা ছিল যে কোনো অর্থবছরের তুলনায় সর্বোচ্চ। তবে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারির ১৯ তারিখ পর্যন্ত প্রায় ১০ বিলিয়নের বেশি ডলার বিক্রি করতে হয়েছে।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ২০২৩ এর জানুয়ারি-জুন সময়ের মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, চলতি অর্থবছর শেষে দেশের রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়াবে ৩৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলার। যদিও ২০২১ এর আগস্টে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়