কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীসহ সারাদেশে চলমান সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলোতে মিটার সাজিয়ে রাখা হলেও কোনোটিই চালু নেই, যা ভোক্তা ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এক ধরনের প্রতারণা।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সভাকক্ষে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বিষয়ে মালিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক সেমিনারে এমন অভিযোগের কথা জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, আমি নিজে দেখেছি, সিএনজি অটোরিকশাগুলো মিটারে চলে না। এর বাস্তবতা আমি দেখেছি। মিটার শুধু ডিসপ্লেতেই রাখা হয়। এটা এক ধরনের প্রতারণা। প্রতিদিনই আমরা খবরেও এসব চিত্র দেখি। যাত্রীদের সঙ্গে প্রতিনিয়তই ঝামেলা হয়, এমনকি হাতাহাতি পর্যায়ে চলে যায়।
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, যাত্রীরা যেখানে যেতে চায়, চালক সেখানে যেতে বাধ্য। কিন্তু চালকরা যেতে চান না। এটা নিয়ে আমাদের অনেক অভিযোগ শুনতে হয়। এটার বাস্তবতাও আছে। এটা কেন হয়? এটা তো সুস্পষ্ট অনিয়ম।
তিনি বলেন, আমরা প্রায় সময় দেখি সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী পরিবহনের সিট পরিচ্ছন্ন থাকে না। বৃষ্টির সময় পর্দা থাকে না। অনেক সময় অপরিচ্ছন্ন পর্দা থাকে। ছাউনি ঠিক না থাকা। যাত্রীর নিরাপত্তার জন্য তৈরি করা (যাত্রী পরিবহনের অংশের) দরজা অভ্যন্তরভাগ হতে যাত্রী কর্তৃক খুলতে না পারা। ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, মাঝে মধ্যে কিছু সিএনজিতে সবুজ গাছপালা থাকে, সামনে টিস্যু বক্স থাকে, ভেতরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে, দেখে খুবই ভালো লাগে। এ ক্ষেত্রে ভাড়া পাঁচ টাকা বেশি নিলেও সমস্যা হয় না।
সেমিনারে সিএনজিচালক, চালক সমিতি ও মালিকপক্ষ, যাত্রী পরিবহন সমিতি ছাড়াও ভোক্তা অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।