হাইকোর্টে বিএনপি নেতা খোকন ও মিলনের জামিন

আগের সংবাদ

ভোটের আগাম প্রচারে আ.লীগ : সভা-সমাবেশে উন্নয়ন তুলে ধরে নৌকায় ভোট চাওয়া হচ্ছে

পরের সংবাদ

বিপিজিএমইএ সভাপতি : ৮০ শতাংশ খেলনা দেশে তৈরি হলেও লিখতে হয় চায়না

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশের প্লাস্টিক খেলনা বাজারে আমাদের ইমেজ সংকট রয়েছে। ফলে দেশে তৈরি হলেও লিখতে হচ্ছে মেইড ইন চায়না। চায়না থেকে ২০ শতাংশ প্লাস্টিক খেলনা আমদানি করা হয়। বাকি ৮০ শতাংশ দেশেই উৎপাদিত বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের (বিপিজিএমইএ) সভাপতি সামিম আহমেদ।
গতকাল মঙ্গলবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। ‘১৫তম ইন্টারন্যাশনাল প্লাস্টিক ফেয়ার-২০২৩’ উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের (বিপিজিএমইএ)।
রাজধানী পল্টনের বিপিজিএমইএ অফিসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিপিজিএমইএ সাবেক সভাপতি মো. ইউসুফ আশরাফ, বিপিজিএমইএ সাবেক সভাপতি ফেরদৌস ওয়াহেদ, বিপিজিএমইএ সাবেক সভাপতি শাহেদুল ইসলাম হেলাল, বিপিজিএমইএ সিনিয়র সহসভাপতি গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, বিপিজিএমইএ সহসভাপতি কে এম ইকবাল হোসেন, বিপিজিএমইএ সহসভাপতি কাজী আনোয়ারুল হক আরো অনেকে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি) তে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই মেলা চলবে। বিশ্বের ২১টি দেশ থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক এই ফেয়ারে অংশগ্রহণ করবে। প্রদর্শনীতে যে সব দেশ অংশগ্রহণ করছে তারমধ্যে চীন, তাইওয়ান, ভারত, বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, বেলজিয়াম, কানাডা, ইউএসএ, ফ্রান্স, হংকং, ইটালি, জাপান, মালয়েশিয়া, অস্ট্রিয়া, সিঙ্গাপুর, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত উল্লেখযোগ্য।
বিপিজিএমইএ সভাপতি সামিম আহমেদ বলেন, প্লাস্টিকের স্থানীয় বাজার বড় হচ্ছে। এর পাশাপাশি রপ্তানি বাজারও বাড়ছে। আগামীতে দেশে পেট্রোকেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠবে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি রি-সাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রি কাজ করছে। অটোমোবাইল এবং ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস খাতে প্লাস্টিক ব্যবহার বাড়ছে। ভবিষ্যতে এ সেক্টর চাহিদা অনুযায়ী বিস্তৃত হবে। সেজন্য আমাদের সেইভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। তিনি বলেন, গার্মেন্টস সেক্টর যে ধরনের সুবিধা ভোগ করছে আমরা সেরকম সুবিধা পাচ্ছি না। এখন সব ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠছে কমপ্লায়েন্স ইস্যু এবং পরিবেশ ইস্যু প্রতিপালনের মাধ্যমে। সেক্টরের উন্নয়নে ভালো পলিসি এবং তা বাস্তবায়নে সরকারের সমর্থন প্রয়োজন রয়েছে। আগামী দিনের চাহিদা মাথায় রেখেই তাই আমরা অগ্রসর হচ্ছি।
সভাপতি বলেন, প্লাস্টিক খেলনা আইটেম এবং ক্রোকারিজ আইটেমের ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার করা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। প্লাস্টিক শিল্প খাতে কর অবকাশ সুবিধা প্রদান করা প্রয়োজন। স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে সার্বজনীন প্যাকেজিং অ্যাক্ট প্রণয়ন করা প্রয়োজন। পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ পুনর্মূল্যায়নপূর্বক ওভেন খাতকে বিকাশের সুযোগ প্রদান করা প্রয়োজন। সেইসঙ্গে তিনি রিসাইকিলিং পণ্যের ওপর ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানান।
সামিম আহমেদ বলেন, বর্তমানে রপ্তানিতে প্লাস্টিক পণ্যের অবস্থান ১২তম। কিন্তু প্রচ্ছন্ন রপ্তানির (যার মধ্যে গার্মেন্টস এক্সেসরিজ উল্লেখযোগ্য) হিসাবের সঙ্গে যুক্ত হলে রপ্তানিতে প্লাস্টিক পণ্যের অবস্থান হবে ৬ষ্ঠ। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বিগত ২০১০-১১ অর্থবছরে মোট প্লাস্টিক রপ্তানি ছিল ৬৮ দশমিক ৭৬ মিলিয়ন ইউএস ডলার। আর ২০২১-২০২২ অর্থবছরে এসে রপ্তানি দাঁড়িয়েছে ১৬৬.২৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে রপ্তানি টার্গেট ছিল ১২৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার আর অর্জিত হয়েছে ১৬৬ দশমিক ২৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার। অর্থাৎ ৪৪ শতাংেশের বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়