মির্জা ফখরুল : বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গণবিরোধী

আগের সংবাদ

সতর্ক-সংকুলানমুখী মুদ্রানীতি : আমানত সুদের ঊর্ধ্বসীমা প্রত্যাহার > নীতি সুদহার বাড়ল > রেপো সুদহার বেড়েছে ২৫ বেসিস পয়েন্ট

পরের সংবাদ

বিঘাপ্রতি খরচ বেড়েছে প্রায় ২ হাজার টাকা : ডুমুরিয়ার ১ লাখ ৩২ হাজার টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া খুলনা থেকে : খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় বোরো ধান চাষাবাদের কাজ শুরু করেছেন কৃষকরা। শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করে বোরো চাষে স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছেন তারা। পৌষ-মাঘ এ দুই মাস বোরো ধান রোপণ মৌসুম হলেও এবার আগাম বোরো চাষে ঝুঁকে পড়েছেন কৃষকরা। অধিকাংশ ধান চাষি বীজতলা ও জমি তৈরি কাজে আবার কেউ কেউ ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
গত আমন মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে ধান চাষ ব্যাহত হওয়ায় এবার আগাম বোরো ধান চাষ করে পুষিয়ে নিতে ব্যস্ত কৃষকরা। এদিকে সার, জ্বালানি তেলসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়ায় বোরো চাষে অনেক কৃষক আগ্রহ হারাচ্ছেন। উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুর রহিম সরদার, শাওকির শাওন, গনি মোড়লসহ অধিকাংশ চাষিরা আমন ধান ঘরে তোলা সম্পন্ন করে আগাম বোরো ধানের চারা জমিতে রোপণ করছেন।
চারা রোপণের পাশাপাশি বীজতলা ও জমি তৈরি করছেন তারা। তেলের দাম বাড়ায় বেশিরভাগ কৃষক বিপাকে পড়েছেন। গত বছরের তুলনায় এবার সার, পানি সেচ ও হাল চাষে বিঘাপ্রতি (৩৩ শতাংশ) ১২০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে উপজেলায় বোরো চাষের জন্যে ২২ হাজার হেক্টর জমিতে ১ লাখ ৩২ হাজার টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ লক্ষে সরকারিভাবে উপজেলার সাড়ে ১১ হাজার কৃষকের প্রত্যেকের এক বিঘা জমিতে হাইব্রিড, উফশি জাতের ধানবীজ ও সার দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে। সরজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় প্রচন্ড শীতের মধ্যে কৃষকেরা আগাম জাতের বোরো ধানের চারা রোপণ করছেন, অনেক কৃষক বোরো চাষের জন্যে বীজতলা পরিচর্যা এবং চারা রোপণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। আবার অনেকেই জমিতে হাল চাষ করছেন। আগাম যারা বীজতলা তৈরি করছিলেন তাদের চারা জমিতে রোপণের কাজ করছেন। তবে ধান উৎপাদনে খরচ বাড়ায় অস্বস্তিতে বেশিরভাগ কৃষক।
উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের কৃষক হামিদুর রহমান, সিরাজুল সরদার, আব্দুস সালাম গাজীসহ অনেকে বলেন- এবার সময় মতো বৃষ্টি না হওয়ায় আমন ধান চাষ ভালো হয়নি। তাই আগাম বোরো ধান লাগাচ্ছি। তারা আরো বলেন ৬০ শতক জমিতে আগাম হাইব্রিড জাতের ধান রোপণ করছি। ধান চাষ করতে এ পর্যন্ত ১০ হাজার টাকার মত খরচ হয়েছে। এবার সব কিছুর দাম বাড়ায় ধান চাষে খরচ অনেক বেড়ে গেছে। সরকারি কোনো সহায়তা পাইনি। পার্শ্ববর্তী মালতিয়া এলাকার কৃষক আব্দুল মালেক বিশ্বাস জানান, তিনি ৩ বিঘা জমিতে হাইব্রিড ও উফশী জাতের বোরে ধান চাষ করছেন। সরকারি কোনো সহায়তা না পেলেও সার-বীজ কিনে ধান চাষ করছেন তিনি।
এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. ইনসাদ ইবনে আমিন ভোরের কাগজকে বলেন, বোরোধান চাষ করার জন্য আমরা কৃষকদের সহযোগিতা ও উৎসাহ দিচ্ছি। এবার সাড়ে ১১ হাজার বোরো ধান চাষিকে সার ও বীজ প্রণোদনা হিসেবে দেয়া হয়েছে। এ উপজেলায় আগের তুলনায় বোরো ধান চাষ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আশা করছি নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়