কাগজ প্রতিবেদক : দেশের পুঁজিবাজারে গতকাল সোমবার সূচক ও লেনদেনে বড় উত্থান হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৬ পয়েন্ট। অপরদিকে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ হাজার কোটি টাকা। দাম বেড়েছে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের। তবে এমন উল্লম্ফনের দিনেও ধসে পড়েছে বিমা খাত। ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৫১ বিমা কোম্পানির মধ্যে ৪৩টিরই শেয়ারের দাম কমেছে।
গত প্রায় ১ বছরেরও বেশি সময় পুঁজিবাজারে আলোচনায় রয়েছে বিমা খাতের কোম্পানি। কারসাজির মাধ্যমে কিছু বিমা কোম্পানির শেয়ারের দাম ৪-৫ গুণ বাড়ানো হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।
বিমা কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক বাড়ার ঘটনা ঘটে গত বছরের শেষের দিকে। বেশি লাভের আশায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ সেই অস্বাভাবিক দামে শেয়ার কেনে। এরপর দাম কমে যাওয়ায় লোকসানের মধ্যে পড়েন অনেকে।
তবে চলতি বছরের এপ্রিলে আবারো বিমা কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম বাড়ার প্রবণতা দেখা যায়। এ সময়ও কিছু বিনিয়োগকারী ফের বিমা কোম্পানির শেয়ার কেনেন। অধিক মুনাফার আশায় এ দফায়ও বিমার শেয়ার কেনা বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ লোকসানের আশঙ্কায় রয়েছেন।
গতকাল রীতিমতো উল্লম্ফন হয়েছে পুঁজিবাজারে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ২৩২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১৮টির এবং ২৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫৬ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৪৮১ পয়েন্টে উঠে এসেছে।
সবকটি মূল্য সূচকের উত্থানের সঙ্গে ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। বাজারটিতে ২১ কার্যদিবস পর দুই হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
এতে প্রায় দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেনের ঘটনা ঘটেছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১৮৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। যা গত ১০ জুনের পর সর্বোচ্চ। গত ১০ জুন ডিএসইতে ২ হাজার ৬৬৯ কোটি ২৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়।
বড় অঙ্কের এই লেনদেনের দিনে টাকার পরিমাণে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৫৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সাইফ পাওয়ার টেকের ৫৮ কোটি ১০ লাখ টাকার লেনদেন হয়। ৫৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২২৩ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭৩ কোটি ৪ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ৩২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৩১টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৯টির এবং ২৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।