বঙ্গবন্ধুর মূর্তি ভাঙচুর নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২৪, ০৫:১৭ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালানোর পর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্টকে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তি ভাঙচুর সহ বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
উপস্থাপিকা জানতে চান- শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, এটা দেখিয়ে দিয়েছে যে জনগণ হাসিনা সম্পর্কে কি অনুভব করে। হাসিনা নিজে যা করেছেন নিজের জন্য এবং তার পিতার জন্য, তারই ফল এটা। তিনিই এমন ক্ষতি অর্জন করেছেন। এটা যুব সমাজের ত্রুটি নয়। এটা হলো শেখ হাসিনার ভুল।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, প্রথম কথা হলো আমরা স্বাধীন হয়েছি। আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এতদিন আমরা ছিলাম দখল হয়ে যাওয়া একটি দেশে থাকার মতো। এখানে শেখ হাসিনা যে আচরণ করছিলেন তা দখলদার বাহিনী, একজন স্বৈরশাসক, একজন জেনারেল এবং আরো অনেকের মতো। তিনি সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছিলেন। গত সোমবার বাংলাদেশের সব মানুষ নিজেদেরকে স্বাধীন মনে করছেন। আবারো তারা দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করলেন। সারাদেশে এই স্বাধীনতা উদযাপিত হচ্ছে।
যারা এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন সেই তরুণদের অভিনন্দন জানাচ্ছেন সবাই। তারা আমাদেরকে আদতে স্বাধীন করেছেন। সবাইকে একত্রিত করেছেন। পুরো দেশকে স্বাধীন করেছেন। সবাই স্বাধীনতার আনন্দ উপভোগ করছেন। আমাদেরকে পরবর্তী পদক্ষেপ শুরু করতে হবে। আমাদের সামনে এখন সব সমস্যা। আমাদের জন্য একটি চমৎকার দেশ সৃষ্টির কাজ নতুন করে শুরু করতে হবে এখন। এসবই আমাদের প্রতিশ্রুতি। ছাত্র এবং যুব সমাজ আমাদের ভবিষ্যতের নেতৃত্ব দেবেন। আমি সেদিকেই তাকিয়ে আছি।
তার কাছে উপস্থাপিকা জানতে চান। সেনাবাহিনী অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করবে। বাংলাদেশের সামনে কি অপেক্ষা করছে? এমন প্রশ্নে ড. ইউনূস বলেন, আমি নিশ্চিত এসবই হবে। হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। এখন আমরা মুক্ত। আমরা যা চাই তা এখন করতে পারব। সারাদেশের সব ইস্যু এখন সমাধান করা হবে। আমি নিশ্চিত আমরা চমৎকার একটি সূচনা করব।
ড. ইউনূসের কাছে জানতে চাওয়া হয়- আপনার ভূমিকা কি হবে? জবাবে তিনি বলেন, আমি জনগণের সঙ্গে আমার কাজ অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাব। তা হলো সামাজিক ব্যবসা এবং সবকিছু। অধিক মুক্ত পরিবেশে আমি আমার কাজ অব্যাহত রাখব। শেখ হাসিনা শাসকগোষ্ঠীর সময়ে এমন পরিবেশ পাইনি। কারণ তিনি সবসময় আমাকে আক্রমণ করেছেন।