ভারতে পদদলিত হয়ে মৃত বেড়ে ১১৬
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১১:০৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
ভারতের উত্তর প্রদেশের হাথরাসে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১৬ হয়েছে। মৃতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাজ্যের হাথরস জেলায় প্রাণহানির এ ঘটনা ঘটে। হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, অনুষ্ঠান শেষ হতেই হুড়োহুড়ি শুরু হয়। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে। পদদলিত হন অসংখ্য মানুষ। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয় প্রশাসন। স্থানীয় পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তীব্র গরমে অনুষ্ঠানস্থলে দমবন্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে সমবেত পুণ্যার্থীরা দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। এসময় পদদলিত হয়ে মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
আলিগড় রেঞ্জের ইন্সপেক্টর জেনারেল শলভ মাথুর বলেন, এটা ছিল ভোলে বাবা নামে এক ধর্ম প্রচারকের সৎসঙ্গ সভা। মঙ্গলবার বিকেলে এটাহ ও হাথরাস জেলার সীমান্তে জমায়েত হওয়ার জন্য সাময়িক অনুমতি দেয়া হয়। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
আরো পড়ুন : রাস্তায় জমে থাকা পানিতে ডুবে ৪ শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, ২৭টিরও বেশি মৃতদেহ ইটাহ জেলা হাসপাতালে পৌঁছেছে এবং প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে দমবন্ধ অবস্থার মধ্যে পড়েছিলেন তারা। যারা জড়ো হয়েছিলেন তারা এখানে সেখানে দৌড়াদৌড়ি করেছিল বাঁচার জন্য। যার ফলে পদপিষ্টের ঘটনা হয়েছে।আলিগড়ের আইজি জানিয়েছেন, এ ঘটনার সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। যারা বেঁচে আছেন তাদের কাছ থেকে গোটা বিষয়টি জানার চেষ্টা চলছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হাথরাসের মুঘলাগড়ি গ্রামে এক স্থানীয় ধর্মগুরুর ‘সৎসঙ্গ’ বা ভক্ত সমাবেশে দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঠিক কীভাবে এমনটা ঘটলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
হাথরসের ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মৃতদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে একটি তদন্ত কমিটি ঘঠনের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ওই কমিটির নেতৃত্ব দেবেন আগ্রা কমিশনারেটের ডিজিপি।
ভারতে বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবের সময় মন্দিরে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রায়ই ঘটে। ২০১৬ সালে কেরালায় একটি মন্দিরে হিন্দুদের নতুন বছর উদ্যাপনের সময় আতশবাজির সময় ব্যাপক বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অন্তত ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। মধ্যপ্রদেশে ২০১৩ সালে একটি মন্দিরের কাছে সেতুতে পদদলিত হয়ে ১১৫ জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়ছিল। সে সময় সেখানে চার লাখের মতো মানুষ জড়ো হয়েছিল। গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল সেতুটি ধসে পড়বে, আর তখনই এই পদদলিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ২০০৮ সালেও রাজস্থানের যোধপুরে পদদলিত হয়ে ২২৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল।