×

সম্পাদকীয়

হুমকির মুখে পর্যটন খাত

শঙ্কা কাটাতে উদ্যোগ জরুরি

Icon

সম্পাদকীয়

প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

 শঙ্কা কাটাতে উদ্যোগ জরুরি

ছবি : সংগৃহীত

চলতি বছরের শুরু থেকেই একের পর এক ধকল যাচ্ছে পর্যটন শিল্পে। জাতীয় নির্বাচনের উত্তপ্ত পরিবেশ, কয়েক দফায় বন্যা ও দীর্ঘমেয়াদে তাপপ্রবাহের কারণে পর্যটনে ভাটা পড়ে। দুই ঈদসহ উৎসবের সময়েও দুর্যোগের কারণে ঘুরতে বের হননি ভ্রমণবিলাসীরা। সেই ক্ষতি পুষিয়ে না উঠতেই আবার খরার মুখে পড়েছে পর্যটন খাত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। চরম সংকটে পড়ে দেশ। দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয় সেনাবাহিনী।

মঙ্গলবার ভোর থেকে কারফিউ তুলে নেয়া হয়। কিন্তু পুলিশ মাঠে না থাকায় এক অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। দেশব্যাপী চলছে লুটতরাজ, খুন, হামলা ও অগ্নিসংযোগ। ক্ষমতার পালাবদলে পরিস্থিতি খুবই টালমাটাল। প্রায় অনিরাপদ গোটা দেশ। এই পরিস্থিতিতে উদীয়মান পর্যটন শিল্প বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। দেশের পর্যটন খাতে ধস নেমেছে। ভ্রমণে পড়েছে ভাটার টান। বিনোদন কেন্দ্রগুলো ফাঁকা। নেই ভ্রমণপিপাসুদের কোলাহল। এ খাত-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের কপালে পড়েছে ভাঁজ। পর্যটন খাত ঘিরে অন্তত ১৬ ধরনের সেবা দানকারী পড়েছেন হুমকির মুখে।

শুধু ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় ১০ দিনে দৃশ্যত ১ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির কথা জানিয়েছিলেন খাত-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এমনকি বিদেশে ভ্রমণ করা পর্যটকরাও অনিরাপদ মনে করেন। এতদিন ইন্টারনেট না থাকায় বিমানের টিকেট কাটা সম্ভব হয়নি। একপর্যায়ে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ছাত্র-জনতার তুমুল বিক্ষোভে গোটা দেশ উত্তাল হয়ে পড়ে। বন্ধ থাকে যানবাহন চলাচল। দক্ষিণ এশিয়ার বড় সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার এখন পর্যটকশূন্য। একই অবস্থা সাগরকন্যা কুয়াকাটার। এছাড়া জাফলং, রাতারগুল, রাঙ্গামাটি, বান্দরবানের পাহাড়ি মনোরম লোকেশনসহ দেশের সব পর্যটন এলাকা খাঁ খাঁ করছে। আবাসিক হোটেল ফাঁকা। বিকিকিনিতে একেবারেই খরা রেস্তোরাঁ, শামুক, ঝিনুক, আচারসহ বাহারি পণ্যের দোকানগুলো। পর্যটন স্পট, হোটেল-মোটেলগুলো খালি পড়ে আছে, ট্যুরিস্ট বোটগুলো বাঁধা পড়ে আছে ঘাটে। কোনো কোলাহল নেই, নেই ব্যস্ততা। চারদিকে নীরবতা। সৈকত বা ভ্রমণের স্থানে ফটোগ্রাফার, বিচবাইক, ওয়াটার বাইক চালক ও ঘোড়ার সহিসদের উত্তেজনা নেই। বেঞ্চ, ওয়াটার বাইক, বোটগুলো তীরে তুলে রেখে দিনভর অলস সময় কাটাচ্ছেন তারা।

এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতির প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন খাতের সেবাদানকারীরা। এই ক্ষতির পরিমাণ কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। খাতের ব্যবসায়ী ও সেবাদানকারীরা বলছেন, ভ্রমণের জন্য প্রয়োজন শান্ত পরিবেশ। সেই শান্ত পরিবেশের অপেক্ষায় ব্যবসায়ী ও ভ্রমণবিলাসীরা। এটি সত্য অনুকূল পরিবেশে পর্যটন সংগঠিত হয়। পর্যটন কখনো প্রতিকূল পরিবেশ, উত্তপ্ত পরিবেশ, নৈরাজ্য, সন্ত্রাস, রাজনৈতিক অস্থিরতায় সংগঠিত হয় না। পর্যটন হলো শান্ত মেজাজের শিল্প। যে কোনো একটা প্রেক্ষাপটে পর্যটনের মোড় ঘুরে যায়। বাংলাদেশের পর্যটনকে টিকিয়ে রাখতে হলে পরিবেশ শান্ত থাকতে হবে। সেটা দেশি কিংবা বিদেশি পর্যটক হোক। কোনো পর্যটক পয়সা খরচ করে অশান্ত পরিবেশে আসে না। তাই এই খাতের ক্ষতির কথা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে এবং বিরূপ শঙ্কা কাটিয়ে ওঠার জন্য দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

পেশাদার সাংবাদিকতা করেছি, আমি সরকারের সুবিধা নেইনি

রিমান্ড শুনানিতে শ্যামল দত্ত পেশাদার সাংবাদিকতা করেছি, আমি সরকারের সুবিধা নেইনি

১৭ সেপ্টেম্বর: সারাদিন যা যা ঘটলো

১৭ সেপ্টেম্বর: সারাদিন যা যা ঘটলো

শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র কতটা গুরুত্ব বহন করে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র কতটা গুরুত্ব বহন করে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

কবির, নূরুল, তৌফিকসহ আরো যারা গ্রেপ্তার হলেন

কবির, নূরুল, তৌফিকসহ আরো যারা গ্রেপ্তার হলেন

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App