×

সারাদেশ

আলপনার রঙে রঙিন হলো হাওরের ১৪ কি.মি. সড়ক

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২২ পিএম

আলপনার রঙে রঙিন হলো হাওরের ১৪ কি.মি. সড়ক

ছবি: সংগৃহীত

বৈশাখের মুগ্ধতা ছড়িয়ে দিতে কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার অলওয়েদার সড়কে বাঙালি ঐতিহ্যের আলপনার রঙে রঙিন করা হয়েছে। যা বিশ্বের দীর্ঘতম আলপনা অঙ্কন বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ। গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ডে নাম লেখানোর প্রত্যয়ে অষ্টমবারের মতো এ আলপনার নাম দেয়া হল আলপনায় বৈশাখ-১৪৩১ উৎসব। 

রবিবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখে বেলা পৌনে ১১টায় মিঠামইন জিরো পয়েন্টে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তুলির আঁচড়ের মাধ্যমে আলপনায় বৈশাখ-১৪৩১ উৎসবের সমাপ্তি করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

এ সময় জুনাইদ আহমেদ পলক কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিককে সঙ্গে নিয়ে আলপনা রঙিন অলওয়েদার সড়কে মোটরসাইকেল চালিয়ে আনন্দ উপভোগ করেন।

কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে উৎসবের সমাপনী দিনের আয়োজনে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুর, বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সমাপনী অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বিশ্বরেকর্ড গড়ার এই প্রচেষ্টা দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে, পাশাপাশি পর্যটন শিল্পকেও উদ্বুদ্ধ করবে। কোভিড-১৯ এর বিরতির পর পহেলা বৈশাখের আলপনার উৎসব আবার ফিরে আসায় বাঙালি চেতনার উদযাপন আবার তার চেনা রূপ লাভ করেছে। আয়োজকদের প্রতি আমি শুভকামনা জানাচ্ছি ও আশাবাদ ব্যক্ত করছি যেন তারা ভবিষ্যতেও এমন আয়োজন করে দেশবাসীকে আনন্দে ভাসাতে পারে। এ আয়োজন ইতিহাসের পাতায় স্থান পাবে বলে আমরা আশা রাখি।

আরো পড়ুন: নানা আয়োজনে সখীপুরে পহেলা বৈশাখ উদযাপন

কিশোরগঞ্জ হাওরাঞ্চলে বাঙালি লোকসংস্কৃতি তুলে ধরতে মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার সড়কে ৬৫০ জন শিল্পী সর্ববৃহৎ আলপনা উৎসব বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার লক্ষ্যে এবার অষ্টমবারের মতো আয়োজিত ‌‘আলপনায় বৈশাখ ১৪৩১’ বিশ্বরেকর্ড গড়ার অনবদ্য প্রত্যয় নিয়ে এই উৎসব আয়োজন করে।

বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, বাংলা আমাদের ঐতিহ্য, তাই এ উৎসব উদযাপনে বাংলালিংক পরিবার গভীরভাবে দায়বদ্ধ। বাংলালিংকের এই আয়োজন ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও দেশীয় উৎসবকে তুলে ধরার একটি প্রয়াস।

হাওরকন্যা নূরজাহান পপি বলেন, হাওরের মধ্যে এত সুন্দর আলপনা এর আগে দেখিনি। এ আলপনা দেখে সত্যি আমরা অনেক আনন্দিত। যদিও দূর-দুরান্ত থেকে অনেক মানুষ আসছে দেখতে তবে হাওরের মানুষ অনেক বেশি আনন্দিত।

কিশোরগঞ্জ সদর থেকে আলপনা দেখতে আসা আর জে অন্তর বলেন, আগে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানগুলো স্কুল কলেজের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকত। কিন্তু এবার হাওরের মধ্যে এটা ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা সব সময় বইয়ের মধ্যে এইসব দেখেছি। আজ নিজ চোখে দেখে অনেক ভালো লাগছে।

কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদী বলেন, আজকে আমরা একটি বিশ্ব রেকর্ড করতে যাচ্ছি। বিশেষ করে আলপনা ১৪.২ মধ্য দিয়ে আমরা এই বিশ্ব রেকর্ড করেছি। এই আলপনার মাধ্যমে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে একজন বাঙালি হিসেবে আমি খুবই খুশি।

তিনি আরো বলেন, চারদিকে সবুজের মধ্যে মেঝেতে এই আলপনা যা মনোমুগ্ধকর। এই ১৪ কিলোমিটার আলপনা বাংলাদেশকে বিশ্বে উপস্থাপন করবে। আমি সবাইকে বলবো আপনারা আসেন এসে দেখেন। এই সড়কের আলপনা আঁকার মাধ্যমে বিশ্বরেকর্ড হিসেবে গিনেস বুকে নথিভুক্ত করার উদ্যোগ নেবেন আয়োজকরা।  

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App