×

জাতীয়

রাজনীতির কবি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর স্বীকৃতি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২০, ১০:৪৬ এএম

রাজনীতির কবি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর স্বীকৃতি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের জন্য ৫ এপ্রিল ওয়াশিংটনের নিউজউইক ম্যাগাজিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আখ্যা দিয়েছে আ পোয়েন্ট অফ পলিটিক্স অর্থাৎ রাজনীতির কবি। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ এক অনবদ্য কবিতা এবং তিনি হলেন মহাকবি। কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রো বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেছেন, ‘আমি হিমালয় দেখিনি, কিন্তু শেখ মুজিবকে দেখেছি। ব্যক্তিত্ব ও সাহসিকতায় তিনি হিমালয়ের মতো’।

কবি কল্পনা করেন, ভাবেন, স্বপ্ন দেখেন। সেই স্বপ্নের প্রতিরূপ “কবিতা”। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছেন রাজনীতি নিয়ে, সেই স্বপ্ন ছিল একটি জনগোষ্ঠীকে স্বাধীনতা এনে দেয়ার, একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র উপহার দেয়ার। কবিদের মতোই বঙ্গবন্ধু রূপ দিয়েছেন তাঁর স্বপ্নের। লিখলেন পরাধীনতার শিকল ভেঙ্গে এই জনগোষ্ঠীকে স্বাধীনতা এনে দেয়ার, একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র উপহার দেয়ার স্বপ্নের সে প্রতিরূপ, সে কবিতা। বঙ্গবন্ধুর সে কবিতাই হয়ে উঠলো আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ।

১৯৭১ সালের এই দিনে জাতির জনক ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যম বাঙালিদের দেখিয়েছিলেন মুক্তির দিশা।মহাত্মা গান্ধী, জর্জ ওয়াশিংটন, মাওসেতুং, হো-চি মিন, ফিদেল কাস্ট্রো, পেট্রিস লুমাম্বা ও কওমী নক্রুমা, নেলসন ম্যান্ডেলা, লেনিন, মার্শাল টিটোর মতো বঙ্গবন্ধুও তাঁর অসামান্য দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের চিরঞ্জীব উদাহরণের জন্য বিশ্ব-ইতিহাসের অনিবার্য ও অবিচ্ছেদ্য অধ্যায় হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত।

রাজনীতির এই কবিকে নিয়ে নানা দেশ এবং বিদেশের নানা লেখক, কবি লিখলেন গল্প, গান, কবিতা, নাটক। নিশ্চিতভাবেই বিশ্বের খুব কম রাষ্ট্রনায়ক ও রূপকারকে নিয়ে এত অধিক সংখ্যক কবিতা লেখা হয়েছে। অগ্রজ কবিদের লেখনী থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে সমকালীন কবিরা যেমন লিখছেন, আগামী দিনের কবিরাও তেমন বঙ্গবন্ধুকে তাদের কবিতায় চিত্রিত করবেন নানাভাবে নানারঙে। যতকাল বাংলা ভাষা ও সাহিত্য থাকবে, ততকাল বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত হবে কোনো না কোনো কবিতা, গল্প, উপন্যাস।

বঙ্গবন্ধু রচিত ‘কারাগারের রোজনামচা’ গ্রন্থে ‘থালা বাটি কম্বল/জেলখানার সম্বল’ লেখাটি থেকে বঙ্গবন্ধুর অনন্য সাধারণ রচনাসমূহ যে কত গভীর ও বিশাল কবিতার প্রতীক, উপমা ও কালের ক্যানভাস সমৃদ্ধ, তা সহজেই অনুমেয়। বঙ্গবন্ধু বলেছেন ‘জেলে যারা যায় নাই, জেল যারা খাটে নাই- তারা জানে না জেল কি জিনিস। আমি পাঁচবার জেলে যেতে বাধ্য হয়েছি। রাজবন্দী হিসেবে জেল খেটেছি, সশ্রম কারাদ-ও ভোগ করতে হয়েছে। আবার হাজতি হিসেবেও জেল খাটতে হয়েছে। তাই সকল রকম কয়েদির অবস্থা নিজের জীবন দিয়ে বুঝতে পেরেছি।’ এমন চমৎকার ভাষায় কাব্যিক উচ্চারণে বন্দী জীবনকে চিত্রিত করার এত সহজ-সরল ভঙ্গিমা ক’জন মহান কবি ইতিহাসে উপস্থাপন করতে পেরেছেন- তা সকলের অজানা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App