একটি কম্বল এবং একটি বিস্কুট
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০১৯, ০২:৪৩ পিএম
টাইফুন হাজিবিস এর আঘাতে বিপদে পরে জরুরী সেবা। ছবি: বিবিসি।
টাইফুন হাজিবিস এর আঘাতে লণ্ডভণ্ড এলাকা। ছবি: বিবিসি
স্থানীয় বাসিন্দা জেমস বাব পশ্চিম টোকিওর হাচিওজির একটি আশ্রয়কেন্দ্র থেকে জানান, তাঁর বাড়ির পাশের নদীটি প্রায় উপচে পড়ার অবস্থানে ছিল। তিনি বলেন, "আমার শ্যালক প্রতিবন্ধী হওয়ায় আমি তাঁর সাথে আছি। আমাদের বাড়ি প্লাবিত হয়ে পরায় সরকার আমাদের মাত্র একটি কম্বল এবং একটি বিস্কুট দিয়েছে।"
জাপানের আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ) এর পূর্বাভাসক ইয়াসুশি কাজিওয়ারা এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, শহর ও গ্রামে অভূতপূর্ব ভারী বৃষ্টিপাত দেখা গেছে যার কারণে জরুরি সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।
[caption id="attachment_169317" align="aligncenter" width="700"] টাইফুন হাগিবিস এর আঘাতে বিপদে পরে জরুরী সেবা। ছবি: বিবিসি।[/caption]
টোকিওর উত্তরে তোচিগি শহরে বসবাসরত এক ইংরেজী শিক্ষক অ্যান্ড্রু হিগিনস বলেন, তিনি জাপানে সাত বছর বসবাসের সময় কয়েকটা টাইফুনের মুখোমুখি হন। তিনি মনে করেন এবার জাপান এই টাইফুনটিকে অনেক বেশি গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। অনেক মানুষ আগের রাতে নিরাপত্তার প্রস্তুতি নেয়।
গত মাসে জাপানের কয়েকটি অংশে টাইফুন ফ্যাক্সাই আঘাত হানে। যাতে প্রায় ৩০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে বিধ্বস্ত হয়। যার বেশিরভাগ এখনও মেরামত করা হয়নি।
[caption id="attachment_169319" align="aligncenter" width="700"] টাইফুন হাগিবিস এর আঘাতে লণ্ডভণ্ড এলাকা। ছবি: বিবিসি[/caption]
চিবের তাতায়মায় একটি আশ্রয়স্থল থেকে একজন ৯৩ বছর বয়সী বলেন, আগের টাইফুনের কারণে আমার বাড়ির ছাদটি ছিঁড়ে যায় এবং বৃষ্টির কবলে পরে। আমি আমার বাড়ির জন্য খুবই উদ্বিগ্ন ছিলাম।
জাপান প্রতি বছর প্রায় ২০ টি টাইফুনের শিকার হয়। তবে টোকিওতে খুব কমই এই স্কেলে আঘাত হানে টাইফুনগুলো।
আরো পড়ুন: