জাপানে কয়েক দশকের সবচেয়ে বড় ঝড়ে ১৯ জন নিহত ও প্রায় ১৫ জন নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছে প্রায় ডজন খানেক লোক। ২২৫ কিলোমিটার/ঘন্টা (১৪০ মিটার প্রতি ঘন্টা) বাতাসের গতিবেগ দিয়ে আঘাত হানে টাইফুন হাগিবিস। এতে দেশটিতে বন্যা ও ভূমিধসের সৃষ্টি হয়। আশেপাশের নদীগুলো আবাসিক এলাকায় প্রবেশ করে অন্তত ১৪টি পৃথক স্থান লণ্ডভণ্ড করে ডুবিয়ে দেয়। [caption id="attachment_169318" align="aligncenter" width="700"] ফুজি মাউন্টের নিকটে হাকোন শহরে প্রায় ১ মিটারেরও বেশি বৃষ্টিপাত হয়। ছবি: রয়টার্স।[/caption] শনিবার (১২ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭ টার দিকে টোকিওর দক্ষিণ-পশ্চিমে ইজু উপদ্বীপ দিয়ে প্রবেশ করে পূর্ব উপকূলের দিকে চলে যায় টাইফুন হাগিবিস। এই ঝড়ের আঘাতে প্রায় পাঁচ লাখ ঘরবাড়ি বিদ্যুৎহীন হয়ে পরে। জানা যায় হাগিবিস উত্তর দিকে এগোচ্ছে এবং রবিবারের পরে উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে। [caption id="attachment_169320" align="aligncenter" width="700"] টাইফুন হাগিবিস এর আঘাতে প্রায় পাঁচ লাখ ঘরবাড়ি বিদ্যুৎহীন হয়ে পরে। ছবি: বিবিসি।[/caption] টাইফুনের কারণে গত শুক্র ও শনিবার (১১ ও ১২ অক্টোবর) ফুজি মাউন্টের নিকটে হাকোন শহরে প্রায় ১ মিটারেরও বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা কিনা জাপানে ৪৮ ঘন্টার বৃষ্টির রেকর্ডে সর্বোচ্চ। [caption id="attachment_169316" align="aligncenter" width="700"] ফুজি মাউন্টের নিকটে হাকোন শহরে প্রায় ১ মিটারেরও বেশি বৃষ্টিপাত হয়। ছবি: বিবিসি।[/caption] বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, নাগানো প্রদেশের উত্তর দিকে, চিকুমা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলের আবাসিক এলাকায় ঘরবাড়ি ডুবে বন্যার সৃষ্টি হয়। ইতিমধ্যেই টোকিওর আশেপাশে বন্যার প্রতিরক্ষা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয় যার ফলে নদীর পানি কিছুটা কমে আসতে শুরু করেছে। সরকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে কয়েকজন ভূমিধসের কবলে পড়ে এবং অন্যরা বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গাড়িতে আটকা পড়ে মারা জায়। আরও ১৫ জন নিখোঁজ হিসাবে তালিকাভুক্ত এবং কয়েক ডজন লোক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ওদিকে ঝড়ের ফলে রাগবি বিশ্বকাপের কয়েকটি ম্যাচ বাতিল হয়ে যাওয়ারও খবর পাওয়া গেছে।   আরো পড়ুন:

• বন্যা হলেও পরিচ্ছন্ন জাপানের শহর
• কী প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল?
• একটি কম্বল এবং একটি বিস্কুট