ডিএসসিসি মেয়র : হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে

আগের সংবাদ

নির্বাচনী বছরে কর্মসংস্থানে জোর : বেকার ৩ কোটি ৩৯ লাখ ৮৭ হাজার, সরকারি পদ খালি সাড়ে ৩ লাখের বেশি

পরের সংবাদ

চারা উৎপাদনে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন মাসুদ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. আব্দুল আজিজ মণ্ডল (ধামইরহাট) নওগাঁ থেকে : নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার মইশড় গ্রামে পতিত জমি লিজ নিয়ে বিভিন্ন জাতের ফলদ চারা উৎপাদন করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন মাসুদ। পরিবারের ৬ সদস্য নিয়ে এখন তিনি সচ্ছলভাবে জীবিকা নির্বাহ করছেন। মাসুদের বাড়ি জয়পুরহাট জেলার বাদশা ইউনিয়নের টুপাড়া গ্রামে।
জানা গেছে- মাসুদের বাবা আব্দুর রশিদও একজন কৃষক। তাদের নিজস্ব কোনো জমি নেই। এ কারণে তিনি অন্যের জমি লিজ নিয়ে চারা উৎপাদন করে বিক্রি করেন। এ ব্যবসা অনেক লাভজনক। ব্যবসার টাকায় বর্তমানে আমাইতাড়ায় জমি কিনে গৃহনির্মাণ করেছেন। নার্সারিতে উৎপাদিত বিভিন্ন জাতের চারা বিক্রি করে প্রতি বছর তিনি কয়েক লাখ টাকা আয় করেন। জানা গেছে- মাসুদ বিভিন্ন জাতের চারা উৎপাদন করে ঠিকাদারদের কাছে টেন্ডার দিয়ে বিক্রি করে নগদ অর্থ সংগ্রহ করেন। তাকে পকেট থেকে অর্থ ব্যয় করতে হয় না। তিনি ১ দশমিক ৬৬ একর জমি লিজ নিয়ে নার্সারি করেছেন। প্রতি বছর জমির মালিককে দিতে হয় ২২ হাজার করে টাকা। রোপণকৃত চারার পরিমাণ ১১ লাখ। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ২০ হাজার চারা। প্রতিটি আমের চারায় খরচ ১৭ টাকা। মালটা চারায় খরচ ১৪ টাকা। আমের চারা বিক্রি হয় ৩০-৩৫ টাকা। জানতে চাইলে ভোরের কাগজকে মাসুদ জানান- খোলা বাজারে বিভিন্ন জাতের চারার বিক্রি মূল্য ৫০-৭০ টাকা করে। তিনি বছরে লাভ করেন ২ লাখ ২৪ হাজার টাকা। চারাগুলোর উৎপাদনের মোট খরচ ১৮ লাখ টাকা। প্রতি বছর ২২ জুন জমির মালিককে ২২ হাজার টাকা বুঝে দিতে হয়। জানা গেছে- চারা তৈরির অগ্রিম টাকা ঠিকাদাররা দেয়। এর মধ্যে শ্রমিক, সারসহ অন্য খরচ ঠিকাদারি সংস্থা ব্যয় করে। নার্সারিতে ফলদ চারাগুলোর মধ্যে রয়েছে- বরই, পেয়ারা, মাল্টা, আমের মধ্যে গোমতি, গৌড়মতি, স্বরি, ব্যানানা ম্যাংগো, নাকফজলী, রুপালি, বারি-৪, বারি-১০, সূর্য ডিম, গৌড় হাঙ্গা, মনভোগ, মল্লিকা, কিউচংকার, পারচাঁদ সিদলী, কিউজুই, মালদহ, ফজলী, খিসরাপাতি, অরুণা, হাইব্রিড, পান জবার ইত্যাদি। মাসুদ ভোরের কাগজকে আরো জানান ১৮ বছর থেকে চারা উৎপাদন করে আসছেন। বর্তমানে তার বয়স ৩৫ বছর। ১৭ বছর ধরে এ পেশায় জড়িত আছেন। তার ইউরিকা নার্সারিসহ বেশ কয়েকটি প্রকল্প রয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক আল জোবায়ের ভোরের কাগজকে জানান- মাসুদ ইউরিকা নার্সারিতে ফলদ বৃক্ষ উৎপাদন করে সফলতা অর্জন করেছেন। এছাড়াও তার একাধিক নার্সারি রয়েছে।
মাসুদের দেখে বেকার যুবকরা এ পেশায় এগিয়ে আসলে তারাও সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়