গ্যালারি কায়া : বাংলাদেশ-ভারতের শিল্পীদের নিয়ে ‘এপিক ১৯৭১’

আগের সংবাদ

স্বস্তির ভোটে আইভীর হ্যাটট্রিক : সব শঙ্কা উড়িয়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট, শামীম ওসমানের কেন্দ্রে হেরেছে নৌকা

পরের সংবাদ

চীন এলএনজি আমদানিতে শীর্ষে থাকবে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : চলতি বছরে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) বাজারে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন যথাক্রমে শীর্ষ রপ্তানিকারক ও আমদানিকারকের স্থান দখল করে রাখবে। স¤প্রতি আইএইচএস মার্কিটের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন পূর্বাভাস পাওয়া যায়। গত বছর বিশ্ববাজারে এলএনজি রপ্তানিকারকের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে ছিল অস্ট্রেলিয়া ও দ্বিতীয় স্থান দখল করে রেখেছিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। দেশ দুটির রপ্তানিকৃত এলএনজির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৮ কোটি ৩০ লাখ ও ৮ কোটি ১৩ লাখ টন। একই সময়ে তৃতীয় স্থানে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানিকৃত এলএনজির পরিমাণ ছিল ৭ কোটি ৩৬ লাখ টন। খবর এনার্জি ক্যাপিটাল এন্ড পাওয়ার ও এসএন্ডপি গেøাবাল প্ল্যাটস।
২০২১ সালে আফ্রিকার শীর্ষ এলএনজি রপ্তানিকারক দেশ ছিল নাইজেরিয়া, আলজেরিয়া ও মিসর। দেশগুলো যথাক্রমে ১ কোটি ৭৯ লাখ, ১ কোটি ২৩ লাখ ও ৬৯ লাখ টন এলএনজি বিশ্ববাজারে রপ্তানি করে। একই সময়ে তরলীকরণ ক্ষমতা স¤প্রসারণের মাধ্যমে সরবরাহ শৃঙ্খলে ২ কোটি ৫০ লাখ টন অতিরিক্ত এলএনজি যুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
২০২১ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে দেশটির এলএনজি প্লান্টগুলোর গড় উৎপাদন ক্ষমতার সঙ্গে এটি যুক্ত হয়ে এলএনজি উৎপাদন ক্ষমতা ৯৮ শতাংশ বেড়েছে।
অন্যদিকে ২০২১ সালে বিশ্ববাজারে এলএনজির শীর্ষ আমদানিকারকের স্থান দখল করে রেখেছে চীন। গত বছর মোট ৮ কোটি ১০ লাখ টন এলএনজি আমদানি করে দেশটি। ফলে জাপানের কাছ থেকে শীর্ষ আমদানিকারকের তকমা দখলে নেয় চীন। এ সময়ে দেশটিতে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহারও রেকর্ড পরিমাণ বাড়ে। ৮ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ ব্যবহার বাড়ার ফলে চীনে এলএনজির চাহিদার বিশাল আকারের উল্লম্ফন দেখা দেয়।
চলতি বছর চীনে এলএনজির চাহিদা গত বছরের তুলনায় আরো বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে। তবে ২০২১ সালের তুলনায় এ প্রবৃদ্ধির হার অনেকটা ধীরগতি লাভ করবে বলে জানান বিশ্লেষকরা। অর্থনৈতিক চাপ ও স্পট এলএনজির ঊর্ধ্বমুখী দামের ফলে এ প্রবৃদ্ধি ধীরগতি অর্জন করবে বলে মনে করছে বাজার বিশ্লেষকরা।
চীনের জাতীয় তেল কোম্পানি সিনোপ্যাকের গবেষণা বিভাগ সিনোপ্যাক ইকোনমিক এন্ড ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ধারণা অনুযায়ী চলতি বছর দেশটিতে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা ৩৯ হাজার ৫০০ কোটি ঘনমিটারে পৌঁছবে, যা ২০২১ সালে ব্যবহৃত আনুমানিক ৩৭ হাজার কোটি ঘনমিটারের তুলনায় ৭ শতাংশ বেশি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়